বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিরা পদত্যাগ করতে চায় না কেন? 

১৮৬ পঠিত ... ১৭:১২, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

4-thumb

আমাদের দেশে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো পদে আসার পর আমরা দেখি, তারা যেন ওই পদের সাথে আটকে যান। অপরাধ ও ভুল করলে যেখানে অন্যান্য দেশে পদত্যাগের রীতি রয়েছে, বাংলাদেশে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। অপরাধ করেও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রবণতার পেছনে কী কী কারন থাকতে পারে সেটা নিয়ে আমাদের এক্সপার্টরা  গবেষণা কর এর পেছনে বেশ কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন, তাই আপনাদের জানাচ্ছি।

 

১। চেয়ারের সাথে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হয়ে যায়

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ উচ্চ পদে আসীন যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের চেয়ারের সাথে লাভ এট ফার্স্ট সাইট হয়ে যায়। প্রথম দেখাতেই প্রেম। কথায় আছে, প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। আর সেটা যদি হয় চেয়ার, তাহলেও ভোলা যাওয়ার কথাই না। সেজন্য তারা পদত্যাগ করেন না। 

 

২। চেয়ারে বসলেই এক অদ্ভুত মায়াতে আটকে যান

হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, মায়া বহুত খারাপ জিনিস। একবার কেউ এই মায়ায় আটকে গেলে তার জীবন শেষ। ওনারা পদের মায়ায় পড়ে যান। একবার চেয়ারে বসে গেলে এই মায়া তারা আর ত্যাগ করতে পারেন না।

 

৩। চেয়ারই তাদের আটকে রাখে

পদত্যাগ না করায় আসলে তাদের একেবারেই কোন দোষ নাই। বরং চেয়ারই তাদের আটকে রাখে। উচ্চ পদের চেয়ার গুলোর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হলো মানুষকে আটকে রাখা। তারা মনে মনে পদত্যাগ করতে চাইলেও চেয়ারের প্রেসারে শেষ পর্যন্ত আর করে উঠতে পারেন না।

 

৪। তাদের ডিকশনারিতে পদত্যাগ শব্দ নাই

অন্য সবার ডিকশনারিতে পদত্যাগ শব্দটা থাকলেও তাদের কাছে এই শব্দ নেই। যারা পদত্যাগ শব্দটাই জানে না তাদের পদত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ডিকশনারিতে আছে পদযোগ শব্দ। সেজন্য একটা পদে থেকে চান্স পেলেই তারা আরেকটা পদযোগ করেন। 



৫। পদত্যাগ করতে ভয় পান

একবার উঁচু পদে বসলে তাদের কাছে মনে হয় পদত্যাগ করলে বুঝি পা ত্যাগ করে ফেলতে হবে। পা ত্যাগ করে আজীবন কেউ পঙ্গু হয়ে থাকতে চায় না বলে পদত্যাগ করতে  তাদের এত অনীহা। 

 

৬।  চেয়ার অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়

অন্য সব মানুষ বাতাস থেকে অক্সিজেন নিলেও তাদের অক্সিজেনের সাপ্লাই আসে মূলত তাদের চেয়ার থেকে। পদত্যাগ করার কথা চিন্তা করলেই তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর পদত্যাগ করে ফেললে নির্ঘাত মারা যাবেন বলে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন না কেউ।

 

৭। অ্যাটাচমেন্ট ইস্যু 

বড় বড় পদে যারা থাকেন তাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় চেয়াদের সাথে একটা এটাচমেন্ট ইস্যু তৈরি হয়ে যায়। চাইলেও ছেড়ে যেতে পারেন না। এই কলিযুগে যেখানে সম্পর্কগুলো ভুগছে ট্রাস্ট ইস্যুতে সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা চেয়ারের সাথে এটাচমেন্ট ইস্যুকে জিইয়ে রেখে বইয়ে যাচ্ছেন মানবতার নজির। 

 

৮। ত্যাগে নয় তাদের ভোগেই সুখ 

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ–বিখ্যাত এই বাণী তারা মানতে চান। তারা বরং স্রোতের বিপরীতে নৌকা চালাতে চাওয়া সেই উলটো মাঝি। সেজন্য ভোগেই তাদের যত সুখ। এজন্য পদও ত্যাগ করেন না। 



১৮৬ পঠিত ... ১৭:১২, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

Top