বাজারে ঝিলিমিলি বেলুন যেদিন থেকে উড়তে শুরু করেছে, সেদিন থেকেই শেখ হাসিনার মনটা অনেক বেশি বিষণ্ণ। অনির্ভরযোগ্য এক সোর্স বলছে, ফেসবুক খুললেই প্রতিটা স্ক্রলে তিনি ১০টা করে ঝিলিমিলি বেলুন দেখছেন আর মনে মনে হায় হুতাশ করে যাচ্ছেন। তার ইচ্ছা আছে চট করে দেশে ঢুকে পড়ে একটা বিহিত করে ফেলা।
বাইরে বের হলেই দেখা যাচ্ছে কিছু হকার আজব এক প্রকার বেলুন নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বেলুনে লাইট জ্বলে, বিভিন্ন রকম শেপ ডিজাইন করা আছে বেলুনের গায়ে। উড়তে সক্ষম এই বেলুন না কিনে দেওয়ায় অভিমান করে ব্রেকআপ করে ফেলছে তরুণীরা। আমাদের আপা কখনোই কোনো ট্রেন্ড মিস করেননি। যখন যা কিছু হয়েছে, সেটা নিয়েই কথা বলেছেন, অংশ নিয়েছেন নিজের বয়সের কথা ভুলে গিয়ে। সম্প্রতি ঝিলিমিলি বেলুনের ছবিতে ফেসবুক সয়লাব হয়ে যাবার পর থেকে আর দিল্লিতে মন টিকছে না তার। ঝিলিমিলি বেলুন নিয়ে একটু ঘুরতে না পারলে তার মন শান্ত হচ্ছে না, দেখে তিনি ভাবছেন চট করে দেশে ঢুকে ঝিলিমিলি বেলুন কিনে ফেলবেন।
eআরকির প্রতিনিধির সাথে এক কাল্পনিক ফোনকলে আপা তার ঝিলিমিলি বেলুন প্রীতি এবং দেশে ঢুকে পড়া নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। ফোনালাপের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য আমরা তুলে ধরছি।
শেখ হাসিনা দিল্লি যাবার পর থেকে বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। eআরকিকে তিনি এই প্রথমবারের মতো কাল্পনিক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ফোনে। তিনি যা বলেছেন তা অনেকটা এমন; আমি আসলে অনেক ছোটো থেকেই বেলুন নিয়ে খেলতে পছন্দ করতাম। বাসায় সবসময় রঙবেরঙের বেলুন ছিল—কোনোটা লাল, কোনোটা নীল, কোনোটা হলুদ। আমি বয়সে বাড়লেও মনে মনে তো আমি এখনও সেই কিশোরী হাসিনা, যার একটু সময় পেলেই মনে হয় পুকুরে লাফ ঝাঁপ করি, বড়শি দিয়ে মাছ ধরি, আম পাকলে গাছে উঠে আম পেড়ে খাই।
আমি দেশ থেকে চলে আসার পর থেকে এই যে ঝিলিমিলি বেলুন বেড়ে গেছে, সেটা তো আমি দেখতেই পাচ্ছি। এসব আমাকে হিংসে ধরানোর জন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে ছড়িয়েছে কিনা আমি জানি না, কিন্তু এখনকার তরুণ-তরুণীদের থেকে আমার কিন্তু অনেক হিংসে হচ্ছে। আমি চাইলেই আলু, মরিচ, বেগুনের বিকল্প বানাতে পারি, কিন্তু এই ঝিলিমিলি বেলুনের তো কোনো বিকল্পই আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
প্রতিদিন যাচ্ছে আর আমি মনে মনে বেলুনের জন্য দুর্বল হয়ে যাচ্ছি, এভাবে চলতে থাকলে আমি টিকতে পারব না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চট করে দেশে ঢুকে যাব। দেশে ঢুকে গিয়ে আমার প্রথম কাজ হবে কমপক্ষে ১০০ পিস বেলুন কিনে নেওয়া। এই বেলুনগুলো ব্যবহার করে আমি উড়ে বেড়াব, গান গাইব প্রাণ খুলে। কতদিন ধরে মনের মধ্যে শান্তি নেই, এমনিতেই স্বজন হারানোর বেদনায় ঘুমাতে পারি না, এখন আরও হাহাকার আমার বুকে, বেলুন কিনে আমি হয়তো স্বজন হারানোর বেদনাও কিছুটা ভুলতে পারব।