নোয়াখালীর ছেলে সাইফুল ডিভি লটারিতে আমেরিকা এসে চাকরি নেন একটা সুপারমলে। তিনি চাকরি নেয়ার তিন দিনের মাথায় দোকানের বেচাবিক্রি ১০ গুণ বেড়ে যায়। দোকানের মালিকের মনে সন্দেহ দেখা দেয়, কীভাবে দোকানের বিক্রি হঠাৎ বেড়ে গেল? কাহিনি কি?
তিনি একদিন সরেজমিন তদন্ত করতে নামলেন।
লুকিয়ে একদিন দোকানে গেলেন।
গিয়ে দেখেন সাইফুল একজন ক্রেতার কাছে মাছ ধরার ছিপ বিক্রি করছেন। তাদের মধ্যে নিম্মলিখিত সংলাপ বিনিময় হচ্ছে--
সাইফুল: স্যার, ছিপ তো কিনলেন, কিন্তু ছিপ দিয়ে মাছ ধরবেন, এজন্য আপনাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হবে। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। স্যার আমার কাছে একটা 'অসাম' টুল আছে। এই টুলে বসলে আপনার সময় যে কীভাবে কেটে যাবে, আপনি বুঝবেনই না। দারুন আরামদায়ক। ক্রেতা আনন্দিত গলায়: দেখি, টুলটা দেখান তো। সাইফুল: স্যার, টুল তো নিয়েই ফেললেন। কিন্তু রোদের হাত থেকে বাঁচার কি উপায়? এই যে আপনি রোদের মধ্যে নদীতে ছিপ ফেলে মাছ ধরবেন, রোদের তেজ থেকে বাঁচার জন্য আপনার তো প্রটেকশন দর্কার, তাই না? স্যার, একটা ভালো ক্যাপ আছে। দেখাবো?
ক্রেতা ছিপ এবং টুলের পর, ক্যাপও কিনে ফেললেন।
সাইফুল: স্যার, রোদের আসল সমস্যা কি জানেন? চোখ। চোখে রোদ পড়লে মাথা ধরে। আপনার চোখের প্রটেকশনই আসল। স্যার, নতুন একটা সানগ্লাস আসছে, একটু চোখে তুলে দেখবেন নাকি?
ক্রেতা সানগ্লাসও কিনে ফেললেন।
এভাবে সাইফুল সান্সস্ক্রিন ক্রিম, অবসর কাটানোর জন্য পানীয়, ম্যাগাজিন ইত্যাদি ক্রেতাকে গছিয়ে দেলেন। ক্রেতা ট্রলি ভর্তি করে বাজার নিয়ে হৃষ্টচিত্তে বাসায় ফিরলেন।
মি. সাইফুলের পারফর্মেন্স দেখে মালিক দারুন খুশি। তিনি এগিয়ে গেলেন সাইফুলের কাছে। জড়িয়ে ধরে বললেন, ওই শালা কিনতে আসছিল ছিপ, তুমি তারে কতকিছু বুঝাইয়া দিলা? সাবাস, এই তো চাই।
সাইফুল বিনীত গলায় বলল, উনি ছিপ কিনতে আসেন নাই। উনি আসছিলেন উনার ওয়াইফের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে। আমি বললাম, স্যার, এই ৪/৫ দিন আপনি ঘরে বইসা থাইকা কি করবেন? তারচেয়ে ভালো নদীর ধারে চলে যান, মাছ ধরুন। সময়টা দিব্যি কেটে যাবে। স্যার, মাছ ধরার জন্য ছিপ লাগবে। আমাদের এখানে ভালো ছিপ আছে, দেখাবো?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন