দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে টিসিবির লাইনে মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। কয়েক জায়গায় ট্রাকের পেছনে মানুষকে দৌড়াতেও দেখা গেছে। টিসিবির লাইনে এই যে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা দৌড়ানো-কিছু খারাপ দিকের পাশাপাশি এর কিছু ভালো দিকও আছে। সেসবই ভাবার চেষ্টা করেছে eআরকি বি-পজেটিভ টিম।
১। টিসিবির লাইনে এই যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা, এতে মানুষের ধৈর্যশক্তি বাড়ছে। আমরা তো জানিই, ধৈর্য্য একটি মহৎ গুণ। তাছাড়া ফল যে মিষ্টি হয় তাও আমরা জানি। টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে যে পেয়াজ, রসুন, তেল তারা কিনবে সবই মিষ্টি হয়ে যাবে। তরকারিতে আর আলাদা করে মিষ্টি দেয়া লাগবে না।
২। টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ানোর কারণে মানুষের ব্যয়ামটাও হয়ে যাবে। বার্ন হবে চর্বি। বেঁচে যাবে জিমের টাকা। তাছাড়া এই দৌড়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অলিম্পিক থেকে সোনা রূপা এনে ভরিয়ে দেয়া যাবে দেশ।
৩। বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগীতার বিশ্ব। টিসিবির লাইন মাঝে মাঝে ভেঙ্গে গেলে মানুষ টাকা হাতে নিয়ে কে কার আগে তেল, পেঁয়াজ কিনবে তা নিয়ে প্রতিযোগীতা লেগে যায়। এই প্রতিযোগীতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগীতার এই বিশ্বে আমরাই হবো সেরা। এগিয়ে যাবে দেশ।
৪। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘টিসিবির লাইনে এখন ভালো ভালো পোশাক পরা মানুষদেরও দেখা যায়।‘ গরিবদের সাথে ভালো ভালো পোশাক পরা মানুষের একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার এই যে সাম্যবাদী ব্যবস্থা- মাও সে তুং, ফিদেল ক্যাস্ট্রো কিংবা কার্ল মার্ক্সও এত সহজে সাম্যবাদ নিয়ে আসতে পারেনি। টিসিবির এই ট্রাক যেখানে ছাড়িয়ে গেছে তাদেরও।
৫। টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে মানুষ এমনিতেই লাইনে চলে আসবে। লাইনে আনার জন্য কষ্ট করে নানা রকম অ্যাক্ট বানাতে হবে না।