নস্ত্রাদামুস ছিলেন ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা। ফরাসি বিপ্লব, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কিংবা বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়েছিলেন তাঁর লেখায়। অনেকদিন পর বাংলাদেশ পেয়েছে আরেক নস্ত্রাদামুস। এমন রেঁনেসা কিংবা রিবার্থের উদাহরণ পৃথিবীতে খুব কমই ঘটেছে।
সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার দেখানো রাস্তায় হাঁটছেন এবং হেঁটেছেন সহস্র ছাত্র। একই সাথে তিনি ছিলেন ছাত্রদের অধিপতি, অভিভাবক এবং নিয়ন্ত্রক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে এখনো রয়ে গেছে তার পায়ের ছাপ। সাদ্দাম হোসেনের কোমল ভালোবাসা এবং গরম শাসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ছাত্র রাজনীতির এক সুগম পথ। ছাত্ররাজনীতিতে সাদ্দাম হোসেনের অবদান বলতে গেলে এই লেখাটি হয়ে যাবে লা মিজারেবল সাইজের। লেখক এবং পাঠককে উভয়কেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বিস্তারিত বর্ণনায় গেলাম না।
তবে সাদ্দাম হোসেন যে সত্যিই বাংলার নস্ত্রাদামুস এর প্রমাণ তো রাখা যেতেই পারে। ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীলীগের ডাকা হরতাল-অবরোধ সম্পর্কে আরও আগেই তিনি বলে রেখেছিলেন মূল্যবান অমর কিছু বাণী। ভিডিওবার্তায় দেখা যায় তিনি বলছেন, পৃথিবীর কোনো দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হয়নি যেখানে নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন আর কর্মীদের দেশে রাজপথে থাকার আহবান জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, দল করতে হবে, রাজপথে থেকে এর ফয়সালা করতে হবে।
কালজয়ী এ বক্তব্যে নড়েচড়ে উঠেছেন বিদেশে থাকা নেতাকর্মীর কিছু দল৷ এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেনের সাথে সরাসরি কথা বলতে গেলে তার দেখা পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কী খাচ্ছেন—এ ব্যাপারেও মেলেনি কোনো তথ্য। এদিকে পিও নেতা সাদ্দাম হোসেনের নিয়মিত পদধূলি নিতে না পারায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক কর্মী। কেউ কেউ উদাস হয়ে চেয়ে আছেন সাদ্দামের হাঁটা পথের দিকে। নেতা চলে যায়, রয়ে যায় তার কোট।
তবুও সাদ্দাম হোসেন আমাদের ভালোবাসার নেতা, আমাদের নিজস্ব নস্ত্রাদামুস।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন