আমাদের এক বন্ধু বিয়ে করলো চাকরি জীবনের শুরুতে। বিয়ের সময় আমরা বন্ধুরা তাকে উপহার হিসেবে একটা মোটামুটি বড় একটা বাক্স ভরে কনডমসহ জন্মবিরতিকরণের নানান উপাদান দিয়েছিলাম, যাতে বেশ কিছুদিন তাদের স্বাচ্ছন্দে চলে। চললও বেশ কিছুদিন।
এরপর এলো বন্ধুর নিজের কেনার পালা। আমাদের সময় আমরা এইসব ব্যাপারে খুব একটা স্মার্ট ছিলাম না বলে এগুলো কিনতে গিয়ে ও বেশ লজ্জা পেল এবং কয়েকদিন এভাবে না কিনেই কেটে গেল। দোকানে গিয়ে কীভাবে চাইবে? ইংরেজিতে নাকি বাংলায়? দোকানদার কী ভাববে? পাড়ার দোকানদার চিনে ফেলবে কিনা ইত্যাদি নানান ভয়। যদিও আমরা ওকে বুঝিয়েছিলাম, নারে এতে লজ্জার কী আছে, এতো খুব স্বাভাবিক, সবাই কেনে, তুই কি একাই কিনিস নাকি?
একদিন সন্ধ্যায় ও এসে জানালো, সমস্যার সমাধান হয়েছে এবারের মত। জানতে চাইলাম কীভাবে ওর লজ্জা ভাঙলো? বলল, ভাগ্যে মটরসাইকেল চালাই তাই হেলমেটটা ছিল। আমরা অবাক। বললাম হেলমেটের সাথে কনডমের কী সম্পর্ক? ও বলল, খুব সহজ। ওটা মাথা থেকে না খুলেই, মানে হেলমেট পরেই দোকানে গিয়ে কনডম চাইলাম। দোকানদার একটু অবাক হলেও হাতে জিনিষ তুলে দিল। আর আমারও দোকানদারের মুখোমুখি হতে হল না, সে চিনলোও না, কাজও হয়ে গেল।
এরপর থেকে বেশ ক’বছর অর্থাৎ ওর লজ্জা মোচন না হওয়া অব্দি কনডম কেনার এটাই ছিল উপায়। তবে আমাদের বন্ধুটি ঠিক এক দোকান থেকে নয়, বিভিন্ন পাড়ার বিভিন্ন দোকান থেকে এসব কিনতো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন