স্বৈরাচারীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘Global Dictator Summit’। সম্পূর্ণ আয়োজনটিই হবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণতন্ত্রকে সফলভাবে দমন করার জন্য পরিচিত বিভিন্ন স্বৈরশাসকরা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইভেন্টে যোগ দেবেন একজন বিশেষ অতিথি হিসেবে। দিল্লির এক বিশেষ সুরক্ষিত এলাকায় বসবে এই ঐতিহাসিক সম্মেলন। আয়োজক দেশ ভারত, যার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই হোস্টের দায়িত্ব পালন করবেন এবং আপকামিং Dictator হিসেবে ‘গণতন্ত্রে একনায়কত্ব কায়েম করার টিপস’ নিয়ে একটি বিশেষ সেশনও করবেন বলে জেনেছি আমরা।
স্বৈরতন্ত্রের এই মহোৎসবে বিশ্বের স্বনামধন্য স্বৈরশাসকদের মধ্যে আরও যোগ দেবেন, কিম জং উন যিনি জনগণকে কীভাবে অনাহারে রেখেও দেশ চালানো যায়, সে বিষয়ে মাস্টারক্লাস নেবেন। থাকছেন ভ্লাদিমির পুতিনও তিনি বিরোধী দলকে ‘অদৃশ্য’ করার কৌশল নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন। বাসার আল আসাদ বক্তব্য দেবেন যুদ্ধকালীন গণহত্যার সেরা কৌশল নিয়ে। শেখ হাসিনা নেবেন একটি বিশেষ সেশন যেখানে তিনি কীভাবে নির্বাচনের আগে সব বিরোধী দল নিষ্ক্রিয় করে ফেলা যায়, সে বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি নিজের চালানো সাম্প্রতিক গণহত্যা এবং স্বজন হারানোর বেদনা বিষয়েও আলোচনা করবেন মানবতার এই আম্মো।
সম্মেলনের শেষে এক জাঁকজমকপূর্ণ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে মূল আকর্ষণ থাকবে ‘গণতন্ত্রের কবর রচনা’ নামে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণকারীরা মিলে একটি ভোটবাক্স পুড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্রকে বিদায় জানাবেন! এদিকে, ভারতের নাগরিক সমাজ এবং গণতন্ত্রপ্রেমীরা এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিলেও, মোদী সরকার ইতিমধ্যেই তাদের ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুরো ইভেন্টটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার কমেডিয়ান ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ লাইভে এসে বলেন, থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে না।