মাত্র পাঁচ মিনিটেই দীপু মনি টিস্যুতে লিখে ফেললেন তার মনের কথা, গুঁজে দিলেন প্রাপককে নিঃশব্দে, ক্যামেরার অন্তরালে। দারুণ এই লেখার পদ্ধতি সামনে এনে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, দূরে থাকলেও আজও তিনি সৃজনশীল। বিকল্প ধারার নানান নমুনা; আলুর পুডিং, কাঁঠালের বড়া, মিষ্টি কুমড়ার বেগুনির পাশাপাশি লেখার জন্য কাগজের বিকল্প হিসেবে চলে এল টিস্যু। কেন ব্যবহার করবেন সেটা না বলে বলুন কেন করবেন না!
১#
বহুগুণে গুণান্বিত একটা পন্য টিস্যু, যে টিস্যুতে লিখবেন সেটা দিয়ে আবার মোছার মতো বহুমুখী ব্যবহার কাগজ আপনাকে দেবে না।
২#
গোপন কিছু কাগজে লিখে সেটা লুকোতে গেলে করতে হবে আপনাকে ভাঁজ কিছু দুমড়েমুচড়ে নিতে হবে হাতের মুঠোয়। তখন শব্দের ডেসিমেলের মাত্রাকে হার মানাবে আপনার টিস্যু। কবি এজন্যই গেয়েছেন, হে টিস্যু তুমি ভূবনে ভূবনে, কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।
৩#
কাগজের দাম যে হারে বাড়ছে সে তুলনায় টিস্যুর ব্যবহার আপনাকে এনে দেবে সাশ্রয়, সংসারে আনবে প্রবৃদ্ধি, বাড়বে দেশের জিডিপি, হবে বৈশ্বিক সমৃদ্ধি। কে জানে, আই এম এফের নজরেও পড়ে যেতে পারেন।
৪#
কাগজ ফটোকপি করা যায়, কিন্তু টিস্যু? যায় না। আপনাকে কপি করতে হলে করতে হবে পরিশ্রম। পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে জাপানিজদের আগে চলে আসবে আপনার নামও।
৫#
টিস্যুর একটা রোমান্টিক দিকও আছে, ধরুন আপনি যাকে পছন্দ করেন তাকে কিছু লিখে দিতে চাইলে ঐ টিস্যুতে হালকা করে মেরে দেন পারফিউম। কাগজ সেক্ষেত্রে একদমই বিরস।