হোসেন সাহেব একটা খাট কিনলেন ত্রিশ হাজার টাকায়। খাট ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে বাসায় ফিরছেন। নিজেও বসেছেন ভ্যানগাড়িতে, পা ঝুলিয়ে। বাসার কাছাকাছি যখন গলির মোড়ে পৌছালেন তখন দেখা আব্বাস সাহেবের সাথে।
আব্বাস সাহেব হাক ছেড়ে জিজ্ঞাস করছেন, 'কি হোসেন ভাই, কই থাইকা আসলেন?'
'এই তো ভাই, খাট কিনতে গেছিলাম', উত্তর হোসেন সাহেবের।
-তা কত নিলো?
-তিরিশ হাজার।
-আপনি তো ভাই মা* খাইছেন।
-কেন ভাই?
-আরে, আমি তো গত সপ্তাহে সেইমটাই কিনলাম। পঁচিশ নিছিলো।
মনটাই খারাপ হয়ে গেলো হোসেন সাহেবের। পাচ হাজার টাকা ধরা খাইছেন!
কিছুদূর এগুতেই আবার দেখা পরিমল বাবুর সাথে। পরিমল বাবুও জিজ্ঞাস করলেন, 'কি ভাই কই গেছিলেন?'
-ভাই খাট কিনতে গেছিলাম।
-তা ভাই কত নিলো?
-পঁচিশ হাজার, চতুর উত্তর দিলেন হোসেন সাহেব।
-ভাই আপনি তো মা* খাইছেন। গত পরশু আমার শালা কিনলো বিশ হাজার। সেইম খাট।
হোসেন সাহেবের মন আবার খারাপ হয়ে গেলো। দশ দশটা হাজার টাকা ধরা!
কিছুদূর এগুতেই আবার দেখা মল্লিক সাহেবের সাথে। উনিও কৌতুহলী, জিজ্ঞাস করলেন, 'ভাই কোথা থেকে আসলেন?'
-খাট কিনে আনলাম।
-কত নিলো?
-এই তো ভাই বিশ হাজার। অনেক দামাদামি করলাম। কিছুতেই আর কমায় না।
-ভাই আপনি তো মা* খাইছেন। এই খাটের দাম কোনভাবেই পনেরোর বেশি হবে না।
হোসেন সাহেবের মেজাজ তো এবার সপ্তমে। খাটের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে! একেবারে বাড়ির সামনে এসে দেখা কালু মিয়ার সাথে। কালু মিয়াও স্বভাববশত জিজ্ঞাস করলেন, ভাই কোথায় থাইকা আইলেন?
রাগ সামলাতে না পেরে হোসেন মিয়া চিৎকার করে উঠলেন, 'মা* খাইতে গেছিলাম, মা* খায়া আসছি।'
অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন কালুমিয়া। বুঝে উঠতে পারছেন না হোসেন ভাই এভাবে রেগে গেলেন কেনো! মিনমিন করে বললেন, 'ভাই আপনি তো বেশ লোক। নিজের গাটের পয়সা খরচ করে মা* খেয়ে আসলেন! আবার বাড়ি থেকে ভ্যান ভাড়া করে খাটও নিয়া গেছিলেন!'
সংগ্রহে: ইশতিয়াক মাহমুদ হিমেল
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন