ইদানীং বাংলাদেশে কোথাও গোলমাল, অনিয়ম কিছু হলেই সবাই বলছে ইউসুফ সরকার এর জন্য চরম মূল্য দেবে। যা কিছু হোক ইউসুফ সরকারকেই দায়ভার নিতে হবে দেখে বোঝা যেত না তারা আসলে কার কথা বলছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছেন, বলা যায় এখন ইউনূস সাহেবের সরকার দায়িত্ব আছে। তাহলে কে এই ইউসুফ সরকার?
ইউসুফ সরকার কে বা কারা, কোত্থেকে এলো সেটা খুঁজতে গিয়ে আমরা ইন্টারনেটের নানা অলি-গলি ঘুরে বেরিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ইউসুফ সরকার নামটি দেখতে পেলেও কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল কিংবা প্রথমে কে বা কারা ব্যবহার করেছিল, সেটাই খুঁজছিলাম। বেশ সময় নিয়ে খোঁজাখুঁজির পর যখন খুঁজে পেলাম, তখন আমরা পাইলাম, ইহাকে পাইলাম বলে দুই মিনিট লাফঝাঁপ করে আপনাদের জানানোর জন্য লিখতে বসলাম।
ইউসুফ সরকারের জন্ম
মূলত ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউসুফ সরকার হিসেবে ডাকছে। ইউনূস সরকার 'সুইজারল্যান্ড প্রবাসী' নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত একটা পেজের পোস্টের মাধ্যমে ইউসুফ সরকার হিসেবে খ্যাতি পায়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর, এই পেজ থেকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ইউসুফ সরকারের কাছে আমাদের প্রবাসীদের ৭ দফা দাবি’ শিরোনামে পোস্টটি দেওয়া হয়, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে প্রবাসীদের ৭ দফা দাবির কথা উল্লেখ করা হয়।
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী পেইজ থেকে ইউসুফ সরকার ডাকা শুরু করলে সেটা ধীরে ধীরে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে সুইজ্যারল্যান্ড প্রবাসী পেজটি তাদের ইউনিক পোস্টের জন্য অনেক পপুলার। আঞ্চলিক ভাষায় লেখা পোস্টগুলো এতই জনপ্রিয় যে ইন্টারনেট কালচারে তাদের পেজের দুইবার কামরুজ্জামান, প্লাম্বার গনিমিয়া সহ বেশ কিছু চরিত্র পপ কালচারের অংশ হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই।
এর আগেও আমরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের বেশ মজার মজার নাম দেখে এসেছি। শেখ হাসিনাকে আপা বলে ডাকা থেকে শুরু করে ওবায়দুল কাদেরের কাউকা কাদের নাম ফেসবুক ও জনপরিসর থেকে জনপ্রিয় ট্যাগে রূপ নিয়েছিলো। এবং এই নামগুলো ধীরে ধীরে পপ কালচারের অংশ হিসেবে নিজের অবস্থান করে নেয় বেশ পাকাপোক্তভাবেই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন