তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সাগরে আমেরিকা আর জাপানের যুদ্ধজাহাজ যুদ্ধ করছে। হঠাৎ করে জাপানি জাহাজের ক্যাপ্টেন খেয়াল করল আমেরিকার জাহাজ থেকে পানির নিচ দিয়ে বেকায়দা স্টাইলে একটা মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। মিসাইল নির্ঘাত জাপানি জাহাজে এসে লাগবে! মরা ছাড়া জাপানিদের আর কোনো উপায় নাই।
জাপানি ক্যাপ্টেন তার বৃদ্ধ সহকারীকে ডেকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলল।
ক্যাপ্টেন: আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব জাহাজকে মিসাইলের পথ থেকে সরিয়ে নিতে। কিন্তু সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তুমি এক কাজ করো। নিচে আমাদের যেসব সৈন্য আছে তাদের কাছে যাও। তাদেরকে মিসাইলের কথা বলো না। বরং আমি চাই এই শেষবেলায় তুমি তাদেরকে কিছুক্ষণের জন্য হাসাও। দেশপ্রেমিক ক্লান্ত সৈন্যরা যেন জীবনের শেষ মুহুর্তেও একটু হাসতে হাসতে মরতে পারে।
বৃদ্ধ: স্যার, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব তাদের হাসাতে।
বৃদ্ধ সহকারী নিচে নামলো। সৈন্যরা তাকে দেখে উপরের খবর জানতে চাইল।
বৃদ্ধ: ওপরের খবর ভালো। নিচের খবর আরও ভালো।
সৈন্যরা: নিচের খবর ভালো মানে?
বৃদ্ধ: আমি যদি বলি আমার নিচের জিনিস দিয়ে জাহাজের এই মেঝেতে বাড়ি দিলে জাহাজটা ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যাবে, তাহলে কে কে অবিশ্বাস করবে?
সৈন্যরা: হাহাহাহা… এই বয়সে কীসব উল্টাপাল্টা কথা বলছেন!
সৈন্যরা হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া ধরল।
বৃদ্ধ: বিশ্বাস হয় না? তাহলে এখনই দেখাচ্ছি।
এই বলে বৃদ্ধ হাঁটু গেড়ে বসে ঠিক মিসাইল যখন আঘাত হানবে, সেটা হিসেব করে তার জিনিস দিয়ে জাহাজের পাটাতনে দিল এক বাড়ি। ভয়াবহ সংঘর্ষে বৃদ্ধ জ্ঞান হারাল।
একসময় টের পেল, ক্যাপ্টেন তার কাঁধ ধরে ঝাঁকাচ্ছে।
ক্যাপ্টেন: তোমাকে যা করতে বলছিলাম তুমি কি তা করছো?
বৃদ্ধ: জি স্যার। আমি তাদেরকে শেষ সময়ে হাসাতে সাহায্য করেছি।
ক্যাপ্টেন: কীভাবে হাসালে?
বৃদ্ধ সব খুলে বলল। সব শুনে ক্যাপ্টেন বলল, ‘বাহ! আমি অনেক খুশি হয়েছি যে আমাদের দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করছে তাদেরকে তুমি শেষ মুহুর্তের আনন্দটুকু দিতে পেরেছ। তবে পরেরবার থেকে তোমার জিনিস ব্যবহারে সাবধান থাকবে। কারণ মিসাইল আমাদের জাহাজের পাশ কেটে চলে গিয়েছে।’
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন