শহুরে জীবনে ডিসেম্বরের শহরে গানটি গত ৮ বছর ধরে অ্যাস্থেটিক কালচারের মাইলফলক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। তবে এত বছর পরও এর মিউজিক ভিডিও নেই! এ নিয়ে মানুষের জীবনে চরম নৈরাশ্য দেখা দিয়েছে। অবস্থা এমন, ভিডিওর অভাবে কেউ কেউ এতটাই বিপর্যস্ত যে বালিশ ভিজিয়ে কান্না করেও স্বস্তি পাচ্ছে না।
এমব মানবিক সংকট মেটাতে এগিয়ে এসেছেন জ্যাক মাসুদ, এক জনমতধারক নির্মাতা। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের শহরে গানের মিউজিক ভিডিও তৈরি হচ্ছে। eআরকিকে তিনি বলেন, ভিডিওটা এমন হবে যে দেখতে দেখতে বুকের বাম পাশে কিছু নেই মনে হবে। আসলে যেই ভিডিও দেখবে তারই হার্টবিট থেমে যাবে মুগ্ধতায়।
যদিও কোথায় শ্যুট হবে তা নিয়ে জ্যাক মাসুদ মুখে কুলুপ এঁটেছেন, কিন্তু eআরকি টিমের গোয়েন্দাগিরি এই রহস্য ভেদ করেছে। জানা গেছে, দিল্লির লুটিয়েন্সে ভিডিওর শ্যুটিং হবে। শুটিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে মালপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, গানটির মডেল হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রায় পাকা। যদিও কেউ এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে নির্মাতা টিমের একজন মন্তব্য করেছেন, গানের প্রতিটা লাইন যেন শেখ হাসিনাকে নিয়েই লেখা। 'তারা জানে না কারোর অপেক্ষাতে বাসস্টপে তুই ম্রিয়মান’—এই লাইনটা শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে বাংলাদেশে ফেরার জন্য দিল্লীর বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা শেখ হাসিনা।
এক স্টোরিবোর্ড আর্টিস্ট আরও যোগ করেন, এই গানটা শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। গানটায় যে শূন্যতা আর অপেক্ষার বেদনা আছে, সেটার সঙ্গে উনি পুরোপুরি মিশে যেতে পারবেন। আমাদের কাজ শুধু তা ক্যামেরায় বন্দি করা।
নুসরাত ফারিয়ার এক ভক্ত এই গানের সঙ্গে শেখ হাসিনার কোলাবরেশন নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ডিসেম্বরের শহরে গানেই শেখ হাসিনার মনের ভেতর দেশের জন্য যন্ত্রণা বোঝা যাবে। গানের প্রতিটা লাইনে দেশের স্মৃতি আর ফিরে আসার আকুতি। যদি গানটা হিট হয়, শেখ হাসিনাও একদিন বলতে পারবেন, প্রত্যেক নারীর ভেতরেই এক নুসরাত ফারিয়া বাস করে।