বছর দুয়েক আগে, বছর দুয়েক পরে

১১০ পঠিত ... ১৮ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে

6

লেখা: রাজীব কান্তি রায়  

মনে পড়ে, প্রায় বছর দুয়েক আগে এক রাতের বেলায় ওই দেয়ালে গ্রাফিতিটি এঁকেছিলাম। পাশে সূর্যসেন ও ক্ষুদিরামের গ্রাফিতি ছিল, সেগুলোর কাজ পুরো শেষ করতে পারিনি বলে পরে তা নষ্ট হয়ে যায়।

রোকেয়ার যে ছবিটি অনেকের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ওই দৃশ্য দেখা সত্যিই বেদনাদায়ক। শামসুন্নাহার হল গেটের অপজিটে জগন্নাথ হলের দেয়ালে গ্রাফিতিটি অনেকদিন ঠিকঠাক ছিল। অনেকেই ওই দেয়ালে অনেক কিছুই করেছে। কেউ দেয়াল লিখন করেছে, কেউবা পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। কিন্তু রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কেউ হাত দেয়নি। মানুষের সেই শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ছিল বলেই কেউ তা মোছেনি। কিন্তু অবাক লাগে এই ভেবে যে, ছবিটাকে বিচ্ছিরি ভাবে নষ্ট করে দেওয়া হলো। একেবারে মুছে দিলে হয়ত এত ক্ষোভ জন্মাত না।

যে শিক্ষার্থী এই মানহানিকর কাজটি করেছেন, তিনি একাই পরিকল্পনা করে এটি করেছেন বলে মনে হয় না, যদি না তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকেন। কারা তাকে এই কাজে উৎসাহিত করল!

467684566_3619781264833929_8826386820416308525_n

যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়ার নামে হল থাকে, সেখানে কেন রোকেয়ার গ্রাফিতি থাকতে পারবে না? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া যে মেয়েটি এই কাজ করলেন তিনি কি জানেন, এই রোকেয়ারাই তার মতো মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের রাস্তা তৈরিতে অবদান রেখেছিলেন!

ধর্মকে ঢাল হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার রাজনীতি অনেক পুরোনো, অথচ এখনও কার্যকর! গ্রাফিতি মুছে দিয়ে সেই মেয়ে নিজে স্বীকার করেছেন যে কাজটি তিনিই করেছেন। এবং যুক্তি দিয়েছেন কেন সেটা মোছার দরকার পড়ল। এ কেমন কথা, কেমন যুক্তি! এই কুযুক্তি দিয়ে পার পাওয়া যায় কী! তা পাওয়া গেলেও মানুষের মননে যে রোকেয়া ঘুমিয়ে আছেন, তাকে কী নষ্ট করে দেওয়া যায়!

ওই দেয়ালে গ্রাফিতিটি আবার আঁকা হবে। এবং আগের থেকেও ঘটা করে, আড়ম্বর করে।

১১০ পঠিত ... ১৮ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top