২০টি মজার রাজনৈতিক কৌতুক যা পড়লে আপনাকে হাসতেই হবে

১৪৪৪৬ পঠিত ... ০২:১৮, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

১#
‘আচ্ছা তোমরা এই যে রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে যাও কত করে পাও?’
‘যেই দলের মিটিংয়ে যাই তারা দেয় পঞ্চাশ ট্যাকা আর যেই দলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেই তারা দেয় ত্রিশ টাকা।’
‘কেন ওরা ত্রিশ টাকা দেয় কেন?’
‘ঐ যে মিটিংয়ে নেতা বক্তৃতা দিতে উঠলে পঁচা ডিমতো আমরাই মারি!’

২#
‘শুনেছিস, বক্তৃতাবাজ নেতা রমিজ তো সবজি ব্যবসায় নেমেছে।’
‘কেন? এত ব্যবসা থাকতে সবজি ব্যবসা কেন?’
‘ও বক্তৃতা দিতে উঠলেই টমেটো, বেগুন... এসব জুটতো। শ্রোতারা সেগুলি দিয়েই...’

৩#
নেতা কার্যালয়ে গিয়ে তার সেক্রেটারিকে তলব করল—
‘দেখো তো কাল যে খাদ্য পরিস্থিতির উপর বক্তব্য রাখলাম সেটা কাভারেজ কেমন হয়েছে।’
একটু পর কয়েকটা দৈনিক কাগজ নিয়ে সেক্রেটারি এসে জানাল, ‘স্যার সবাই আপনার বক্তব্য মেয়েদের পাতায় ‘রেসিপি’
হিসেবে ছেপেছে।’

৪#
‘বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস!’
‘কোন বন্দুক দুনলা না এক নলা?’

৫#
কার্ল মার্কস এর স্ত্রীকে ‘দাস ক্যাপিটাল’ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষণ্ন কণ্ঠে বলেন, ‘ও দাস ক্যাপিটাল না লিখে যদি শুধু
ক্যাপিটাল-এর দিকে একটু মনোযোগ দিত...’

#৬
‘তোমার একটা ছেলে নাকি বখে গেছে?’
‘(দীর্ঘশ্বাস) ঠিকই শুনেছ।’
‘তা করেছে টা কী? লুটপাট, চুরি, ছিনতাই?’
‘তার চেয়েও খারাপ।’
‘মানে?’
‘রাজনীতিতে ঢুকেছে।’

৬#
‘আচ্ছা আপনি পলিটিকস করেন?’
‘সত্যি কথা বলব?’
‘হ্যাঁ, বলুন।’
‘সত্যি কথাটা হচ্ছে আমি আসলে রাজনীতি বুঝি না, তাই পলিটিকস করি।’

৭#
‘কিরে তোর চাচা যে পলিটিকস করত সে এখন কী করছে?...শুনলাম অবসর নিয়েছেন রাজনীতি থেকে?’
‘পলিটিকসের কাছাকাছিই আছে।’
‘কী রকম?’
‘আগে জনগণকে বক্তৃতা শুনাত এখন তার পলিট্রি ফার্মের মুরগিদের বক্তৃতা শোনায়!’

৮#
‘কী ব্যাপার হঠাৎ গাধা সম্পর্কে এত খোঁজ-খবর নিচ্ছিস যে?’
‘আমার চাচা জীবনী লিখছেন যে।’
‘মানে!’
‘মানে উনি আবার একসময় রাজনীতি করতেন যে!’

৯#
রাজপথের পাশে এক প্যাথলজি ক্লিনিক। তার মালিক গর্ব করে বলছিল, ‘আমি দেশের সব নেতার রক্তের গ্রুপ জানি।’
‘কিভাবে?’
‘বাহ্‌ এই রাজপথেই তো তারা প্রতি সপ্তাহে মিটিং করে গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিচ্ছে।’

১০#
নেতা : প্রয়োজনে রাজপথে বুকের সব রক্ত ঢেলে দেব।
সাংবাদিক : কিন্তু আমরা তো শুনেছি আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।

১১#
‘সব রাজনীতিবিদরাই দেখবি অ্যানিমিয়ায় ভোগে।’
‘কেন?’
‘ওরা বারবার রাজপথে বুকের রক্ত ঢালে যে!’

১২#
সরকারি দলের এক নেতা জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছিলেন। বক্তৃতা শেষে হাত তুলল এক দর্শক।
‘আপনি কিছু বলতে চান?’ নেতার প্রশ্ন।
‘হ্যাঁ, আপনার বক্তৃতার প্রতিটি শব্দ একটি বই থেকে নেয়া।’
শুনে নেতা থতমত খেয়ে গেলেন। তোতলাতে তোতলাতে বললেন, ‘কী বলতে চান, আ-আপনি? কোন বই?’
‘বইটা আমার বাসায় আছে।’
‘আমি বইটি দেখতে চাই।’
‘বেশ আমি বাসায় গিয়ে বইটি পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
নেতা বইটি পেলেন কিছুক্ষণ পর। বইটি একটা বাংলা ডিকশনারি।

১৩#
বিএনপি আমল। সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আর্মি নামানো হয়েছে। খামাকা এক পথচারীকে ধরে আর্মিরা দশবার কান ধরে উঠবস
করতে বলল। লোকটি দশবারের জায়গায় বিশবার উঠবস করল।
‘ওকি আপনাকে দশবার করতে বললাম, বিশবার করলেন কেন?’
‘দশবার আপনারা বললেন তাই আর দশবার করলাম বিএনপিকে ভোট দিয়েছি সে জন্য।’

১৪#
নেতা : আমার মনটা মুক্ত আকাশের মতো খোলা।
জনৈক : বেশি খোলা দেখেই ময়লা জমেছে!

১৫#
একবার এক চাকরিপ্রার্থী অখণ্ড বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হকের কাছে এসেছিলেন চাকরির জন্যে। ফজলুল হক তাকে
জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত দূর লেখাপড়া করছ?’
চাকরিপ্রার্থী : আজ্ঞে ভালোভাবে বি.এ. পাস করেছি।
হক সাহেব : ওই তো সব্বনাশ করছ। লেখাপড়া কিসু না করতা যদি তবে তোমারে একটা মন্ত্রী কইরা দিবার পারতাম।

১৬#
রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু : কখনো চোখ বুজে বক্তৃতা করবে না।
শিষ্য : কেন?
রাজনৈতিক গুরু : চোখ খুললেই দেখবে সামনে একজন দর্শকও নেই।’

১৭#
এক রাজনীতিবিদ এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন। অভিনেত্রীর চরিত্রের খোঁজখবর নেয়ার
জন্য এক প্রাইভেট ডিটেকটিভ লাগালেন। ডিটেকটিভ বেশ কিছুদিন ঘুরে খবর আনল—অভিনেত্রীর চরিত্র খুব ভালো—তবে
সম্প্রতি এক লম্পট পলিটিশিয়ানের ফাঁদে পড়েছে।

১৮#
এক দুশ্চরিত্র রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে পাদ্রী তার খুব গুণগান করে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
মৃতের স্ত্রী স্বামীর প্রশংসা শুনতে-শুনতে একপর্যায়ে পাশে বসা তার ছেলেকে বললেন, ‘যা তো, একবার উঁকি মেরে দেখে
আয় সত্যিই ওটা তোর বাপের লাশ কি না।’

১৯#
শিক্ষক ক্লাসে সবাইকে চার লাইনের একটা কবিতা দশবার লিখতে দিলেন। সবাই লিখল। একজন লিখল মাত্র তিনবার।
‘মাত্র তিনবার লিখেছ যে?’
‘দশ বারই লিখেছি স্যার। তিনবার লিখেছি কালো কালিতে বাকি সাতবার অদৃশ্য কালিতে।’
‘বড় হয়ে তুমি কী হবে?’
‘স্যার রাজনীতিবিদ।’
‘তাহলে ঠিক আছে।’

২০#
তরুণ কয়েদিকে দেখে এগিয়ে এলো বয়স্ক কয়েদি—
‘কী করেছিলে?’
‘একটা দোকান লুট করেছিলাম।’
‘আরে ধুর ধুর ব্যাংক লুট করতে পারলে না? তাহলে তো বিখ্যাত হয়ে যেতে?’
‘ব্যাংকে টাকা থাকলে তো, দেশের সব
টাকা তো নেতারা নিয়ে ঋণখেলাপি হয়ে বসে আছে।'

১৪৪৪৬ পঠিত ... ০২:১৮, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top