সে এক রোমান্টিক পরিবেশ ছিল। স্বামী অফিসের কাজ শেষে বাসা ফিরল। বাসার কাজ করে স্ত্রীও তখন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। স্বামীর বাহুডোরে বসে স্ত্রী বলল, জান, আমার তো মনে হয় এক মাস চলে। আমি এক মাসের ওভারডিউ। যদিও প্রেগনেন্সি ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসে নি।
স্বামী তো খুবই খুশি। বলল, জানু, তুমি নিজের ভাল মত যত্ন নিও।
স্ত্রী বলল, শোন এই খবর এখনই কাউকে বলার দরকার নাই। আগে প্রেগনেন্সি ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট আসুক।
পরদিন বিদ্যুৎ অফিস থেকে ফোন এলো। একজন কর্মচারী বলল, ম্যাডাম আপনার তো এক মাস ডিউ দেখি।
মহিলা বলেন, কি বলছেন এসব? আপনারা জানেন কিভাবে?
: ম্যাডাম আমরা তো জানবই। আমরা রেগুলার ফাইল মেইনটেইন করি আর এখন তো সব কম্পিউটারাইজড। সব ডাটা আমাদের সাথে থাকে।
: হায় হায় কি বলেন?
: জ্বি ম্যাডাম। এক মাস ডিউ আছে।
সেদিন অফিসের কাজ শেষ করে স্বামী বাসায় ফিরল। তখন স্ত্রী স্বামীকে বলল, আই তোমাকে না কাউকে বলতে মানা করছি এখনই? তুমি দুনিয়াসহ সব মানুষকে বলে বেড়াইছ কেন?
: কি বল? আমি আবার কাকে বললাম? আমি তো কাউকে বলি নাই।
: তাইলে বিদ্যুৎ অফিসের সবাই জানল কিভাবে? তারা নাকি ফাইলও মেইনটেইন করতেছে?
লোকটি তখন দৌড়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেল। সেখানে এক মহিলা কর্মচারীকে বলল, ম্যাডাম আমার স্ত্রীর যে এক মাস ডিউ এটা আপনারা কিভাবে জানলেন?
: ওমা আমরা জানব না কেন? আমরা নিয়মিত ফাইল মেইনটেইন করি তো।
: কী বলেন?
: হা, আর শুনেন আপনাকে তাড়াতাড়ি বকেয়া শোধ করতে হবে।
: কি এর জন্য আবার আমাকে পে করতে হবে?
: জ্বি।
: যদি না দেই।
: তাহলে আর কি, আপনার ওটা মানে ওই যে লাইন কেটে দিতে হবে।
: বলেন কি? একজন বিবাহিত পুরুষের ওটা না থাকলে তার ভবিষ্যত কি? তার বউ কী করবে তাইলে?
বিদ্যুত অফিসের মহিলা কর্মচারী অনেকক্ষন ভেবে বলল, তাইলে তো মোমবাতি ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নাই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন