নাসিরুদ্দিন নাকি বলে বেড়াচ্ছে যারা নিজেদের বিজ্ঞ বলে তারা আসলে কিচ্ছু জানে না। এই খবর শুনে সাতজন সেরা বিজ্ঞ নাসিরুদ্দিনকে রাজার কাছে ধরে এনে বলল, ‘শাহেন শা, এই ব্যক্তি অতি দুর্জন। ইনি আমাদের বদনাম করে বেড়াচ্ছেন। এর শস্তির ব্যবস্থা হোক।’
রাজা নাসিরুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কিছু বলার আছে?’
‘আজ্ঞে কাগজ-কলম আনা হোক, জাঁহাপনা’, বললে নাসিরুদ্দিন।
কাগজ-কলম এল।
‘এদের সাতজনকে একটি করে দেওয়া হোক।’
তাও হল।
‘এবার সাতজনে আলাদা করে আমার প্রশ্নের জবাব লিখুন। প্রশ্ন হল:রুটির অর্থ কী?’
সাত পণ্ডিত উত্তর লিখে রাজার হাতে কাগজ দিয়ে দিলেন, রাজা পর পর উত্তরগুলো পড়ে গেলেন।
পয়লা নম্বর: লিখেছেনরুটি এক প্রকার খাদ্য।
দুই নম্বর:ময়দা ও জলের সংমিশ্রণে তৈয়ারি পদার্থকে বলে রুটি।
তিন নম্বর:রুটি ঈশ্বরের দান।
চার নম্বর:একপ্রকার পুষ্টিকর আহার্যকে বলে রুটি।
পাঁচ নম্বর:রুটির অর্থ এক মূর্খ ব্যক্তি চাড়া সকলেই জানে।
সাত নম্বর:রুটির প্রকৃত অর্থ নির্ণয় করা দুরূহ ব্যাপার।
উত্তর শুনে নাসিরুদ্দিন বললে, ‘জাঁহাপনা, যে জিনিস এঁরা প্রতিদিন খাচ্ছেন, তার মানে এঁরা সাতজন সাতরকম কললেন, অথচ যে লোককে এঁরা কখনও চোখেই দেখেননি তাকে সকলে একবাক্যে নিন্দে করছেন। এক্ষেত্রে কে বিজ্ঞ কে মূর্খ সেটা আপনিই বিচার করুন।’
রাজা নাসিরুদ্দিনকে বেকসুর খালাস দিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন