কম দামে ছাত্রলীগের পুরোনো হেলমেটগুলো কিনবে ছাত্রদল: একান্ত কাল্পনিক সাক্ষাতকারে ছাত্রদল কর্মকর্তা

৩৮৭ পঠিত ... ১৯:০১, আগস্ট ০৭, ২০২৪

2

ছাত্রলীগ যাওয়ার পর তাদের শুন্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছে ছাত্রদল। সাধারণ মানুষ যাতে ছাত্রলীগের অভাববোধ না করে সেজন্য দেশের নানান জায়গায় নিরলসভাবে নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়া সভা-সমাবেশ, শো-ডাউন তো আছেই। সামনে তাদের আর কী কী পরিকল্পনা আছে সেগুলো জানাতে এক কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে এসেছিলেন এক ছাত্রদল সহ-সভাপতি।

 

প্রতিবেদক: পিও ভাই, পিও অভিভাবক, আপনাদের অনেকদিন পর রাজপথে দেখে মনটা গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গিয়েছে।

সহ-সভাপতি: হুট করে এত তেল দিয়েন না, এত বছর তেলের অভাবে থাকতে থাকতে এখন তেল একদমই সহ্য করতে পারি না, খাবারও খাই তেলছাড়া।

প্রতিবেদক: ওকে সরি, ডিরেক্ট প্রশ্নে আসি, আপনাদের পরবর্তী পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কে যদি বলতেন।

সহ-সভাপতি: পরিকল্পনা তো সব মোটামুটি সেট করা। ব্যবসায় অনেকদিন ধরে লালবাত্তি ধরে ছিল, এখন সেগুলো চেঞ্জ করে সবুজবাত্তি লাগাতে হবে। আমাদের লড়াকু সৈনিকেরা ইতিমধ্যেই রাজপথ, ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে। ধীরে ধীরে চাঁদাবাজি, গেস্টরুম কালচারও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। 

 

প্রতিবেদক: ছাত্রলীগ কয়েক হাজার হেলমেট ফেলে রেখে গিয়েছে, সেগুলো নিয়ে কিছু ভেবেছেন?

সহ-সভাপতি: অবশ্যই, দেখুন হেলমেটশিল্প কোনো দলের নিজস্ব কালচার নয়। আমরা ক্ষমতায় আসলে হেলমেট শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাব দেখবেন। চেষ্টা করছি কমদামে হেলমেটগুলোকে কেনার। কিনে ফেলতে পারলেই আমরা মাঠে নেমে যাব।

 

প্রতিবেদক: সাধারণ ছাত্র যারা আন্দোলন করল, ওদের সাথে আপনাদের সম্পর্ক কেমন এখন?

সহ-সভাপতি: এখন পর্যন্ত তো ভালোই, তবে শুনেছি ওরা নাকি আমাদের খাম্বাবাবা প্রিন্সের বিরোধিতা করছে, এগুলো শুনে বেশ খারাপ লেগেছে। একটা মানুষ খাম্বাচোর হতেই পারে কিন্তু সে তো ভোটচোর না। সাধারণ শিক্ষার্থী ভাইদের আহ্বান জানাবো আপনারা বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবেন, ভাবা প্র্যাক্টিস করেন।

৩৮৭ পঠিত ... ১৯:০১, আগস্ট ০৭, ২০২৪

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top