ব্যাংক ডাকাতদের পারফরম্যান্সে হতাশ এস আলম, চালু করছেন বিশেষ কোর্স

১৭৯ পঠিত ... ১৬:৩২, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

35

গত শুক্রবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের একটি উপশাখায় ঘটে যাওয়া ব্যর্থ ডাকাতির ঘটনা ব্যাংক ডাকাতি শিল্পের চরম দুরবস্থার কথা জানান দিয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা এই নাটকীয় ঘটনায় মাত্র ১৫ লাখ টাকা এবং নিরাপদে পালানোর দাবি থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বিকেল সাড়ে ৫টায় তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডাকাতদের এমন আনাড়িপনা দেখে হতাশ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাংক ডাকাতি শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত এস আলম। আধুনিক ব্যাংক ডাকাতির গুরু বলে খ্যাত এই আলোচিত ব্যক্তি, যিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আত্মগোপনে রয়েছেন, তিনি এই ঘটনাকে ব্যাংক ডাকাতি শিল্পের জন্য লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

একটি গোপন অনলাইন সাক্ষাৎকারে এস আলম বলেন, আমাদের সময়ে ব্যাংক ডাকাতি ছিল শিল্পের পর্যায়ে। আমরা কলমের খোঁচায় ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে ফেলতাম। অথচ এখনকার তরুণরা? ১৫ লাখ টাকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ব্যর্থ নাটক করে এবং শেষে পুলিশের কাছে ধরা খায়। এটা দেখে আমার সত্যি কষ্ট লাগে। এরকম করলে ব্যাংক ডাকাতির ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

ডাকাতি শিল্পের প্রতি নিজের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে এস আলম একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কোর্সেরার সঙ্গে কোলাবরেশনে আমি ‘ব্যাংক ডাকাতির অব্যর্থ টেকনিক’ শীর্ষক একটি কোর্স শুরু করছি। এই কোর্সের মাধ্যমে ডাকাতির সঠিক কৌশল আন্তর্জাতিক মানে শেখানো হবে। যাদের আর্থিক সমস্যা আছে, তারা ফাইন্যান্সিয়াল এইড নিয়ে কোর্সটি বিনামূল্যে করতে পারবে।

এস আলমের এই ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। ছোটোবেলায় যারা চোর-পুলিশ খেলতেন, তারা নতুন করে মাঠে নামার সুযোগ খুঁজছেন। একজন উত্তেজিত কমেন্টকারি লিখেছেন, ভাই, অনেকদিন ধরেই ডাকাতি করতে চাইছিলাম, কিন্তু প্রোপার গাইডলাইন না থাকায় সাহস পাইনি। এবার কোর্স করে শিখে ফাইনালি ট্রাই করব।

অনেকেই মনে করছেন, বিদেশের ব্যাংক খালি করে লাখ লাখ ডলার দেশে আনার মাধ্যমে দেশের রিজার্ভ সংকট মেটানো সম্ভব। একাধিক অর্থনীতিবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, ডাকাতি শিল্পকে বৈধ রূপ দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকট দূর করা সম্ভব।

এস আলমের এই উদ্যোগ শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ডাকাতি শিল্পকে নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারে। অনেকে বলছেন, এই কোর্সের সাফল্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনবে ব্যাংক ডাকাতির অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে।

সব মিলিয়ে, এস আলমের এই সাহসী উদ্যোগ ব্যাংক ডাকাতি শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করছেন তার অনুরাগীরা।

 

১৭৯ পঠিত ... ১৬:৩২, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

Top