কলকাতার বুকে নতুন এক হাহাকার। শান্তি চাই! শান্তি চাই! বলে যেন বিবাহিত পুরুষদের দল দিশেহারা। পরিবারের অশান্তি দূর করতে অনেকেই ধর্ম, দার্শনিক পরামর্শ, এমনকি গুগলের ওপরও নির্ভর করেছেন। কিন্তু ফলাফল সেই এক—শূন্য। অবশেষে, নিজেদের শেষ আশা হিসেবে তারা তাকিয়ে আছেন একজনেরই দিকে, যার নাম শুনলেই নাকি মনের মধ্যে ঠান্ডা হাওয়া বয়—মমতা ব্যানার্জি।
মমতা ব্যানার্জি, যিনি একদিকে ভারতের রাজনীতির এক রঙিন চরিত্র, অন্যদিকে শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাতে চাওয়ায় তিনি শান্তির পায়রা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন ভারতজুড়ে।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা, এক ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা, ফেসবুকে লিখেছেন, অফিস থেকে ফিরলে এখন আর ঘর নয়, যেন যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়। আমার বউ প্রতিদিন নতুন অভিযোগের পাতা খুলে বসে, আর আমি রাতের খাবারের বদলে শান্তি খুঁজতে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করি। কিন্তু কাল মমতা ব্যানার্জির ভাষণ শুনে নতুন আশা পেলাম। উনি যদি একটু সময় দিতেন আমাদের মতো অসহায় পুরুষদের, তাহলে হয়তো ঘরের শান্তি ফিরত!
শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়, গোটা কলকাতাজুড়ে এই একই গল্প। স্ত্রীদের অভিযোগ, স্বামীদের সব কিছুতেই গাফিলতি। স্বামীদের বক্তব্য, স্ত্রীরা অতিরিক্ত চাহিদাপূর্ণ মানসিকতার। এমন অবস্থায় এক বিবাহিত পুরুষের প্রস্তাব, মমতা পিসি যদি দম্পতিদের জন্য এক হেল্প লাইন চালু করতেন!
খবর নিয়ে জানা গেছে হেল্প লাইনে সময় দেওয়ার মতো সময় না থাকায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে এবার নিজে রান্নাঘরে নেমেছেন মমতা ব্যানার্জি। তার নিজস্ব রিসিপি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশেষ এক তেল, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মমতার শান্তি’। গুজব আছে, এই তেল যারা ব্যবহার করবে, তারা সবাই শান্তিপূর্ণ হয়ে যাবে। ঝগড়ার বদলে চুলে তেল মালিশ করে একে অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করবে।
মমতার বাড়ির কেয়ারটেকার eআরকি-র প্রতিনিধিকে জানান, দিদি রাতে বিশেষভাবে তেল বানাচ্ছেন। কয়েকজন বাবু এসে জিজ্ঞেস করেছিলেন তেলের দাম। দিদি শুধু হেসে বললেন, তেলের দাম পরে, আমার আগে শান্তি চাই, আর কিছুই চাই না আমি।
এদিকে কলকাতার রিলেশনশিপ থেরাপিস্টরা আছেন মহা চিন্তায়। এক প্রথিতযশা থেরাপিস্ট বললেন, আমার মনে হচ্ছে, আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হব। মমতা ব্যানার্জির মতো পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই। উনি আসলে শুধু রাজনীতি নয়, সম্পর্ক বিজ্ঞানেও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বসে আছেন মনে হচ্ছে।
তবে সবাই এই তেল পেতে মরিয়া হলেও মমতা এখনও মুখ খোলেননি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তার দলের এক সদস্য বলেন, দিদি একদিনে সবার ঘরে শান্তি আনতে পারবেন না। তবে চেষ্টা করবেন, কারণ তিনি গণ মানুষের মমতা।
মমতা ব্যানার্জির শান্তি তেলের অফিশিয়াল লঞ্চ কবে হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো ঘোষণা নেই। কিন্তু এ কথা নিশ্চিত, মমতার হাত ধরে এ পার বাংলায় শান্তি না আসলেও ওপার বাংলায় অবশ্যই আসবে।