বাংলাদেশ ক্রিটেটের ইতিহাসে মাঝে মাঝে ব্যাটের ঝলক দেখিয়েও রান-না করার এক্সপার্ট হিসেবে লিটন দাস জাতীয় দলে নিজের জায়গা বেশ পোক্ত করে রেখেছেন বেশ আগে থেকেই। দিন যায়, মাস যায় কিন্তু লিটন দাসের রান-না করার ফর্ম কখনো চলে যায় না। এমন বিবেচনায় বিসিবির এনালিস্ট রা লিটন দাসের নতুন পজিশন হিসেবে কিচেন কুক যাকে বলে বাবুর্চি হিসেবে দেখতে চান।
লিটন দাসের পারফর্মেন্স নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই, তিনি রান না করতে পটু বলে তাকে যে রান্না ঘরেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটাকে বেশ ভালো চোখেই দেখছেন ক্রিকেট ভক্তরা। লিটন দাসের এক ভক্ত তাৎক্ষণিক এক মন্তব্য করে ফেসবুকে লিখেছেন, লিটন দসের হাতকে এত দিন পর কেউ ঠিকঠাক মূল্য দিতে শিখছে, লিটন দাস বিসিবিতেই যে শুধু রান না করবেন এমন হলে আমাদের মন খারাপ হবে, আমরা চাই তিনি মাঝেমাঝে ক্রিকেট ভক্তদের নিজের হাতের জশ দেখানোর জন্য পাব্লিক ইভেন্টের আয়োজন ও করবেন।
লিটন দাস যদি রান্না শিল্পে ঢুকে যান তাহলে রাজু দার পরোটা ব্যবসায় ধস নামতে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন খাদ্য বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ। রাজু দা ৩০ টাকায় আনলিমিটেড তরকারির পরোটা বাংলাদেশে পাওয়া যায় না, কিন্তু আমাদের লিটন দাস আনলিমিটেড ডিম উপহার দিয়েছেন খেলার মধ্যে। সে যদি বিসিবিতে টিকতে না পারে তাহলে তো রাস্তায় নেমে পরোটা বিক্রি করবে, সাথে নিজের ঝোলার ডিম গুলোও দেবে, এমন হলে রাজুদাকে আর ভিডিও বানাতে হবে না, সবাই লিটন দার ডিম খাবার জন্য হুমরি খেয়ে পড়বে।
লিটন দাসের সাথে তার নতুন পজিশন নিয়ে কথা বলার জন্য বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কিছুক্ষণ আগে লিটন দাস নামের ফেসবুকের একটা ফেক আইডি থেকে তিনি লিখেছেন, খেলার মাঠ আমার কখনোই ভালো লাগে নাই, আমি যে এত ডাক মারি, এত তাড়াতাড়ি ড্রেসিং রুমে চলে যাই সেটা আপনারা খেয়াল করেন, কিন্তু কেন যাই সেটা তো কখনও জিজ্ঞেস করেননি কেউ। আজ তাহলে বলেই ফেলি, আমি আসলে এক রান না রসিক মানুষ। মাঠে রান না করেই আমি ড্রেসিং রুমে গিয়ে রান্না করি, ম্যানেজমেন্ট এত দিন আমাকে খেলতে পাঠিয়েছে এ কারনেই, সবাই আমার রান্নার এত প্রসংসা করেন যে রান না করা নিয়ে তাদের কোনোই অভিযোগ নেই।
দেশের বড় বড় মিশিলেন শেফরা নিজেদের চাকরি নিয়েও শংকা প্রকাশ করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। লিটন দাসের মত সেলিব্রেটি শেফ যদি একবার রান্নার জাদুতে মাত করে দেন, তাহলে তাদের হোটেলে তো কেউ খেতেই যাবে না, তারা বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন।