[প্রাক সোশ্যাল মিডিয়া যুগের কথা, তখন নানান ধরনের মেইলিং লিস্টে মানুষ পোস্ট, ট্রল, আলোচনা, সমালোচনা করত। পোস্টগুলো হতো বিশাল বিশাল, এক বিতর্ক চলতো কয়েকমাস। মজার মজার চুটকিও ছড়াত। সেই যুগের ঢাউস সাইজের একটা চুটকির ভাবানুবাদ করে গল্প লিখে ফেললাম।]
স্বর্গের বিচারকাজ চলছে মাসখানেক ধরে। বিচারকদের একজন সেইন্ট প্যাট্রিক। একদিন তাঁর মন ভালো নেই, উদাস উদাস ভাব, সিস্টার ক্যাথরিনের কথা মনে পড়ছে শুধু। কানাঘুষায় শুনেছেন, ক্যাথরিন নাকি ব্রাদার জনাথনের সাথে ঘুরতে গেছেন। এসব শুনতে ভাল্লাগে?
আজ তাই আর সেভাবে বিচারও করতে ইচ্ছে করছেনা সেইন্ট প্যাট্রিকের। কয়েকদিন ধরে শুনছেন তিনটা লোক খুব হৈচৈ করছে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ঐ তিনজনের নালিশ, কেন তিনি তাদেরকে এত অভাগা করে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। প্যাট্রিক ঠিক করলেন, আজ বরং খোলা মনে ঐ তিনজনের নালিশ শুনবেন।
১.
প্রথমজন এলো।
ফাদার বললেন, ‘বলো দেখি শুনি, কী এমন দুর্ভাগ্য হয়েছিল তোমার?’
লোকটা করুণ চেহারায় বলা শুরু করলো, ‘বিয়ে করেছি মাত্র দু'বছর, এর মধ্যে হঠাৎ কানাঘুষা শুনলাম আমার বউ আরেক লোকের সাথে প্রেম করছে!’
‘হুমম, দুর্ভাগ্যই বটে’, বলে যেই প্যাট্রিক পরেরজনের দিকে তাকাতে যাবেন, প্রথমজন প্রায় চিৎকার করে বলে উঠলো, 'আরে দাদা, এতো তাড়াহুড়ো কেন, ঘটনা তো সবে শুরু!’
সেইন্টের চোখ সরু হয়ে এলো। মনে মনে বললেন, 'বলে কী হতচ্ছাড়া, আরো আছে?’
লোকটি বললো, 'আরে মশাই, পোড়া কপালের গল্প, একটু বড় না হলে কেমন দেখায়?'
'আচ্ছা বলো, সময় নিয়েই বলো', সেইন্ট প্যাট্রিক লুঙ্গি ঝেড়ে নড়েচড়ে বসলেন।
লোকটি আবার বলা শুরু করলো, 'তো, আমি করলাম কী, একটা ফেউ লাগিয়ে দিলাম খুঁজে বের করতে কোন সে বদমাশ যে কিনা আমার লক্ষী বউটাকে নিয়ে ফস্টিনষ্টি করছে। ফেউ লোকটাকে অগ্রিম দশ হাজার টাকাও দিলাম। কপাল এতোই খারাপ বুঝলেন, দুটো দিনও অপেক্ষা করতে হলো না। এক বিকেলে ফেউ বাবাজি ফোন করে বললো, 'দশ মিনিটের মধ্যে বাসায় চলে যাও, প্রেমিক বাহাদুর এখন তোমার বাসায়ই আছে। বাহাদুরের নাম ঠিকুজিও সে জানিয়ে দিলো।
বৃষ্টি হচ্ছিল, কিন্তু এর মাঝেও রকেটে বাঁধা স্যাটেলাইটের বেগে বাসার দিকে ছুটলাম, দশ মিনিটের জায়গায় সাত-আট মিনিটেই পৌঁছে গেলাম পঁচিশ তলার ফ্ল্যাটে। মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম সরাসরি শোবার ঘরে গিয়ে শয়তান দুটোকে হাতেনাতে ধরবো, কিন্তু ফ্ল্যাটের মূল ফটকের সামনে এসে টের পেলাম উত্তেজনার কারণে চাবি আনতে ভুলে গ্যাছি।
'ব্যাটা দেখি আসলেই কপালপোড়া!’ মনে মনে ভাবলেন সেইন্ট, মুখে কিছু বললেন না। মনোযোগী স্রোতার মতো হাসি ঝুলিয়ে রাখলেন।
লোকটা বলে যেতে লাগলো।
অগত্যা কলিং বেল বাজাতে হলো, কিছুক্ষণের মধ্যেই বউ এসে দরজাও খুলে দিল। অন্যদিনের চেয়ে একটু দেরি হলো কি? সেরকম খুব দেরিও মনে হলো না, তাও জিজ্ঞেস করলাম, ‘এতো দেরি হলো কেন দরজা খুলতে?’
বউ উল্টো খেঁকিয়ে উঠলো, ‘কোথায় দেরি হলো? ঘরের কত কাজ আমায় করতে হয় তুমি জানো? পারো তো শুধু খেতে!’
আমিও রেগে গেলাম, চিৎকার করে শাপশাপান্ত করতে করতে সরাসরি শোবার ঘরে চলে গেলাম, তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম শয়তানটাকে। কোথাও ব্যাটাকে না পেয়ে ফের বের হয়ে আসলাম, প্যাসেজে বউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাথায় রক্ত চড়ে গেল। জিজ্ঞেস করলাম ব্যাটাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে, নামও বললাম।
কিন্তু সে সরাসরি অস্বীকার তো করলোই, অযথা সন্দেহের জন্য আমার চৌদ্দগোষ্ঠী তুলে একগাদা অভিশাপ দিলো।
তবে মশাই, অত সহজে হাল ছাড়ার মানুষ আমি নই। সারা ঘরের খাটের নিচে, আলমারি, কাবার্ড, বাথরুম, টয়লেট, বারান্দা--কিচ্ছু বাদ রাখিনি। কিন্তু কোথাও কেউ নেই! তাহলে কি কানাঘুষা সব গুজব? ফেউ ব্যাটাও মিথ্যে বললো? এতোগুলো টাকা!
কিছুটা অনুতাপ হলো।
ওদিকে বউকে দেখি রক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভেবে দেখুন, কী বিব্রতকর অবস্থা। অযথা সন্দেহ করলাম নাকি! বউয়ের দিকে মুখ তুলে তাকাতে পারছিনা। শেষে পরিস্থিতি এড়াতে বারান্দায় গিয়ে উত্তর দিকের কোনায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম।
'তাহলে তোমার দুর্ভাগ্য কোথায়? এমন সতী সাধ্বী … ‘সেইন্ট প্যাট্রিক বলতে গিয়েও শেষ করতে পারলেন না।
লোকটা প্রায় গর্জে উঠলো, 'মশায়, আপনার ধৈর্য্য এতো কম কেন? সবে তো ভূমিকা শেষ হলো। এতো কম ধৈর্য্য নিয়ে বিচার করেন কীভাবে, এ্যাঁ? ঈশ্বর আর লোক পেলোনা!’
'আচ্ছা, বলো বলো।’ প্যাট্রিক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।
লোকটা আবার বলা শুরু করলো।
তো, বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে খেতে ধাতস্থ হচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম ফেউ হারামজাদার কাছ থেকে কীভাবে দশ হাজার টাকা ফেরত আনা যায়। ওদিকে ঘরের ভেতর বউকেও খেয়াল করছিলাম। সে শুধু ঘড়ি দেখছিলো আর আমার দিকে তাকাচ্ছিলো। নিশ্চয়ই অপেক্ষায় আছে সিগারেট শেষে কখন আমি আবার ভেতরে ঢুকবো। ভেতরে ঢুকলে এই দফা ভর্তা বানিয়ে ফেলবে নিশ্চয়ই, সাহস হচ্ছিল না। আরেকটা সিগারেট ধরালাম। অনুতাপ হলো, কেন যে লোকের কানাঘুষায় কান দিতে গেলাম!
ঠিক তখনই, বুঝলেন ফাদার, ঠিক তখনই মনে হলো বারান্দার দক্ষিণপাশ থেকে কেমন যেন কুঁইকুঁই করে একটা শব্দ আসছে, অনেকটা কনস্টিপেশন রোগী সপ্তাখানেক পেট আটকে গেলে যেভাবে কোতায়, সেরকম। তড়িৎ গতিতে বারান্দার ঐ পাশে গিয়ে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ!
দেখি কী জানেন?
কোনোভাবে দুহাতে বারান্দার রেলিং আঁকড়ে ধরে একটা লোক বাইরের দিকে ঝুলে আছে। সুঠাম দেহের ভীষণ হ্যান্ডসাম একটা ছেলে। আমাকে দেখে করুণ চেহারায় বললো, 'ভাই, আমাকে বাঁচান। প্লিজ।' আহারে বেচারা, দ্রুতসম্ভব বাঁচাতে হবে ভেবে 'একটু দাঁড়ান' বলে, পরমূহুর্তেই মনে হলো, আরে, এই তো সেই প্রেমিকপ্রবর নাগর মহাশয়! ফেউ ভাইজান তো মিথ্যে বলেনি! মনে মনে বললাম, শালা, তোমার শখ কতো! আমার সুন্দরী, তন্বী, একমাত্র বউটার সাথে রমণ করবে, আবার আমাকেই বলো বাঁচাতে!বারান্দাতেই একটা হাতুড়ি ছিলো, ওটা নিয়ে ‘দাঁড়ারে বাপধন, দেখ তোকে কেমনে বাঁচাই!’ বলতে বলতে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে ব্যাটার দুহাতে ইচ্ছেমতো হাতুড়িপেটা করলাম। তবে মশায়, বুঝলেন, বেশ কিন্তু আরাম পাচ্ছিলাম পিটিয়ে, হেহেহে।
এমন করে পেটালাম, বুঝলেন, ঝুলে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করেও শেষমেষ ব্যাটা হাল ছেড়ে দিলো, সরাসরি ধপাৎ ধরণীতল।’
'কী ভয়ংকর!’ প্যাট্রিক বিড়বিড় করলেন।
‘কিন্তু মশাই, ঐ যে বললাম, আমার পোড়া কপাল। আমি পড়লে পড়তাম মালির ঘাড়ে, আর এ ব্যাটা গিয়ে পড়ল এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের সামনে বেডের মতো সাজানো ঝোপের ওপর! ব্যাটা মরলো তো নাইই, হয়তো তেমন করে হাত-পাও ভাঙলোনা। রাগে, দুঃখে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গেলাম, এতো ব্যাডলাক কী মানা যায়! অসুরের শক্তি ভর করলো গায়ে। রান্নাঘরে গিয়ে বাসার ফ্রিজটাকে পাঁজা করে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। আমার স্ত্রী বারবার থামানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু কোনো বাঁধা আমাকে আটকাতে পারলো না। এতো উপর থেকে ফ্রিজটাকে একদম সোজা লোকটার শরীর বরাবর ফেলে দিলাম। আমার এতো সাধের পঞ্চাশ হাজার টাকার ফ্রিজ, সোজা গিয়ে হারামজাদার গায়ের ওপর ল্যান্ড করলো।
'বলে কী ব্যাটা!’ প্যাট্রিক আবারও বিড়বিড় করলেন।
‘কিন্তু ঐ যে মশাই, কপাল খারাপ হলে যা হয়। এতো উত্তেজনা, স্ট্রেস, আমার নিজের শরীর আর সহ্য করতে পারলনা। ফ্রিজটা ফেলে দেয়ার সাথে সাথেই আমার হার্ট আ্যাটাক হলো, সেখান থেকে সরাসরি আপনার এই দরবারে। ব্যাটা মরলো কিনা কনফার্ম করে আসতে পারলামনা।’
সেইন্ট প্যাট্রিক তাঁর বিস্ময় কাটাতে পারছেন না। ঈশ্বর কারো কারো ভাগ্য খারাপ করে পাঠান, কিন্তু তাই বলে এতো খারাপ! উদার কন্ঠে বললেন, 'তোমার ব্যাথায় আমি সমব্যাথী। যাও আর কোনো হিসেব ছাড়াই তোমাকে স্বর্গ মঞ্জুর করে দিলাম।’
লোকটি খুশি মনে দরবার থেকে বের হয়ে গেল।
২.
এবার দ্বিতীয়জনের পালা।
'বলো বাপু, তাড়াতাড়ি বলো।’ সেইন্ট প্যাট্রিক আবারও লুঙ্গি ঝেড়ে নড়েচড়ে বসলেন।
দ্বিতীয়জন বলা শুরু করলো, 'ফাদার, আমার কপালটা খুবই খারাপ। এই যে দেখুন আমি মরে আপনাদের কাছে চলে আসলাম, কিন্তু ঠিক কেন এত কম বয়সে কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে মরে যেতে হলো, আমি এখনও জানিনা।’
'হুঁ, আরেকটু খুলে বলো।’ প্যাট্রিককে অধৈর্য শোনালো।
'জ্বি জনাব, বলছি। তার আগে সংক্ষেপে আমার পরিচয় দিই। আমি ছিলাম একজন মডেল ও বডিবিল্ডার। খেলাধুলায়ও বেশ ভালো ছিলাম, দারুণ এথলেটিক। প্রতিদিন সকাল বিকাল একঘন্টা করে ব্যায়াম করা আমার হবি ছিলো। আর দেখতেই তো পাচ্ছেন কতটা সুদর্শন আমি ছিলাম। নিজেকে সবসময় ভাগ্যবান মনে হতো। কিন্তু একটা বাসাবদলই আমার সবকিছু উল্টেপাল্টে দিলো।’
ফাদার প্যাট্রিক ভ্রূ কুঁচকে তাকিয়ে আছেন।
লোকটা বলতে লাগলো, ‘আরেকটু খুলে বলি, তবে। আমি তখন মডেলিং করে ভালো পয়সা কামাচ্ছি। তাই ঘিঞ্জি এলাকা ছেড়ে নতুন একটা বাসা নিলাম। ছাব্বিশ তলা থেকে অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে সকাল বিকাল ব্যায়াম করবো--কত আনন্দ মনে, ভাবুনতো? কিন্তু জানেন, আসলে ঐ অপয়া বাসাটাই আমার সব শেষ করে দিয়েছিল। আমি জানতাম না আমার প্রতিবেশীটা ছিল একটা বদ্ধ উন্মাদ।’
'আরেকটু খুলতে হবে যে বাপু বলো।’ প্যাট্রিক মোলায়েম কন্ঠে বললেন।
‘জ্বী, এখন আসল ঘটনায় আসি। একদিন বিকেলে বাসার বিশাল বারান্দাটিতে ব্যায়াম করছিলাম। ফুরফুরে বাতাস, বৃষ্টিভেজা অপূর্ব দৃশ্য, স্বর্গীয় অনুভূতি। এতোই ভালো লাগছিলো যে ঘন্টাখানেকেরও বেশি চুটিয়ে ব্যায়াম করে ফেললাম। হঠাৎ ঠিক নীচতলার বাসা থেকে প্রচুর হৈচৈ শোনা গেল। মনে হলো নারী নির্যাতন কেস। বয়েসের দোষ, রেলিংয়ে ভর দিয়ে ঝুঁকে দেখতে গেলাম ঘটনা কী। কিন্তু রাশি খারাপ হলে যা হয়। লম্বাসময়ের ব্যায়ামের ঘামে সারা শরীর ভয়ংকর পিচ্ছিল হয়ে ছিল, তাল সামলাতে না পেরে সূড়সূড় করে রেলিং বেয়ে নীচে পড়ে গেলাম।’
'বলো কী?’ এতক্ষণে সেইন্ট প্যাট্রিক চমকে উঠলেন।
'হুঁ, তবে আর বলছি কী? তবে মশাই, খেলাধুলায় খুব ভালো ছিলাম বলেই, মূহুর্তেই নিজের এথলেটিক রিফ্লেক্স কাজে লাগিয়ে ঠিক নিচের তলার বারান্দার রেলিংটা ধরে ফেললাম। রেলিং ধরে ঝুলে রইলাম কিছুক্ষণ, কিন্তু বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে গিয়ে দেখি গলা থেকে কুঁইকুঁই শব্দের বেশি বেরুচ্ছে না, হয়তো ভয় পেয়েছিলাম সাংঘাতিক।
অনেকক্ষণ ঝুলে থেকে আর কোনো আশা নেই ভেবে যখন হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছি, তখনই দেখি দেবদূতের মতো বারান্দায় আবির্ভূত হলেন এক ভদ্রলোক, হাতে সিগারেট। সাহায্য করার কথা বললে, মৃদু হেসে অপেক্ষা করতে বললেন। কিন্তু ফাদার, কপাল যে আমার আসলেই খারাপ করে রেখেছেন আপনার ঈশ্বর! দেবদূত বলে মনে হওয়া ঐ লোকটা, ও ব্যাটা আসলে ছিল একটা ভয়ংকর উন্মাদ! কথা নেই, বার্তা নেই, মিনিটখানেকের মধ্যেই কোথা থেকে ইয়া বড় দামড়া সাইজের একটা হাতুড়ি এনে সে এলোপাথাড়ি পেটানো শুরু করলো আমার দুহাতে।’
'হুমম, বুঝতে পারছি। তারপর তোমার গায়ের ওপর একটা বিশাল সাইজের ফ্রিজ ফেলে দিয়েছিল, তাই না?’ ফাদার স্মিতহাস্যে বললেন।
'হ্যাঁ, হ্যাঁ, ফাদার! বিলকুল তাই। কিন্তু, আপনি জানলেন কিভাবে?’ লোকটা বিস্মিত!
'হা হা হা, যেভাবেই হোক, জেনেছি তো! তবে আমি একমত তোমার মতো এমন অভাগা আমি আর একটিও দেখিনি। যাও, তুমি সোজা স্বর্গের সবচেয়ে ভালো ঘরটায় চলে যাও।’
সেইন্ট প্যাট্রিকের দ্বিতীয় হিয়ারিংও শেষ।
৩.
এবার এলো তৃতীয় জন। একটু দম নিয়ে বলা শুরু করলো, ‘স্যার কল্পনা করুন, আপনি আধঘন্টা ধরে একটা ফ্রিজের ভেতর লুকিয়ে আছেন, সারা গায়ে একসূতো কাপড় নেই...!'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন