বিড়াল কে আর ঘণ্টাই কী?

২১ পঠিত ... ১৩ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে

14 (1)

সংস্কার একটি সুন্দর শব্দ।

এর মানে হইল আগের খারাপ জিনিস সরাইয়া ভাল জিনিসের কালচার তৈরি করা।

আমি সংস্কার ভালবাসি, কিন্তু আগের কোন কোন জিনিস মন্দ তার তালিকা এখনও হাতে পাই নাই।

অথচ এই তালিকা তৈরির জন্যে কোনো মাথা ও দেহভারি মন্ত্রণালয় তো লাগেই না, একটা ছোট্ট কমিটি করলেই চলে।

সরকারের উচিৎ হবে, যেইসব বিষয়ে তারা সংস্কার করতে চান সেগুলির মন্দ জিনিসগুলিরে পাবলিকের সামনে তুইলা ধরা। সেগুলি কেন মন্দ? কেন সেগুলির সংস্কার দরকার? পয়েন্ট ধইরা ধইরা বলতে হবে। তাইলেই সংস্কারের মধ্যে পাবলিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

খালি নোটিশ টাঙ্গাইয়া আর ইমেইল পাঠাইয়া জনসম্পৃক্ততা কায়েম করার আমলাগিরি হইল দায়সারা কর্ম। সেইটাতে কাজ হয় না, হবে না।

বরং আগে কী কোথায় খারাপ ছিল, তার কী আপনারা সারাই করতেছেন টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকায় বলেন, ওয়েব সাইট ও ফেসবুক পেইজ তৈরি কইরা পাবলিকরে জানান। তাতে যেমন গণসচেতনতা বাড়বে, তেমনি সরকার কী কী সংস্কার করতে চাইতেছে তাও পাবলিকের বুঝে আসবে।

এই যে আমি, দেখেন এখন পাবলিক নাই আর, বুদ্ধিজীবী হইছি—আমারই ধারণা নাই সরকার কীসের কীসের কোন কোন জায়গায় সংস্কার করতে চায়—তাইলে সাধারণ পাবলিকের কী অবস্থা!

 

২.

এর বাইরে দুর্নীতি বন্ধ করারে সংস্কার বলাটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হবে না। কারণ সংস্কার করা জিনিসেও দুর্নীতি চালু হইতে পারে।

এমনকি সংস্কার করতে করতেও দুর্নীতি ঘটতে থাকতে পারে।

তাইলে সরকারকে আমি কী শিক্ষা দিলাম?

দুইটা।

১. সংস্কার বলতে দুর্নীতির উচ্ছেদ বোঝানো যাবে না

২. সংস্কার কালীন কার্যক্রমে দুর্নীতি ঘটতে দেওয়া যাবে না

কিন্তু বিড়াল কে, আর ঘণ্টাই কী?

২১ পঠিত ... ১৩ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top