লেখা: শাহরিয়ার আহমেদ সাদিব
ভারতের ৩৬টা স্টেট আছে। এর মধ্যে ৮টা স্টেটের সাইজই বাংলাদেশের টোটাল আয়তনের চেয়ে বড়।
সবচেয়ে বড় স্টেট রাজস্থান যার সাইজ ৩ লাখ ৪২ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার, ২ নম্বরে মধ্য প্রদেশ ৩ লাখ ৮ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার, ৮ নম্বরে ওড়িশ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার ।
বাংলাদেশের আয়তন ১ লাখ ৪৭ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার ।
যারা বলতেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হওয়া উচিত ভারতের সাথে হেড অন কলিউশন তারা কী বুঝে বলেন আমার বুঝে আসে না ।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে তথ্য। আর রিউমার স্ক্যানারের তথ্য মতে ভারতের ৪৯টা গণমাধ্যম আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। ফেসবুক আর এক্স-এ মিথ্যা তথ্যের পরিমাণ তো অগনিত ।
ভারত তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত আর পরীক্ষিত বন্ধুকে হারিয়েছে। ভারতের সেন্ট্রাল গভমেন্টের কোনো প্রদেশের উপরও এতটা নিয়ন্ত্রণ থাকে না যতটা লাস্ট ১৭ বছরে বাংলাদেশের উপর ছিল ।
সো ভারতের কুত্তা পাগল হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। সে প্রতিনিয়ত তার ন্যারেটিভ এখানে পুশ করতেই থাকবে।
হাসিনা এমনিতেই দেশের অর্থণীতিসহ প্রত্যেকটা সেক্টরের প্রায় ১৪টা বাজায় দিয়ে গেছে।
লাস্ট সেপ্টেম্বরে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কনসালটেন্ট এক বড় ভাই বলছিল, দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তা যদি আমরা দশ বছরে কাটায় উঠতে পারি সেটাও অনেক।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় থ্রেট আওয়ামীলীগ না, ভারত । সমস্যা হচ্ছে আমাদের সাথে ফাইট করতে তাদের যে পরিমাণ রিসোর্স খরচ হবে তার চেয়ে অনেক বেশি রিসোর্স আমাদের ব্যয় হবে তাদের এই আক্রমণগুলো ঠেকাতে।
এই কাইজ্যা চলতে থাকলে দেশে আর স্ট্যাবিলিটি আসা লাগবে না। ইকোনমির ১৪টা বাজবে।
স্বৈরাচার সরানো এক জিনিস আর একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতির দেশকে আবার ঠিকঠাক করে সামনের দিকে আগায় নিয়ে যাওয়া আরেক জিনিস।
আমাদের দরকার জাতীয় ঐক্য আর অর্থনীতির দিকে লেজার লাইক ফোকাস করা । দেশের ব্রান্ডিং ঠিক করা। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাট্রাক্ট করা।
দেশের রাজনীতি ঠিক না হলে, ডেমোক্রেটিক্যালি ইলেক্টিভ গভমেন্ট না আসলে ইহ জিন্দেগিতেও ফরেন ইনভেস্টমেন্ট আসবে না।
ইউনূস সাহেবের যতই পজিটিভ ইমেজ থাকুক জীবনেও কোনো ব্যবসায়ী টাকা ঢুকাবে না যতক্ষণ না ইলেকশন হচ্ছে। এটা লিখে রাখতে পারেন।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হওয়া উচিত বাংলাদেশ ফার্স্ট।
আমরা কারও সাথে ভেজালে যাব না। কারও সাথে ভেজাল মেনে নেব না।
দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না।
আমরা ভারতপন্থি হবো না, পাকিস্তানপন্থী হব না, আম্রিকা-চায়না-রাশিয়া কোনো পন্থী হব না । আমরা হব বাংলাদেশপন্থী ।
জিনিস কেনার ক্ষেত্রে যে আমারে কম দামে ভালো জিনিস দেবে আমি তার কাছ থেকে জিনিস কিনব।
জিনিস বেচার ক্ষেত্রে যে আমারে ভালো ডিল দেবে তার কাছেই বেচব।
পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি থাকলে, অর্থনীতি-শিক্ষা-টেকনোলজি-হিউম্যান রিসোর্স ডেভলাপমেন্ট এই ৪ জায়গায় ভালোভাবে ইনভেস্ট করতে পারলে দেশের অবস্থা দ্রুত পাল্টানো সম্ভব।
লেটস ফোকাস অন ইউনিটি এন্ড বিল্ডিং দিজ নেশন।
লেটস বিকাম বাংলাদেশপন্থী!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন