# জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ও গণিতবিদ আফ্রিকা গেলেন বেড়াতে। কেনিয়ার তৃণভূমিতে হাঁটতে হাঁটতে সাদা একটি ছাগল দেখতে পেলেন তাঁরা।
জীববিজ্ঞানী বলে উঠলেন, আরে! কেনিয়ার ছাগল দেখি সাদা হয়! পদার্থবিদ বাধা দিয়ে বললেন, আসলে তুমি বোধহয় বলতে চাইছ, কেনিয়ার কিছু কিছু ছাগল সাদা।
গণিতবিদ বললেন, আসলে ছাগলটি দেখে আমরা যা বুঝতে পারি তা হলো, কেনিয়ায় ন্যূনতম একটি ছাগল রয়েছে এবং সেই ছাগলটির ন্যূনতম একটি পাশ সাদা।
# এক জরিপে দেখা যায়, পৃথিবীতে যত লোক মারা গেছে, তারা সবাই পানি পান করেছে। অতএব, পানি পানই মৃত্যুর কারণ।
# পৃথিবীতে তিন ক্যাটাগরির মিথ্যা কথা আছে।
১. সাধারণ মিথ্যা
২. ডাহা মিথ্যা
৩. পরিসংখ্যান
# গড় বা অ্যাভারেজকে পরিসংখ্যানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হলেও এ থেকে আসল ঘটনা বোঝা কষ্টকর: ...যদি একজন লোকের মাথা গনগনে আগুন আর পা হিমশীতল বরফে নিমজ্জিত করা হয়, তবে তার অ্যাভারেজ বডি টেম্পারেচার হবে নরমাল।
# আপনারা বেশি বেশি করে নিজ নিজ জন্মদিন উদযাপন করুন। কারণ এটি প্রমাণিত যে, জন্মদিন উদযাপনের সঙ্গে দীর্ঘ জীবনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যেসব মানুষ সবচেয়ে বেশি জন্মদিন পালন করে, তারাই সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকে। —পরিসংখ্যান বিষয়ে একজন ছাত্রের পিএইচডি গবেষণার ফল।
# পৃথিবীতে যত গাড়িচোর আছে, তাদের ১০ শতাংশ বাঁ-হাতি। আবার পৃথিবীর সব মেরুভালুকই বাঁ-হাতি। সুতরাং আপনার গাড়ি চুরি হলে শতকরা ১০ ভাগ সম্ভাবনা, এটি কোনো মেরুভালুকের কাজ। —পরিসংখ্যানের আরেকটি গবেষণার ফল।
# পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর কাজের! কীভাবে, জানো? আচ্ছা, শোনো তাহলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতিবছর কুমিররা চার কোটি ২০ লাখ ডিম পাড়ে। এগুলোর মধ্যে কেবল দুই ভাগের এক ভাগ ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব বাচ্চার চার ভাগের তিন ভাগই আবার জন্মের প্রথম ৩৬ দিনে শিকারি প্রাণীর হাতে মারা পড়ে। বাকিগুলোর মধ্যে শতকরা পাঁচ ভাগ কেবল এক বছর বেঁচে থাকে। এবার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে, পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর!
আরে! এখানে বিস্ময়ের কী আছে?
দূর, তুমি এখনো ব্যাপারটা ধরতে পারোনি। পরিসংখ্যান না থাকলে বুঝতে, কী হতো। তোমার পশ্চাদ্দেশটা এখন কুমিরের ওপরই রাখতে হতো।
# মাটিতে পোঁতা পতাকাদণ্ডের উচ্চতা নির্ধারণ করতে বসেছে একদল শ্রমিক। তাদের কাছে রয়েছে শুধু গজফিতা, কিন্তু দণ্ডের আগায় কীভাবে ফিতাটি পৌঁছানো যেতে পারে, তারা বুঝতে পারছে না।
গণিতবিদ এলেন তাদের সাহায্যে। বললেন, জ্যামিতির সূত্র প্রয়োগ করে সহজেই এর উচ্চতা নির্ণয় করা যাবে। দণ্ডের ছায়া দেখে গণিতবিদ যখন সদৃশকোণী ত্রিভুজ গঠন করার চেষ্টা করছিলেন, তখন এলেন ইংরেজির শিক্ষক। সব শুনে মুচকি হেসে দণ্ডটি মাটি থেকে তুলে ভূমির ওপর শুইয়ে দিলেন শিক্ষক। এরপর গজফিতা দিয়ে মেপে বললেন, পুরোপুরি ১৫ গজ।
ভাব নিয়ে চলে যাচ্ছেন ইংরেজির শিক্ষক। পেছন থেকে উষ্মাভরে গণিতবিদ বললেন, ইংরেজির শিক্ষক, হুহ! আমরা বের করতে চাইছি উচ্চতা, আর উনি বের করলেন দৈর্ঘ্য।
# স্বর্গে বিজ্ঞানীরা আলাদা একটা কলোনিতে আছেন। একদিন সবাই ঠিক করলেন, লুকোচুরি খেলবেন। সবাই লুকালেন, শুধু নিউটনকে দেখা গেল চক দিয়ে এক বর্গমিটারের একটা বর্গক্ষেত্র এঁকে সেটার মধ্যে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে। চোর হয়েছেন যে, তিনি ছুটে এসে বললেন, এই তো নিউটন, তুমি আউট।
নিউটন নির্বিকার স্বরে বললেন, আমি তো নিউটন নই, আমি প্যাসকেল।
মানে?
মানে হচ্ছে, এক বর্গমিটারে এক নিউটন = কী হয়? প্যাসকেল!
# এক পদার্থবিজ্ঞানী, এক রসায়নবিদ আর এক গণিতবিদ জাহাজ দুর্ঘটনায় এক জনমানবহীন দ্বীপে আটকা পড়লেন। সৌভাগ্যক্রমে তাঁরা জাহাজে রাখা একটি খাবারের বাক্স উদ্ধার করতে পেরেছেন। সমস্যা হলো, ধাতব বাক্সটা কীভাবে ভাঙা যায় তা বুঝতে পারছেন না। তিনজনই চিন্তা করতে লাগলেন, সমস্যাটার কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে।
পদার্থবিজ্ঞানী হিসাব করছেন, বাক্সের কোন দিকে বল প্রয়োগ করলে সর্বনিম্ন বল লাগবে, কীভাবে বল প্রয়োগ করলে যান্ত্রিক সুবিধা পাওয়া যাবে ইত্যাদি। কোনো লাভ হলো না।
রসায়নবিদ খুঁজছেন দ্বীপে কী কী পদার্থ পাওয়া যায় এবং তা দিয়ে কোনো এক্সপ্লোসিভ তৈরি করা যায় কি না, যাতে বাক্সটা ভাঙা যায়। তিনিও কিছু করতে পারলেন না।
গণিতবিদকে দেখা গেল, এক গাছতলায় নিবিষ্ট মনে চিন্তা করছেন। হঠাত্ লাফ দিয়ে দাঁড়ালেন এবং চেঁচিয়ে উঠলেন, পেয়েছি... পেয়েছি!
সবাই সচকিত হয়ে তাঁর দিকে তাকাল। গণিতবিদ বলা শুরু করলেন, মনে করি আমাদের হাতে একটা কুড়াল আছে...।
# একদল বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করা হলো, ৪x৪-এর মান কত?
প্রকৌশলী তাঁর প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র স্লাইডরুল ঝেড়ে-মুছে কয়েকবার ডানে-বাঁয়ে টানলেন এবং একসময় জানালেন, উত্তরটি ১৫.৯৯। পদার্থবিদ তাঁর টেকনিক্যাল রেফারেন্স বইয়ের পাতা উল্টিয়ে পেছনটা দেখে বললেন, এর মান ১৫.৯৮ ও ১৬.০২-এর মধ্যে।
গণিতবিদ কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বললেন, আমি ঠিক এ মুহূর্তে জানাতে পারছি না উত্তরটি কত, তবে সবাইকে আশ্বস্ত করছি, এর একটি সুনির্দিষ্ট মান রয়েছে।
দার্শনিক স্মিত হেসে বললেন, ৪x৪ বলতে আসলে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন? যুক্তিবাদী বললেন, ৪x৪ ব্যাপারটি আরও সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।
সমাজবিজ্ঞানী বললেন, আমি আসলে উত্তরটি জানি না, তবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা সমাজের জন্য একটি চমত্কার ব্যাপার। মেডিকেলের ছাত্র হঠাৎ বলে ওঠে, গুণফলটি ঠিক ১৬।
সবাই অবাক হয়ে তার কাছে জানতে চান, এতটা নিশ্চিতভাবে ব্যাপারটি কীভাবে জানল!
ছাত্র উত্তর দেয়, ‘গুণফলটি আমার মুখস্থ ছিল।’
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন