মামলা হচ্ছে এক কসাই আর এক তেল বিক্রেতার মধ্যে। বীরবল হচ্ছেন বিচারক।
বাদী, অর্থাৎ তেলওয়ালা তার অভিযোগ পেশ করে বলল, ‘হুজুর, আমি আমার ছোট্ট দোকানটিতে বসে হিসাব করছিলাম। এমন সময় এই কসাই এল তেল কিনতে। তেল কিনে টাকা দিয়ে চলে যাবার সময় আমার পাশে রাখা টাকার থলেটাও নিয়ে যাচ্ছিল। আমি বাধা দিতেই সে বলল থলেটা নাকি তার। অথচ তলেটা আমার। আমিই টাকা রাখি।’
এরপর বীরবল কসাইকে তার বক্তব্য পেশ করতে নির্দেশ দিলেন। কসাই বলতে লাগল, ‘হুজুর, তেলওয়ালা ব্যাটা মিথ্যা কথা বলেছে। আমি তেল কিনে ওই টাকার থলে থেকে দাম দিয়েছি। দাম দিয়ে চলে যাবার সময় ও পিছন থেকে চেপে ধরে চোর চোর বলে চিৎকার করে। অবশ্য ওখানে কোন লোকজন ছিল না।’
উভয়ের বক্তব্য বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনলেন বীরবল বললেন, ‘তোমরা এক কাজ করো। থলেটা আমার কাছে থাক। কাল রায় অনুযায়ী যার থলে সে নিয়ে যাবে।’ বীরবল থলেতে কতটাকা আছে তা আলাদাভাবে লিখে যাবার নির্দেশ দিলেন। কসাই ও তেলওয়ালা তাই করলেন।
পরেরদিন যথাসময়ে কসাই ও তেলওয়ালা এল। বীরবল কসাইয়ের হাতে টাকার থলেটা তুলে দিয়ে বললেন, ‘আসলে থলেটা তোমার। থলেটায় মোট ছ’হাজার টাকা আছে। তুমি ঠিক অঙ্কই লিখেছ। আর তেলওয়ালা আন্দাজে তিন হাজার টাকার কথা লিখেছে।’
তারপর তেলওয়ালকে বললেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছ। টাকাগুলো সরিয়ে রেখে থলেটা ধুয়ে ফেলি। ধোবার সময় দেখি পানি লালচে রঙের হচ্ছে। তার তা থেকে রক্তের গন্ধ আসছে। সহজেই বুঝলাম এটা তোমার নয়, কসাইয়ের থলে।’
মিথ্যা মামলা করার জন্যে তেলওয়ালাকে শাস্তি দিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন