বাস্তব অভিজ্ঞতার কাছে মাঝে মাঝে পিএইচডি হোল্ডাররাও মার খেয়ে যান। বাংলাদেশে ফ্যাসিজম চর্চার একমাত্র অগ্রদূত শেখ হাসিনা, যার নেতৃত্বে পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অভিজ্ঞতা তাকে এই ক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। সোশ্যাল সায়েন্সের যেকোনো প্রফেসর তার এই অভিজ্ঞতার সামনে চুপসে যাবেন।
সম্প্রতি, ভারতের দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা তার বেকার সময় কাজে লাগানোর উপায় খুঁজছেন। জনরোষের তাপে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্যাসিজম স্টাডিজ পড়ানোর।
সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। ফাঁস হওয়া অডিও অনুযায়ী, শেখ হাসিনা তার ছেলেকে জানান, তার হাতে এখন কোনো কাজ নেই। দেশে লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অর্থ থাকলেও বেকার সময় কাটানো তার জন্য বড় এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিজম স্টাডিজ পড়ালে দিল্লি ফ্যাসিজমের আন্তর্জাতিক হটসপট হয়ে উঠবে এবং তিনি হবেন সেই তত্ত্বচর্চার প্রধান থিংক ট্যাংক।
অডিওতে জয় তার মাকে বলেন, মা, তুমি বাংলাদেশে ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার চালিয়ে যা দেখিয়েছ, তা বিশ্বজুড়ে নজিরবিহীন। আমার মতে, শুধু পড়ানোই কেন, তুমি তো চাইলেই Fascist University of Hasina খুলে ফেলতে পার! সাধারণ লেকচারার হিসেবে নয়, তোমার জায়গা হবে ভাইস চ্যান্সেলরের চেয়ারে।
এদিকে, দিল্লিতে শেখ হাসিনার এই নতুন উদ্যোগ নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছে। অনেক রাজনৈতিক নেতা, যারা আগে পড়াশোনার ধার ধারতেন না, এখন শেখ হাসিনার কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, জানি না কোনোদিন শেখ হাসিনার মতো হতে পারব কিনা, তবে চেষ্টা করব। উনার দেখানো পথ ধরেই আমি ভারতে ফ্যাসিজমের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। শেখ হাসিনা যা করেছেন, তা এই শতাব্দীতে কেউ করতে পারেনি।
ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার এই ইচ্ছা ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তরুণ ছাত্ররা ফ্যাসিজম স্টাডিজের সিলেবাস নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সিলেবাসের মধ্যে ডেমোক্রেসি ধ্বংসের কৌশল, চাপের মুখে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী উপায়, অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমননীতি, এবং নির্বাচনকে নাটক বানানোর আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি থাকবে কিনা সেটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে।