তিতুমীর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সম্প্রতি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে, রাস্তায় বসে স্লোগানের ঝড় তুলে এবং হর্নের সিম্ফনির মাঝে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার নতুন এই পদ্ধতিকে অনেকে বলছেন—একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে উদ্ভাবনী আন্দোলন! ঢাকা শহরের যানজট এমনিতেই বিখ্যাত, তার ওপর নতুন করে শিক্ষার্থীদের এই অবরোধ দেখে কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলেছেন, তিতুমীর কলেজকে সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিণত করা হোক!
তিতুমীরকে প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন বানানো উচিত সে যুক্তির পক্ষে এক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলে তো সবাই পড়ার চাপ সামলাতে পারবে না। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় হলে প্রতিদিন এক ঘণ্টা খেলাধুলার সময় পাবে! দৌড়াবে, লাফাবে, হেসে-খেলে জীবন কাটাবে! তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক বেশি লাভজনক!
জ্যামে আটকে থাকা আরেক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কঠিন, সারাদিন গবেষণা, ক্লাস, থিসিস এসব করতে হয়! আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে ছবি আঁকা, হাতের লেখা শেখা, আর লজেন্স খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়! তাই আমি বলি, ওদের জীবন সহজ করে দাও—প্রাথমিক বিদ্যালয় করে দাও!
এদিকে আন্দোলনকারী এক ছাত্র বলেছেন, আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই! বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমাদের সিভিতে ভালো দেখাবে!