এতদিন শুনে এসেছি, সুখ কেবল ত্যাগে। কিন্তু সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান প্রমাণ করেছেন, সুখ শুধু ত্যাগে নয়, ভোগেও। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের এই টাইকুনের জীবনকাহিনী শুনলে মনে হবে, ভোগ আর ত্যাগের এমন অনন্য মিশ্রণ সত্যিই বিরল।
আজিজ খানের হাজার হাজার কোটি টাকার দেশি-বিদেশি ঋণের হিসাব করতে গেলে যে কেউ ভাবতে পারে, এই টাকার মাত্র ১ শতাংশ পেলেই তার জীবনটাই বদলে যেত। ১৮ বছর বয়সে জুতা ব্যবসায়ী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা আজিজ খান, ধীরে ধীরে বিশাল এক সাম্রাজ্য তৈরি করেন। এই সাম্রাজ্য গড়ার পেছনে অবশ্যই প্রধান ভূমিকা রেখেছে দেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।
দেশের সম্পদ ভোগ করার দক্ষতায় সামিট গ্রুপের আজিজ খান এবং এস আলম গ্রুপের মালিকরা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। তবে, কেবল ভোগ করেই ক্ষান্ত হননি তারা; সেই ভোগকে টেকসই করতে, নিরাপত্তার খাতিরে বাংলাদেশের নাগরিকত্বই ছেড়ে দিয়েছেন। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের মতো আজিজ খান এবং তার ভাই এস আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
একটি আনভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে আজিজ খান লিখেছেন, কেমন দিলাম বলেন তো? একটু চালাক না হলে টেকা মুস্কিল। বুদ্ধি করে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর চলে আসছি, সাথে পাসপোর্টও ফেলে দিয়েছি। আমি এখন সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পাইলে সিঙ্গাপুর আইসা ধইরা নিয়া দেখান।
এই কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকের মতে, আজিজ খান এখন দেশের সম্পদ লুট করে পালানো চোরদের রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। তার ভোগেও সুখ, ত্যাগেও সুখ দর্শন নতুন প্রজন্মের জন্য এক অভিনব প্রেরণা।
নবীন দার্শনিক উইড খান উদ্যানে আয়োজিত এক পাঠচক্রে বলেন, আজিজ খানের এই দর্শন আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে। ভোগ আর ত্যাগের সুখ একসাথে আস্বাদন করার নতুন সম্ভাবনা তিনি উন্মোচন করেছেন। এমন নব্য দার্শনিক আমাদের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন দেখে আমি আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, আজিজ খান যদি তার দর্শন সবার কাছে পৌঁছে দেন, তাহলে দর্শনশাস্ত্র আমাদের দেশে নতুন প্রাণ পাবে।
আজিজ খানের এই দর্শন আপামর জনতার কাছে পৌঁছানো গেলে হয়তো আমাদেরও একদিন ভোগ ও ত্যাগের প্রকৃত সুখ অনুভব করা সম্ভব হবে।