সায়েন্স ল্যাবে বক্সিং রিং; লাইভ ম্যাচে হবে আধিপত্যের ফয়সালা

৬০ পঠিত ... ১৮ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে

27

ঢাকা শহরের বাতাসে মারাত্বক এক অদ্ভুত ব্যাপার আছে। এখানে পাশাপাশি দু-একটি কলেজ থাকলে, এখানের বাতাসে মাঝেমাঝে বিশেষ ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কলেজের ছাত্ররা রাস্তায় বের হয়ে প্রতিপক্ষ কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে গ্যাঞ্জাম, মারামারি করতে যায়। কখনও কখনও, এসব গ্যাঞ্জাম এতই বড় হয়ে যায় যে সহজে ঘটনাটার ফয়সালা হয় না। তখন দুই কলেজের ছাত্রদের সবাই যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়তে চায়।

সায়েন্স ল্যাব মোড়ের আশেপাশে থাকা সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে গ্যাঞ্জামের ইতিহাস অনেকটাই সায়েন্সল্যাব কেন্দ্রিক। মন খারাপ থাকলে এসব কলেজের ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে গ্যাঞ্জাম করে, কারা জিতল সেটা বোঝার আগেই পুলিশ ও র‍্যাব এসে মাঝখানে হস্তক্ষেপ করে। ফলে কোন পক্ষ জিতল, সেটা স্পষ্ট হয় না, এবং কয়েকদিন পর আবারও মাঠে নামে তারা।

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকার এমন ধরনের ঝামেলা মোকাবেলার জন্য বিশেষ এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সায়েন্স ল্যাব চত্বরে বক্সিং রিং বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দুই কলেজের মধ্যে ঝামেলা হলেই একটি বক্সিং ম্যাচ আয়োজন করা হবে, যেখানে ছাত্ররা তাদের প্রতিনিধি পাঠাবে এবং এক ম্যাচেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

সরকারের এই উদ্যোগকে ছাত্ররা এবং সাধারণ জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। সায়েন্স ল্যাবের এক দোকানদার জানিয়েছেন, যদি সায়েন্সল্যাবে মাঝে মাঝে বক্সিং ম্যাচ আয়োজন করা হয়, তবে আমাদের ব্যবসা অনেক ভালো হবে, পাশাপাশি বিনোদনও পাব প্রচুর।

ছাত্ররাও এই ঘোষণায় বেশ উচ্ছ্বসিত। তারা বলছে, অন্য কলেজের সঙ্গে নানা কারণে আমাদের গ্যাঞ্জাম হতে থাকে। এখন যদি বক্সিং ম্যাচ হয়, তাহলে সেটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাভারেজ পাবে এবং নিজেদের সিভিতে উল্লেখকারার মতো কিছু ঘটনার সাক্ষী হতে পারব।

বক্সিং ম্যাচের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম আমরা। তারা জানিয়েছেন প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক হেভি ওয়েটের ম্যাচ হবে। আলোকসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম লাইভ টেলিকাস্টের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এই ম্যাচ প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে হবে, যে কলেজের ছাত্র ম্যাচ জিতবে তারা পরের পাঁচ বছর রাম রাজত্ব করতে পারবে, পুলিশ ও তাদের পক্ষেই থাকবে এই সময়ে। 

 

৬০ পঠিত ... ১৮ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে

Top