আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মগোপনে থাকা ও পালিয়ে যাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগস্ট মাসে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বড় পদের কয়েকজন আওয়ামী নেতাকে পুলিশ ধরতে পারলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই আছেন বেশির ভাগ নেতা। সম্প্রতি জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস দেশের মধ্যেই ছিলেন। খবরটি প্রচার হওয়ার পর থেকে ইউসুফ সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী নেতারা ধরা না পড়ে কীভাবে দেশের মধ্যেই লুকিয়ে আছেন, কিংবা লোকচক্ষুর আড়ালে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে গুঞ্জনের কোনো অভাব নেই। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন কারণ বের করা হলেও আজ অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ এক গোয়েন্দা দল আসল কারণ খুঁজে পেয়েছেন বলে eআরকি ফ্যাক্ট-চেকিং টিমকে নিশ্চিত করেছে একটি অনির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্র মতে, এত এত আওয়ামী নেতারা আসলে হ্যারি পটারের ইনভিজিবল ক্লোক ব্যবহার করছেন। এজন্য তাদের ট্রেস করার কোনো উপায় নেই।
গোয়েন্দা দল ইন্টারনেট ও ফোনে আওয়ামী নেতাদের কথোপকথন এবং টেক্সট মেসেজ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করেছে যে এই নেতারা প্রতি সপ্তাহে ইনভিজিবল ক্লোক ব্যবহার করে সীমান্ত পার হচ্ছেন। চীন থেকে এই ক্লোকের অতিরিক্ত কপি তৈরির অর্ডারও দেওয়া হয়েছে, যাতে আরও দ্রুত তাদের পালানোর ব্যবস্থা করা যায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল মহলে ইনভিজিবল ক্লোক নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হয়েছে, এভাবে নেতাদের দেশ থেকে পালাতে দেওয়া যায় না। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ২২১বি বেকার স্ট্রিটে বসবাসরত শার্লক হোমসের সঙ্গে কথা বলেছেন। শার্লক শীঘ্রই দেশে আসবেন এবং প্রত্যেকটা নেতাকে পইপই করে শাহিনের মতো ধরে ফেলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে হ্যারি পটারকে দোষ দিচ্ছেন অনেকে। নিজের ইনভিজিবল ক্লোক কেন সামলে রাখলেন না তিনি? আজ তার জন্য একটা দেশের হাজার হাজার দুর্নীতিবাজ নেতা দেশেই আত্মগোপনে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। এর পেছনে আসলে বড় দায়ভার কার? ইউসুফ সরকারকে দোষ দেওয়া যায় না; দোষটা আসলে হ্যারিরই। এর সঙ্গে হারমায়োনির কিছুটা দোষও আছে। এর জন্য তাদের কাছে চরম মূল্যও চাইতেও দ্বিধা বোধ করছেন না অনেকে।
জনমনে প্রশ্ন, হ্যারির এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য কী তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত? নাকি হারমায়োনির কাছ থেকে এর ক্ষতিপূরণ চাওয়া উচিত? এই বিতর্কে নতুন মোড় এনে শার্লক হোমস আসার পর কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।