এক বন্ধু সুন্দরবন থেকে মাত্রই ঘুরে এসেছে। সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বলছে আরেক বন্ধুর কাছে।
: বুঝলি, বনে তো হরিণ আর হরিণ। কোনোটা শিংঅলা, কোনোটা শিং ছাড়া। চিত্রল হরিণ, বল্গা হরিণ, হেনা তেনা। : কস কী? এত হরিণ? : হ। তো আর কী কইতেছি? সাথে বন্দুক নিয়া গেছিলাম। : মারলি নাকি? : মারব না? বন্দুক কি ফাও কামে নিয়া গেছি নাকি? : শোন, একদিন সকালে গভীর বনের মধ্যে গিয়া দেখি তিনটা হরিণ পানি খাইতেছে। আমি বন্দুক তাক কইরা গুলি করলাম পরপর দুইটা। একটা পইড়া গেল। কাছে গিয়া দেখি সাইজ বড়ই। এখন এই মস্ত হরিণ নিয়া আমি কী করি? চিন্তা করলাম, আস্ত হরিণ কান্ধে নেওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। হরিণের রানের মাংস খুব টেস্টি। পা কাইটা নেওয়াই ভাল। তো হরিণের পা ছাড়ায়ে দুই পা দুই কান্ধে নিলাম।
এর মধ্যে বন্ধুর মোবাইলে কল আসলো। বন্ধু বলল, আমেরিকা থেকে কল আসছে মনে হয়। ইমপর্টেন্ট। বলে ফোন ধরলো। ঘন্টা খানেক নানা কথাবার্তা বললো। অন্য বন্ধু তখনো গল্পের বাকী অংশ শোনার জন্য অপেক্ষা করছে।
বন্ধু ফোন রেখে পাশে বসে বলল, কোন পর্যন্ত জানি গেছিলাম? : ওই যে দুই পা দুই কান্ধে। : হ। দুই পা দুই কান্ধে। এরপর আর কী? কীসের অপেক্ষা? শুরু কইরা দিলাম।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন