ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ; ৩১ তারিখ সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স

১৪৯ পঠিত ... ১৭:৪৭, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

15

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসের পড়াশোনার পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে ও শব্দদূষণ রোধে বহিরাগত প্রবেশের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে স্টিকারবিহীন গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মূল ফটকগুলোতে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। গাড়ি আসলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এমনকি গাড়ির আরোহী ঢাবির ছাত্র কিনা তা নিশ্চিত না হলে তাকে সেখানেই আটকে দেওয়া হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিছু বিশেষ ঘটনা ঘটতে চলেছে। শহীদ মিনারে কী ঘটতে যাচ্ছে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের ফেসবুক পোস্টগুলো বিষয়টিকে আরও রহস্যময় করে তুলছে। প্রত্যেকেই তাদের স্ট্যাটাসে বিশেষ বার্তা দিচ্ছেন, কিন্তু ঠিক কী হবে তা এখনও অজানা।

কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন; কাদের জন্য এই অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বহিরাগত তো নিষিদ্ধ, ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংখ্যাও যে খুব বেশি এমনও না। তাহলে কাদের জন্য ফেসবুকে এত এত পোস্ট দেওয়া হচ্ছে? ঢাবিতে এই মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কারোরই প্রবেশাধিকার নেই। তাহলে কি শহীদ মিনারে অ্যাম্বুলেন্সদেরকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোতে?  

মহাখালি সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে কাল রাতে একটা কথা বেশ প্রচার হচ্ছে বলে শুনতে পেরেছি আমরা। বেশ কিছু সিএনজি নাকি গ্যাস ভরার সময় শুনতে পেরেছে ঢাকার অ্যাম্বুলেন্সগুলো ৩১ তারিখে শহীদ মিনারে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শুধু যে ঢাকার লোকাল অ্যাম্বুলেন্স আসবে সেটা ভাবলে নাকি ভুল ভাবা হবে বলে জানিয়েছে ঢাবির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সচিব অ্যাম্বুলেন্স প্রাইম। সে ভার্চুয়াল সেমিনারে জানিয়েছে, যেহেতু মানুষ যাবার কোনো ব্যবস্থাই নাই, আর অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ভিআইপি পাস পাচ্ছি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারাদেশ থেকে একসাথে ঢাবিতে ঢুকে একটা রেকর্ড গড়ব। সারা বছর রোগী টানি আমরা, এবার একটু আনন্দ ফুর্তিও করা যাবে ৩১ তারিখ। গ্যাসের সাথে এক্সট্রা তেল পানিও নিয়েছি। হেব্বি একটা ইভেন্ট হবে।

এসব ঘিরে নানা রকম গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যেই। বাস্তবিক অর্থে, এটি কি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের দিন, নাকি অ্যাম্বুলেন্সদের ভিন্নধর্মী আনন্দ উদযাপন—তা স্পষ্ট নয়। তবে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ৩১ ডিসেম্বরের বিকেল হয়তো রহস্যের সমাধান করবে, অথবা এই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করবে।

 

১৪৯ পঠিত ... ১৭:৪৭, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

Top