কারাগারে আটক অন্য নেতাদের সাথে চৌদ্দশিক নামের ব্যান্ডদল গঠন করলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

১৫০ পঠিত ... ১৭:৪৮, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

21

জুনাইদ আহমেদ পলক কারাগারে বসে চৌদ্দশিক নামের নতুন ব্যান্ড গঠন করেছেন! সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের দাবি, রাজনীতি তাকে কখনোই পুরোপুরি তৃপ্তি দিতে পারেনি, কারণ তার অন্তরে লুকিয়ে ছিল শিল্পী সত্তা। কারাগারের খিচুড়ি ও আয়োডিন লবণ খেয়ে তার একদিন মনে হয়েছে তিনি তো আসলে জাত শিল্পী,পরিবারের চাপে রাজনীতি করলেও তার মন জুড়ে খালি গান, গান আর গান। পলক আওয়ামীলিগের আরও দুই নেতা—ব্যারিস্টার সুমন (বেজ গিটার) এবং ডা. মুরাদ (কাহন)—কে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন চৌদ্দশিক।

এ পর্যন্ত তারা বেশ কিছু মৌলিক গান লিখে ফেলেছেন। ব্যান্ডের সকালের লাইভ পারফরম্যান্সে এখন কয়েদিদের ঘুম ভাঙে। নতুন সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনাও চলছে। সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু এবং ডা. দীপু মনিকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে গান শেখানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে কারা কর্তৃপক্ষ চৌদ্দশিকের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ। এক কর্মকর্তার ভাষায়, তিনজন মিলে গান গাইলে তো সহ্য করা যেত। কিন্তু এখন তারা পুরো ব্যান্ড প্রজেক্ট চালু করে কারাগারকে পাগলদের স্টেজ বানিয়ে ফেলেছে। মনে হচ্ছে, আমরা কয়েদি, আর তারা কর্তৃপক্ষ।

কয়েদিদের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। প্রথমদিকে চৌদ্দশিকের গান তাদের বিনোদনের একমাত্র উৎস হয়ে উঠলেও, অন্য নেতাদের দিয়ে গান গাওয়ানোর চেষ্টা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এক কয়েদি বললেন, চৌদ্দশিক আমাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। কিন্তু এখন তারা আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। শুরুর দিকের তিন জনের চৌদ্দশিকের পক্ষে ছিলাম, এখন যা করছে সেটার পক্ষে নাই।

এরমধ্যে এক কয়েদি তাদের গান শুনে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল বলে কারাগারে বেশ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কারাগারের কয়েদিদের সর্দার ঘোষণা দিয়েছে , হয় চৌদ্দশিক তাদের গান থামাবে নাহয় আমরা সবাই কাল থেকে নিজেরা গান গাওয়া শুরু করব, বাকিটা আপনারা বুঝবেন। এক কয়েদি অবশ্য এক ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তিনি চৌদ্দশিকের কাছে আপাকে নিয়ে গান শুনতে চান, বিশেষ করে – আপা তুমি আমার জীবন, আপা তুমিই আমার মরণ। আপাকে দেখতে পারি না, তার গান শুনলে কিছুটা মন ভালো হয়। জেলে তো আপাকে আনতে পারছেন না আপনারা, গানে গানে যদি আপাকে একটু নিয়ে আসা যায়। 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ পলক ও তার ব্যান্ডমেটদের আলাদা সেলে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে। কারাপ্রধান জানিয়েছেন ৪/৫ জন মানুষের গানের জন্য তারা অন্য সব কয়েদির ওপর মানসিক চাপ সহ্য করবেন না। চৌদ্দশিকের গান শুনে বাসায় ফিরে গান শুনতে পর্যন্ত ভয় পাই আমি, আর যারা ওদের সাথে থাকে তাদের কী অবস্থা সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন, এমনটাই বলছিলেন তিনি।

 

 

১৫০ পঠিত ... ১৭:৪৮, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

Top