একদিন এক জ্ঞানি এসে নাসিরুদ্দিনকে একটা হাঁস উপহার দিলে। নাসিরুদ্দিন ভারী খুশি হয়ে সেটার মাংস রান্না করে জ্ঞানিকে খাওয়ালে।
কয়েকদিন পরে মোল্লাসাহেবের কাছে একজন লোক এসে বললে, ‘আপনাকে যিনি হাঁস দিয়েছিলেন, আমি তাঁর বন্ধু।’
নাসিরুদ্দিন তাকেও মাংস খাওয়াল।
এর পর আরেকদিন আরেকজন এসে বলে, ‘আপনাকে যিনি হাঁস দিয়েছিলেন, আমি তার বন্ধুর বন্ধু।’ নাসিরুদ্দিন তাকেও খাওয়াল।
তারপর এল বন্ধুর বন্ধুর বন্ধু। মোল্লাসাহেব তাকেও খাওয়াল।
এর কিছুদিন পরে আবার দরজায় টোকা পড়ল। ‘আপনি কে?’ দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন নাসিরুদ্দিন।
‘আজ্ঞে মোল্লাসাহেব, যিনি আপনাকে হাঁস দিয়েছিলেন, আমি তার বন্ধুর বন্ধুর বন্ধুর বন্ধু।
‘ভেতরে আসুন,’ বললে নাসিরুদ্দিন, ‘খাবার তৈরিই আছে।’
অতিথি মাংসের ঝোল দিয়ে পোলাও মেখে একগ্রাস খেয়ে ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কীসের মাংস মোল্লাসাহেব?’
‘হাঁসের বন্ধুর বন্ধুর বন্ধুর বন্ধুর’, বললে নাসিরুদ্দিন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন