১৫ বছর দাপিয়ে খেলার পর হঠাৎ করেই মাঠছাড়া আওয়ামীলীগের নেতারা। পাড়া-মহল্লার খেলার মাঠ এখন বিএনপি-জামায়াতের দখলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাট-বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে তারা, আর দূর থেকে হা-হুতাশ করছেন আওয়ামী নেতারা। বুকটা ভারী হয়ে আসে তাদের—ইশ! শীত চলে যাচ্ছে, অথচ একটা ম্যাচও খেলতে পারছেন না তারা।
এক সময় পাড়ার অটোরিকশা-সমিতির নামে চাঁদাবাজি, অপহরণ করে টাকা নেওয়া, লোক আটকানো, টেন্ডারবাজিসহ বড় বড় ব্যবসায়ীর কলিজা শুকিয়ে ফেলার মতো খেলা যারা খেলতেন, তারা এখন দর্শক হয়ে বসে আছেন। তাদের জায়গায় এখন বিএনপি-জামায়াতের আধিপত্য। মাঠে ফিরতে চাইছেন অনেকেই, কিন্তু সুযোগের অভাবে হতাশ।
একজন আওয়ামী নেতা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,বিএনপি-জামায়াত তো আসলে আমাদের ভাই। ভাইয়েরা মিলে কি খেলতে পারি না? মাঠ তো সবার! আমরাও তো আগে খেলতাম। এই যে ওনারা এখন খেলছেন, আমরাও তো একসময় একই কাজ করেছি। আমাদের তো আরেকটু সুযোগ দেওয়া উচিত। পাথরের মনও নরম হয়, আর ওনারা তো মানুষ। আশা করি, আমাদেরও মাঠে আসতে দেবেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি নন। তবে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা বলেছেন, ১৫ বছর আওয়ামীলীগ মাঠে খেলেছে, শুধু মাটি নয়, গোটা মাঠটাই শেষ করে দিয়েছে। এখন যখন মাঠ পেয়েছি, আমরা খেলতেই দেব না। তাছাড়া, কম দল থাকলে খেলায় মজা বেশি। এতদিন আমরা সুযোগ পাইনি, এখন আর কাউকে দেব না।
জামায়াত নেতারা তুলনামূলক উদার সুরে বলেছেন, আমরা তো শেখ হাসিনাকেও ক্ষমা করেছি। আওয়ামীলীগের কেউ খেলতে চাইলে আমাদের খেলা শেষ হলে আসতে পারবে। তবে সময় থাকলে খেলবে, না থাকলে সাইড লাইনে বসে দেখবে।
রাজনীতির খেলার মাঠে কারা শেষ পর্যন্ত ফুল ফর্মে খেলবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে মাঠের বাইরে বসে থাকা আওয়ামী নেতারা খেলতে মরিয়া হয়ে আছেন, অপেক্ষা শুধু মাত্র মাঠে ঢোকার।