এই লেখাটির টাইটেল শুরুতে ছিল 'শেখ হাসিনার পোষা কুত্তা'। পরবর্তীতে চিন্তা করে দেখা গেল, যাদের নিয়ে এই লেখা—তারা কোনোভাবেই কুকুরের সাথে তুলনা করার যোগ্য নয়। তাতে বরং কুকুরের মতো একটি ভোলাভালা প্রাণীর ইজ্জত ধরে টান দেওয়া হয়। আমাদেরও কুকুরানুভূতি আঘাত পায়। অনেক চিন্তা ভাবনা করেও এদেরকে মেটোফোরিকালি প্রেজেন্ট করার মতো কোনো শব্দ খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণই লেখকের ঘাড়ে।
আওয়ামীলীগ এখন চালাচ্ছে কারা? আর শেখ হাসিনা কাদের নেত্রী?
সত্যি কথা হলো, জুলাই অভ্যুত্থানের পর কোনো স্বাভাবিক বিবেকবান মানুষ শেখ হাসিনার জয়গান গাইতে পারবেন না। যাদের নৈতিকতার 'ন'-টুকুও অবশিষ্ট আছে, এরা শেখ হাসিনার গান গাইতে গিয়ে দেখবেন গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। হলেও তা ফাঁটা বাঁশের মতো ভাঙা গলা। জুলাই-আগস্ট মাসের এমনসব মর্মান্তিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পরও যারা চাচ্ছেন হাসিনা এবং তার পা চাটা লীগ ফিরে আসুক, এরা আওয়ামীলীগের হোপলেস ফ্রাস্ট্রেটেড প্রেমিক। এদের যাবার আর কোনো জায়গা নেই। ফ্রান্সিস বেকনের একটা বিখ্যাত কথা আছে। ইউ ক্যান নট বি ইন লাভ অ্যান্ড বি ওয়াইজ। এরা হচ্ছে সেইসব প্রেমিক যাদের আর হারানোর কিছু নেই। প্লট কিংবা টাকা পয়সা দু’মুঠো জুটলেও ক্ষতি নেই, তাই শেষ চেষ্টা হিসেবে অনলাইনে ঘেউ ঘেউ করাই একমাত্র উপায়।
অনলাইনে বমি শিয়াল নামে এক উল্লুককে প্রায়শই দেখা যায়। গতকাল সারাদিন পরিশ্রম করে যিনি প্রেস সচিবের মেয়ের ছবি এডিট করে ন্যুডিটি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। দলবল নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন তার পরিবারসহ আত্মীয়স্বজনকে দেখে নেবার। এই শিয়ালরাই আবার পার্ট টাইম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, পার্ট টাইম চটি লেখক, পার্ট টাইম গুন্ডা। শিয়ালের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। শেষ রাতে ঠিকই নেত্রী লাইভে জয়েন করে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন। দেখুন, আমরা যারা প্রশ্ন করি শেখ হাসিনা কাদের নেত্রী, তাদের উত্তর এই শিয়াল গ্যাং দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শিয়াল গ্যাং জানেনা সময়মতো পিও অভিভাবকরাই সময়মতো তাদের ডিজওন করবে৷
ইতিহাসের দিকে তাকালে এরকম ঘটনা অনেক চোখে পড়বে। আমাদের দেশেই আছে। কিন্তু সেদিকে আর গেলাম না।
হিটলার মিয়ার কাছে যাই।
হিটলার ক্ষমতায় আসার পর এর্নস্ট রোহম নামে এক ব্যক্তি নাৎসি বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। রোহম হিটলারের এতটাই অনুগত ছিলেন যে, তার আঙুলের ইশারায় হাজার হাজার বিরোধীকে হত্যা করেন। কিন্তু সময় গড়ায়। রোহমের সুখের দিন কেটে যায়। হিটলার একসময় তাকে নিজের জন্য হুমকি মনে করতে থাকেন। ১৯৩৪ সালে ‘নাইট অব দ্য লং নাইভস’ নামের এক অভিযানে রোহমসহ শত শত পোষা কুত্তাকে হত্যা করে হিটলার।
তবে ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। দিন আসবে, দিন যাবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ ২৪-এর জুলাই ভুলবে না। যতই অনলাইনে ঘেউ ঘেউ আর ভাড়াটে গুন্ডা আনা হোক না কেনো, সমস্বরে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বলবে 'চোরজননী, খুনী, গুমমাতা, কসাই’। সেই চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসবে। আসতেই থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন