জুলাই আন্দোলনের শেষের দিকে ফেসবুক ছিল গুজবময়। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে নানান মনগড়া নিউজ হেডলাইন লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হতো ফেসবুকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফটোকার্ডগুলো এতটাই ভালোভাবে ডিজাইন করা হতো যে, দেখে সত্যের চেয়েও বেশি সত্য বলে মনে হতো।
এমন ফটোকার্ড দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। অনেকেই সত্য মনে করে করে শেয়ারও করেন। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে গুজব।
ভুয়া ফটোকার্ড কীভাবে চিনবেন? এটা নিয়ে প্যারা খাওয়ার কিছু নাই। রুল মাত্র ১টি। গোল্ডেন রুল। এমন কোনো ভুয়া কার্ড যদি বিশ্বাস হয়েই যায়। তাহলে বিশ্বাস করুন। এরপর মূল উৎসে গিয়ে একবার দেখুন, আসলেই এমন কোনো খবর ছাপা হয়েছে কিনা।
ধরুন, প্রথম আলোর ফটোকার্ডে আপনার ফিডে একটা নিউজ আসলো–দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউসুফ সরকার। দেখে মনে হচ্ছে, এই নিউজ প্রথম আলোর ছাড়া আর কারও হতেই পারে না। সেক্ষেত্রে একটু কষ্ট করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে চলে যান। দেখুন তারা এমন কোনো খবর প্রকাশ করেছে কিনা। যদি প্রকাশ করে তাহলে একবার পড়ে নিন। এরপর বিশ্বাস করুন।
ওয়েবসাইটে যেতে ইচ্ছে না করলে গুগলে চলে যান। সেখানে হেডলাইনটা লিখে সার্চ করুন। খবর সত্য হলে আরও অনেক পত্রিকায় একই খবর দেখতে পাবেন। আরও পরিস্কার হওয়ার জন্য হেডলাইন লিখে সাথে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের নামও লিখতে পারেন। যেমন–দেশ ছেড়ে পালালেন ইউসুফ সরকার প্রথম আলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন, কোন ফটোকার্ডটি ভুয়া আর কোনটি সঠিক।