স্লোভেনিয়ান দার্শনিক স্লাভোয় জিজেকের ১৮টি কৌতুক (১৮+)

১৮৬৫৪ পঠিত ... ১৯:৫০, মার্চ ০১, ২০১৯

[স্লোভেনিয়ান দার্শনিক স্লাভোয় জিজেক তার চিন্তা-ভাবনা সহজে প্রকাশের একটা টুল হিসাবেই জোকরে কাজে লাগান। কমেডিয়ান না হইয়াও তাই লেখায় বা লেকচারে প্রচুর জোকস এন্ড এনেকডোটস ছড়ায়ে দেন জিজেক। জিজেক জোক বলেন তার পয়েন্ট ইলাস্ট্রেট করতে। তার রাজনৈতিক/দার্শনিক/তাত্ত্বিক আলাপে অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগে হেল্পায় জোক তা হোক হেগেলিয়ান ডায়ালেকটিক্স বা লাকানিয়ান সাইকোএনালিসিস। এই কারণে প্রায়ই জিজেক জোকের ব্যাখ্যা করেন, কিভাবে কাজ করে দেখান, অন্য তত্ত্বের সাথে কিভাবে মেলে সেইটাও দেখান জিজেক। 

আম্রিকার এমআইটি প্রেস স্লোভেনিয়ান দার্শনিক-তাত্ত্বিক স্লাভোয় জিজেকের রচনায় প্রাপ্ত সমস্ত জোক একত্রে ‘জিজেক'স জোকস: ডিড ইউ হিয়ার দি ওয়ান এবাউট হেগেল এন্ড নেগেশন?’ নামে বই আকারে প্রকাশ করে। বইটার বেশিরভাগ জোক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের। অনেকগুলা জিসাস ক্রাইস্ট আর ইহুদিদের ব্যবসায়িক এথিক্সের স্টেরিওটাইপ নিয়া। সেই বইয়ে জোক ছিল সর্বমোট ১১৮টি। সেখান থেকে ৩৭টি জোকস বাংলায় অনুবাদ করে 'জিজেকের জোকস' নামে প্রকাশ করেছেন কে এম রাকিব। 'প্রিন্ট পোয়েন্টি' প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সেই বই থেকে ১৮টি বাছাই জোকস প্রকাশিত হলো eআরকি পাঠকদের জন্য।]     

  

 

লাল কালি

আগের দিনের পূর্ব জার্মানিতে এই জোকটা চালু ছিলো। এক জার্মান সাইবেরিয়াতে একটা চাকরি পাইছে। সে জানতো তার সব চিঠি সেন্সরের লোকজন দেখবো। সে তার দোস্তরে কইলো, আসো  আমরা একটা কোড ঠিক করি, যদি নীল কালিতে লেখি তাইলে সত্যি, আর যদি লাল কালিতে লেখি তাইলে বুঝবি মিথ্যা। এক মাস পরে তার দোস্ত চিঠি পাইলো, নীল কালিতে লেখা: এইখানে সবকিছু খুবই ভালো, দোকান সবসময় জিনিসপত্রে ভরা থাকে, অনেক খাবার-দাবার আছে, বিশাল বড় এপার্টমেন্ট আর হিটিং-এর ব্যবস্থা আছে, মুভি-থিয়েটারে ওয়েস্টার্ন সিনেমা দেখায়, অনেক সুন্দরী মেয়ে বইসা রইছে প্রেম করার লাইগা, খালি একটাই সমস্যা, লাল কালি কিনতে পাওয়া যায় না।

 

পুলিশ

পুলিশের দুর্নীতি নিয়া মকারি করা ইউগোস্লাভিয়ার একটা জোকে, একজন পুলিশম্যান অসময়ে বাসায় ফিরা দেখে তার বউ বিছানায় ন্যাংটা হয়া শুইয়া আছে, অবশ্যই হট আর এক্সাইটেড। ওয়াইফের অন্য লাভার থাকতে পারে এমন সন্দেহে, লোকটা ঘরে লুকানো কোনো বেটা মানুষের খোঁজ করতে থাকে। ওয়াইফের মুখটা শুকায়া যায় যখন সে খাটের নিচে উঁকি মারে। কিছুক্ষণ ফিসফিসানির পর, তৃপ্তির হাসি দিয়া পুলিশ বলে, 'সরি জান, ফলস অ্যালার্ম! খাটের নিচে কেউ নাই।' তার হাতে তখন শক্ত কইরা ধরা একতাড়া বড় অঙ্কের নোট।

 

কথা ঘুরাইয়ো না

পুরানা একটা জোক আছে যেইখানে এক লোক নরমাল টাইমের একটু আগে বাসায় ফিরা দেখে তার ওয়াইফ অন্য এক লোকের সাথে ন্যাংটা হয়া শুইয়া আছে। ওয়াইফ তো পুরাই অবাক। সে হাসবেন্ডরে কইলো, 'তুমি এতো আগে ফিরা আসছো ক্যান?'
লোকটা ক্ষেইপা গেলো, 'তুমি আরেক ব্যাটার লগে বিছনায় করতেছোটা কী?'
'আমি তোমারে আগে জিগাইছি, কথা অন্যদিকে ঘুরানের চেষ্টা কইরো না'।

 

ভালো আঙ্কেল 

এই কালের একটা চাইনিজ জোক। দুইটা ফিটাস মায়ের জরায়ুতে বইসা আলাপ করতেছে। একটা বলতেছে, 'আব্বায় আমাদের কাছে আসলে ভালই লাগে। কিন্তু শেষ দিকে সে এতো চেইতা যায় কেন, থুতু দিয়া আমাদের একদম ভিজায়ে যায়?'

অন্য ফিটাস কইলো, 'আসলেই। আমাদের আঙ্কেল অনেক ভালো। সে সবসময় মাথায় রাবারের বানানো একটা সুন্দর হ্যাট পইরা আসে যাতে থুতু না ছেটে।'

 

সেক্স ও মাইগ্রেইন

সেক্স ও মাইগ্রেনের সম্পর্কের তিনটা ভার্শন দিয়া হেগেলিয়ান লজিকের ত্রয়ী সুন্দরভাবে বুঝানো যায়। আমরা ক্লাসিক দৃশ্য দিয়া শুরু করতে পারি: একটা লোক ওয়াইফের সাথে সেক্স করতে চায়। ওয়াইফ বলে,'সরি,  ডারলিং, আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা করতেছে। এখন ওইটা করতে পারবো না।' এই সূচনা অবস্থাটারে নেগেইট বা উল্টাইয়া দেওয়া হয় নারীবাদী মুক্তির উত্থানের মাধ্যমে: ওয়াইফই এখন সেক্স ডিম্যান্ড করে আর বেচারা ক্লান্ত লোকটা জবাব দেয়: 'সরি, ডার্লিং, আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা করতেছে...' শেষ মুহূর্তের নেগেশনের নেগেট কইরা পুরা লজিকটারেই উল্টায়ে দেওয়া হয়: ওয়াইফ বলতেছে, 'ডারলিং, প্রচন্ড মাথাব্যথা করতেছে। আমার রিফ্রেশমেন্টের জন্যে চলো সেক্স করি'। কেউ চাইলে এমনকি ২য় ও ৩য় ভার্শনের র‌্যাডিকেল নেগেটিভিটির করুণ মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে:  হাসবেন্ড ও ওয়াইফ দুইজনেরই প্রচন্ড মাথাব্যথা আর দুইজনেই চুপচাপ বইসা চা খাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়।

 

ইহুদিরা

দুই ইহুদি দোস্ত একটা ক্যাথলিক চার্চের সামনে দিয়া যাইতেছিলো, সেইখানে নন-ক্যাথলিকদের উদ্দেশ্যে সাটানো একটা পোস্টারে লেখা: আমাদের কাছে আসেন, ক্যাথলিসিজম গ্রহণ করে নগদে নিয়া নেন ৩০০০০ ডলার।  হাঁইটা যাইতে যাইতে অফারটা সত্যি সত্যি দেওয়া হইছে কিনা সেইটা দুই দোস্ত তর্ক করতে ছিলো।

এক সপ্তা পর একই চার্চের সামনে দুই দোস্তের আবার দেখা। একজন আরেকজনরে ফিসফিস কইরা কইলো, 'আমি এখনও ভাবি, অফারটা আসলেই সত্যি কিনা।'

আরেকজন কইলো, 'আহা তোমরা ইহুদিরা টেকাপয়সা নিয়াই খালি চিন্তা করলা!'

 

ঢুকাবো নাকি বাইর করবো?

একটা অশ্লীল জোকে এক বেকুব প্রথমবারের মতো সেক্স করতেছে, তারে কি করতে হবে মেয়েটার তা বুঝায়ে দেওয়া লাগতেছে: 'আমার দুই পায়ের মাঝখানে গর্ত দেখতেছ? ওইটা এইখানে রাখবা। তারপর ভেতরে ঢুকাবা। তারপর বাইর কইরা আনবা। ঢুকাবা, বাইর করবা, ঢুকাবা, বাইর করবা, ঢুকাবা, বাইর করবা...'

বেকুব লোকটা কথার মাঝখানে মেয়েটারে থামায়, 'এক মিনিট দাঁড়াও। আগে তুমি ভালো কইরা চিন্তা কইরা নাও। ঢুকাবো নাকি বাইর করবো?'

 

পুলিশ

পুলিশের দুর্নীতি নিয়া মকারি করা ইউগোস্লাভিয়ার একটা জোকে, একজন পুলিশম্যান অসময়ে বাসায় ফিরা দেখে তার বউ বিছানায় ন্যাংটা হয়া শুইয়া আছে, অবশ্যই হট আর এক্সাইটেড। ওয়াইফের অন্য লাভার থাকতে পারে এমন সন্দেহে, লোকটা ঘরে লুকানো কোনো বেটা মানুষের খোঁজ করতে থাকে। ওয়াইফের মুখটা শুকায়া যায় যখন সে খাটের নিচে উঁকি মারে। কিছুক্ষণ ফিসফিসানির পর, তৃপ্তির হাসি দিয়া পুলিশ বলে, 'সরি জান, ফলস অ্যালার্ম! খাটের নিচে কেউ নাই।' তার হাতে তখন শক্ত কইরা ধরা একতাড়া বড় অঙ্কের নোট।

 

তিন দোস্ত

বারে তিন দোস্ত ড্রিংক করতেছিলো।

পয়লাজন কইলো, একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে আমার সাথে। ট্রাভেল এজেন্সিতে আমি বলবো, 'পিটসবার্গের একটা টিকিট' আর বইলা ফেলছি, টিটসবার্গের একটা পিকিট।'

দুসরাজন কইলো, এইটা আর এমন কি! সকালের নাস্তার টেবিলে, আমার ওয়াইফরে বলতে চাইছিলাম, 'জান, চিনিটা একটু দিতে পারো?' অথচ বলে ফেলছি, কুত্তীর বাচ্চা, তুই আমার পুরা জীবনটা নষ্ট কইরা দিলি!'

তেসরা জন কইলো, 'আগে শোনো আমার সাথে কি হইছে। সারারাত ধইরা সাহস কইরা ডিসিশান নিলাম, তুমি যা বলছো ঠিক ওইটাই সকালের নাস্তার টেবিলে আমার ওয়াইফরে বলবো। আর শেষ পর্যন্ত বললাম, 'চিনিটা একটু দিতে পারবা, জান?'

 

এ্যাবস্ট্রাক্ট ইউনিভার্সালিটি

বিভিন্ন প্রাণীর বিষয়ে বায়োলজির মাস্টার পরীক্ষা নিতেছিলেন এক ছাত্রের যে সবকিছুর উত্তর ঘোড়ার সংজ্ঞার দিকে নিয়া যাইতো: 'হাতি কী?' 'একটা প্রাণী যা জঙ্গলে বাস করে, যেইখানে কোনো ঘোড়া নাই। ঘোড়া গৃহপালিত চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা যাতায়াত, মাঠের কাজ বা গাড়িটানার কাজে ব্যবহৃত হয়।'

'মাছ কী?' 'একটা প্রাণী যার কোনো ঠ্যাং নাই, যেইটা আবার ঘোড়ার আছে। ঘোড়া একটি গৃহপালিত, চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী প্রাণী...'

'কুকুর কী?' 'কুকুর একটি প্রাণী, যে ঘেউ ঘেউ করে, যা ঘোড়া থেকে আলাদা। ঘোড়া একটি গৃহপালিত, চতুষ্পদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী.....' ইত্যাদি। 

শেষপর্যন্ত ত্যাক্ত মাস্টার জিগাইলো, 'আচ্ছা, ঘোড়া কী?' 

এইবার বেকায়দায় পইড়া তব্দা খায়া গেলো ছাত্রটা। কোন উত্তর না দিতে পাইরা, প্রথমে মিন মিনি করে কিছু বলার ট্রাই কইরা হঠাৎ কান্দা শুরু কইরা দিলো।

 

মার্ক্স,  এঙ্গেলস ও লেনিন

মার্ক্স, এঙ্গেলস ও লেনিনরে জিগান হইলো তারা কোনটা বাইছা নিবেন, ওয়াইফ নাকি মিস্ট্রেস? ইন্টিমেট ব্যাপারগুলিতে মার্ক্স সবসময় রক্ষণশীল বইলাই অতি পরিচিত, মার্ক্সের উত্তর: ওয়াইফ।

এঙ্গেলস, যিনি জানতেন কীভাবে জীবন উপভোগ করতে হয়, স্বভাবতই, উত্তর দিলেন 'মিসট্রেস'।

চমকটা আসলো লেনিনের কাছ থিকা, যিনি উত্তর দিলেন: 'ওয়াইফ ও মিস্ট্রেস, দুইজনই'। লেনিন কি এক্সেসিভ সেক্সুয়াল প্লেজার চাইতেছিলেন? না, যেহেতু তিনি দ্রুত ব্যাখ্যা করলেন: এইভাবে আপনি আপনার ওয়াইফরে বলতে পারবেন যে মিস্ট্রেসের সাথে আছেন আর মিস্ট্রেসরে বলতে পারবেন যে আপনি ওয়াইফের সাথে....' 'কিন্তু আসলে আপনি কী করবেন?' 'আমি একটা নির্জন জায়গায় যাবো, আর জ্ঞান অর্জন করতেই থাকবো, করতেই থাকবো!

 

রিভেঞ্জ

মোঙ্গলদের দখল করা ১৪ শতকের রাশিয়া। এক চাষা তার ওয়াইফের সাথে ধূলাওড়া রাস্তায় হাঁটতেছিলো। ঘোড়ায় চইড়া এক মোঙ্গল সেনা আইসা থামলো তাদের পাশে। চাষীরে জানাইলো, সে এইবার তার ওয়াইফরে রেপ করবে। তারপর বললো, যেহেতু এইখানে অনেক ধূলা, তুমি এক কাজ করো, তোমার ওয়াফরে রেপ করার সময় আমার বিচি ধইরা রাখো যাতে ময়লা না হয়। কাজকাম সারার পরে মোঙ্গল সেনা চইলা গেলে, চাষী আনন্দের চোটে লাফাইতে ছিলো, হাসতেছিলো।

চাষীর ওয়াইফ অবাক হইয়া জিগাইলো, তোমার চোখের সামনে আমারে এমন নিষ্ঠুরভাবে রেপ করলো, আর তুমি এইভাবে আনন্দে লাফাও কেমনে?

চাষী জবাব দিলো, কিন্তু হেয় তো ধরা। ওর বিচি তো ধূলায় মাখামাখি হইয়া গেছে!

 

কুমির 

এক রোগী ডাক্তারের কাছে অভিযোগ করলো যে তার বিছনার নিচে একটা কুমির আছে। ডাক্তার তারে বুঝায়ে কইলো যে এইটা, প্যারানোয়িক হ্যালুসিনেশন যা ধীরে ধীরে সাইরা যাবে। এতে রোগীর কুমির দেখা বন্ধ হইলো। কয়েক মাস পরে কুমির দেখা সেই রোগীর এক বন্ধুর সাথে রাস্তায় ডাক্তারের দেখা। ডাক্তার জিগাইলো তার রোগীর এখন কী অবস্থা?

বন্ধু বললো, 'কোন জনের কথা বলতেছেন? মরা লোকটা যারে তার বিছনায় নিচে লুকানো কুমিরে খাইয়া ফেলছিলো?'

 

বিশ্বাস

বলা হয় পদার্থিবিজ্ঞানী নীলস বোরের বাসার সামনের দরজায় ঘোড়ার খুর ঝুলানো ছিলো। ইউরোপে এইটা  চালু আছে; বিশ্বাস করা হয় ঘোড়ার খুর অশুভ শক্তিরে তাড়ায়ে দেয়। একদিন এক দোস্ত তারে জিগাইলো, 'কিন্তু তুমি তো কুসংস্কারচ্ছন্ন লোক না। তুমি কি আসলেই ঘোড়ার খুরে বিশ্বাস করো?' 

'প্রশ্নই ওঠে না।' বোর কইলো, 'কিন্তু আমারে বলা হইছে তুমি বিশ্বাস না করলেও এইটা কাজ করে।' 

 

ইহুদিরা কেমনে টাকা কামায়

২০ শতকের শুরুর দিকে,  একজন পোলিশ আর ইহুদি ট্রেনে বইসা ছিলেন। বিব্রত হয়া নড়াচড়া করতেছিলেন পোলিশ লোকটা, সারাক্ষণ ইহুদী লোকটার দিকে তাকায়ে ছিলেন, কিছু একটা তারে জ্বালাইতেছিলো।

শেষ পর্যন্ত নিজেরে আর সামলাইতে না পাইরা সে কইলো, 'আপনারা ইহুদিরা কেমনে লোকের শেষ কানাকড়ি বের কইরা নেন আর এইভাবে আপনাদের অঢেল সম্পদ বানান?'

ইহুদি লোকটা কইলো, 'আচ্ছা, আমি আপনারে বলবো, কিন্তু বিনামূল্যে না; আগে আমারে ৫ টাকা দেন।

সেই টাকা পাইয়া, ইহুদি লোকটা শুরু করলো, 'প্রথমে একটা মরা মাছ নিবেন; মাথাটা কাটবেন আর নাড়িভুড়ি এক গ্লাস পানির মধ্যে রাখবেন। এরপর মাঝ রাতের দিকে, যখন আকাশে ভরা চাদ, গ্লাসটা চার্চের গোরস্থানে পুঁতে রাখবেন।

পোলিশ লোকটা থামাইলো, 'আমি যদি এইগুলা করি আমিও ধনী হয়া যাবো?' 

'এতো তাড়াতাড়ি  না', ইহুদি লোকটা কইলো, 'এইগুলা তো আপনারে করতে হবেই, কিন্তু বাকি অংশ শুনতে চাইলে, আমারে আরও ৫ টাকা দিতে হবে।

এক্সট্রা পয়সা পাইয়া,  ইহুদি লোকটা গল্প চালায়ে গেলো, আরও টাকা চাইতে থাকলো...

একপর্যায়ে পোলিশ লোকটা  চেইতা গেলো, 'হারামজাদা, তুই কি মনে করছোস, তোর মতলব আমি বুঝি নাই? গোপন কিছু নাই, তুই আমার শেষ পয়সাটাও নিয়া নিতে চাস।'

ইহুদি লোকটা শান্ত ও হালছাড়া ভাবে কইলো, ঠিকাছে, এখন আপনি তো দেখলেন, কিভাবে আমরা ইহুদিরা...'

 

গ্যারান্টি

একটা পুরানা সোভিয়েত জোকে, এক কাস্টমার ব্যাংকে গিয়া ১০০ রুবল ডিপজিট করার কথা জানায়। আর ডিপজিট করা কতটা নিরাপদ সেইটা জানতে চায়। ক্লার্ক জানায় যে ব্যাংক সমস্ত ডিপোজিটের গ্যারান্টি দিবে। কাস্টোমার জিগায়, ব্যাংক যদি দেউলিয়া হয়া যায় তাইলে কী হবে?

ক্লার্ক জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমস্ত লোকাল ব্যাংকের ডিপজিটের গ্যারান্টি দেয়। 

কিন্তু কাস্টমারের প্রশ্ন শেষ হয় না।

'কেন্দ্রীয় ব্যাংকই যদি দেউলিয়া হয়া যায়?'

ক্লার্ক আবার রিপ্লাই দেয়, তাইলে সোভিয়েত রাষ্ট্র সমস্ত ব্যাংকের গ্যারান্টি দেবে।

তবু পুরাপুরি আশ্বস্ত না, কাস্টমারের জিজ্ঞাসা--কিন্তু সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলাই যদি আলাদা হয়া যায়?

এই প্রশ্নে ব্যাংকের ক্লার্ক উত্তেজিত হয়া পড়ে, 'আপনে বলতে চাইতেছেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন নাই হয়ে যাওয়ার মতো অসাধারণ ঘটনার বিনিময়েও আপনে মাত্র ১০০ রুবল ছাড়তে রাজি না?' 

 

দোজখ

ব্রেঝনেভ মারা গেছে। তারে নিয়া যাওয়া হইছে দোজখে। তবে যেহেতু সে একজন মহান নেতা ছিলো, তারে একটা ট্যুরে নিজের রুম ঠিক করার সুবিধা দেওয়া হইছে।

গাইড একটা দরজা খুললে ব্রেঝনেভ দেখলো ক্রুশ্চেভ সোফায় বইসা আছে, মেরিলিন মনরোরে কোলে নিয়া গভীর আবেগে চুমাইতেছে, আদর করতেছে। আনন্দে ডগমগ হয়া ব্রেঝনেভ কইলো, 'এই রুম পাইলে আমি খুশি হবো'।   

গাইড কইলো, অতো উত্তেজিত হয়া পইড়েন না কমরেড! এই রুমটা দোজখে খ্রুশ্চেভের জন্যে না, মেরিলিন মনরোর জন্যে।

 

না থাকা

সোশ্যালিস্ট পোল্যান্ডের একটা জোকে এক কাস্টমার একটা দোকানে ঢুইকা জিগায়, 'আপনার কাছে মনে হয় মাখন নাই, আছে?'

উত্তর: সরি, আমরা হইতেছি টয়লেট পেপার না থাকার দোকান। রাস্তার ওই পাশেরটা হইতেছে সেই দোকান, যেইখানে মাখন নাই। 

 

[বইয়ের বাকি জোকগুলো পড়তে সংগ্রহ করতে পারেন 'প্রিন্ট পোয়েন্টি' থেকে প্রকাশিত কে এম রাকিব অনূদিত 'জিজেকের জোকস'। বইমেলার বাইরে সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইন থেকেও।

১৮৬৫৪ পঠিত ... ১৯:৫০, মার্চ ০১, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top