প্রতিটি কৌতুকে একটি করে দাঁত বের করে হাসুন : ৩২টি মজার রাজনৈতিক কৌতুক

৫৮০৫ পঠিত ... ১৯:৫১, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮

১#
গর্বাচেভ রেগানের সময়কার জোকস। গর্বাচেভ ফোন করল রেগানকে ‘চ্যালেঞ্জার ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আমরা আন্তরিক দুঃখিত। আপনাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
‘কিন্তু চ্যালেঞ্জার তো এখনো উৎপেক্ষণই করা হয়নি।’
‘সেক্ষেত্রে আমি আবারও দুঃখিত বোধ হয় সময় গড়বড় করে ফেলেছি।’

২#
গর্বাচেভ গেছেন মার্কেটে তরমুজ কিনতে। এক তরমুজওয়ালা ডাকল তাকে—
‘জনাব, চলে আসুন এদিকে, ভালো তরমুজ আছে বেছে নিন।’
‘সে কী তুমি তো মাত্র একটি তরমুজ নিয়ে বসে আছ বেছে নেব কী?
‘বা তাতে কী আপনাকেও তো আমরা ওভাবেই বেছে নিয়েছি।’

৩#
মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যাকাণ্ডের কিছু আগে ব্রেজনেভ ডেকে পাঠালেন তার সেক্রেটারিকে—
‘মিশরের সাথে রাশিয়ার সময়ের পার্থক্য কত?’
‘কেন স্যার হঠাৎ এ প্রশ্ন?’
‘না একটু আগে আনোয়ার সাদাতের হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছি ফোন করে, কিন্তু ওরা বলছে সাদাত নাকি প্যারেডে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

৪#
‘বাবা বিরোধী দল প্রায়ই সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে এর মানে কী??’
‘ওয়াকআউট হচ্ছে স্বেচ্ছায় নক আউট।’
‘আর নক আউট?’
‘নক আউট হচ্ছে অনিচ্ছায় ওয়াক আউট।’

৫#
রাশিয়ার জারের সময়কার গল্প। একজন জিউস মস্কো নদীতে ডুবে যাচ্ছিল। সে চিৎকার করে বলল, ‘বাঁচাও, আমি সাঁতার জানি না।’
নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল দুজন সোলজার, তারা বলে উঠল, ‘মর শালা নরকে যা।’
হতভাগ্য জিউস ডুবতে ডুবতে তখন বলে উঠল, ‘নিকোলাসকে নিয়ে ডুবলাম।’
সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য দুজন নদীতে লাফিয়ে পড়ে তাকে উদ্ধার করল। তাকে গ্রেপ্তার করল জারকে হত্যা প্রচেষ্টার অপরাধে।

৬#
এক তরুণী পলিটিশিয়ান নির্বাচনে দাঁড়ালেন। তিনি ভোটের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। একদিন তিনি গেলেন এক ভোটারের বাড়ি—
‘আমি একজন ভোটপ্রার্থী।’
‘মাফ করবেন পাণিপ্রার্থী হলে ভেবে দেখতাম।’

৭#
নির্বাচনী মিছিলে সবাই স্লোগান দিচ্ছিল—
‘সেন্টু ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র।’
‘কী ফুল ভাই?’
‘ক্যান ডুমুরের ফুল।’

৮#
রাজনীতিবিদ : দেখুন আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে একটু সময় দিন। আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করব।
জাজ : দশ বছর সময় দিলাম। জেলে বসে নিরিবিলিতে ভেবে বের করুন।

৯#
‘তোর কি মনে হয় পাঁচ বছর পর আমাদের দেশ উন্নত হবে?’
‘তা বলতে পারি না তবে আরো একটা ইলেকশন হবে।’

১০#
নেতা : আমরা ক্ষমতায় গেলে এ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করে ছাড়ব।
সাংবাদিক : কিভাবে করবেন?
নেতা : কোনো ব্যাপার না! আমাদের কাছে, নাইন শুটার আছে, একে ফরটি সেভেন আছে...

১১#
‘কী ব্যাপার এখানে এত জ্যাম?’
‘আর বলবেন না সামনে ডানের মোড়ে এক মন্ত্রী কিছুতেই ডানে যাবেন না, গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।’
‘কেন?’
‘উনি বামপন্থী যে!’

১২#
এক কমিউনিস্ট নেতা মারা গেছে। পরকালে গিয়ে সে খুশি হয়ে উঠল ‘যাক আমি তা হলে বেহেশতেই আছি’ তখন একজন ডেভিল বলে উঠল ‘না আপনি ভুল করছেন এটা নরক। আপনি নরকে আছেন’। তখন কমিউনিস্ট নেতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠল ‘ও তাই? আমি কিউবা থেকে আসলাম কি না।’

১৩#
—যে নেতা দুই কানে তুলা গুঁজে রাখে তাকে কী বলা যায়?
—তাকে যা ইচ্ছে বলা যায়।

১৪#
— আমি ক্ষমতায় থাকলে আমাদের এলাকার এমপিকে স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য জাতীয় পুরস্কার দিতাম।
— কেন সে নিশ্চয়ই জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছে?
— না আসলে সে এলাকায় এতই অজনপ্রিয় যে ওকে দেখলে সবাই দৌড়ে পালায়। আর তুমি তো জানই নিয়মিত দৌড়ালে স্বাস্থ্যের জন্য কত চমৎকার একটা ব্যাপার!

১৫#
—আপনি কিসের রাজনীতিবিদ! আপনার সামনে দুজন হকিস্টিক নিয়ে মারামারি করছে আর আপনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় কিছুই করতে পারলেন না?
—আরে কিভাবে করব? তৃতীয় একটা হকিস্টিক তো পেলাম না।

১৬#
সরকার বদলের পর সরকারি দলের এক দুর্নীতিগ্রস্ত এমপি কোনো রকমে বিদেশে পালিয়ে বাঁচল। কিন্তু বিদেশ-বিভুঁইয়ে কিছু একটা করে খেতে হবে তো তাই একদিন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেল। কথাবার্তা হওয়ার পর বিদেশি মালিক রাজি হলো তাকে চাকরি দিতে। বলল, ‘আগামীকাল আসো।’
পরদিন এমপি গেল। বিদেশি মালিক তার হাতে একটা ঝাড়ু ধরিয়ে দিল। এমপি হতভম্ব! চিৎকার করে উঠল সে।
‘তুমি জানো, আমি আমার দেশে একজন সম্মানিত এমপি ছিলাম?’
‘ও তাই, তাহলে দাঁড়াও, আমিই শিখিয়ে দিচ্ছি তোমাকে কিভাবে ঝাড়ু দিতে হয়!’

১৭#
১ম : প্যারালাইসিসের একটা ভালো দিকও আছে।
২য় : কেমন?
১ম : মস্তিষ্কের প্যারালাইসিস হলে ভালো রাজনীতিবিদ হওয়া যায়।

১৮#
মুগ্ধ ভক্ত : আমি আপনার সম্পর্কে অনেক শুনেছি।
রাজনৈতিক (সন্দেহের সাথে) : শুনে থাকতে পারেন। কিন্তু কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না।

১৯#
১ম : রাজনীতিবিদদের জন্য দোয়া করার কাজে সরকারি হুজুর নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই হুজুর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না।
২য় : কী রকম?
১ম : রাজনীতিবিদদের সাথে কিছু সময় কাটানোর পর সে শুধু দেশের জন্য দোয়া করে যাচ্ছে।

২০#
এক রাজনৈতিক অফিসের বড় পদের কর্মকর্তা মি. টম-এর মৃত্যু হয়েছে। সাথে সাথে আরেক রাজনীতিবিদ ঐ পদে যোগদানের জন্য উতলা হয়ে উঠল। দলের মহাসচিবের কাছে গিয়ে সে জানালো, ‘আমি টম-এর জায়গাটি নিতে চাই। পাবো তো?’
মহাসচিব জানালো, ‘অবশ্যই পাবে, শুনেছি টম-কে এখনো কবর দেওয়া হয়নি। এখনই ছুটে গেল ওকে কফিন থেকে সরিয়ে সে জায়গায় শুয়ে পড়তে পারো।’

২১#
বাবা তার সাত মাসের বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাচ্চার মাকে বললো, ‘আমার মনে হয় আমাদের বাচ্চা বড় হয়ে রাজনীতিবিদ হবে।’
মা বললো, ‘কেন?’
বাবা, ‘কারণ, ও মিষ্টি স্বরে অনেক কিছু বলছে অথচ সেগুলোর কোনো মানে নেই।’

২২#
এক স্কুলে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরিদর্শনে এসেছে। ভাষণ দিতে দাঁড়িয়েই সে দেখল স্কুলের বাচ্চারা খুব উৎসাহিত বোধ করছে ভাষণ শোনার জন্য। ব্যাপারটা দেখে অবাক লাগল তার। বলল, ‘আমার ভাষণ দেওয়ার কথায় তোমরা এতো খুশি হয়েছো দেখে আমার মন আনন্দে ভরে যাচ্ছে।’
ভিড়ের মধ্য থেকে এক ছাত্র হাত তুলে জানালো, ‘না মানে, আপনি ভাষণ দিলে আমাদের ভূগোল ক্লাসটি আজ আর হবে না।’

২৩#
এক নেতা একটা মুরগির রোস্ট নিয়ে তিনজন কর্মীর সামনে রেখে বললো, ‘তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবে যে সে কেন আমাদের দলের সমর্থক, তাকেই এই মুরগির রোস্টটা দেবো।’
প্রথমজন বলল, ‘আমি সমর্থন করছি কারণ আমি সততায় বিশ্বাস করি।’
দ্বিতীয়জন বলল, ‘আমি সমর্থন করছি কারণ আমি নিয়মানুবর্তিতায় বিশ্বাস করি।’
তৃতীয়জন বলল, ‘আমি সমর্থন করছি কারণ আমি মুরগির রোস্টটা খেতে চাই।’
তৃতীয় জনই রোস্টটা পেলো।

২৪#
১ম : রাজনীতিবিদ আর ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
২য় : ইঞ্জিনিয়ারদের কোনো ব্রিজ বানাতে দিলে তারা নদীর প্রস্থ বরাবর বানাবে ও দু’পাশের যোগাযোগ ঘটাবে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা বানালে, বানাবে নদীর ঠিক মাঝখানে নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর। যেন সেটা কারো কোনো কাজে না আসে।

২৫#
ছেলে : আচ্ছা আব্বু, উদারপন্থী রাজনীতিবিদ কাকে বলে?
বাবা : দাঁড়াও, বই দেখে বলছি।
ছেলে : কিন্তু, এটা তো রূপকথার বই।
বাবা : জানি, কিন্তু এ বই ছাড়া ঐ চরিত্র আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

২৬#
১ম : মন্ত্রীদের অফিসের সামনে সবাই ভদ্রতা সহকারে চুপচাপ থাকে।
২য় : কেন?
১ম : যেন মন্ত্রীদের ঘুম ভেঙে না যায়।

২৭#
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব : তুমি কি আমার শেষ বক্তৃতাটি শুনেছিলে?
লোক : না। তবে শোনার আশায় আছি।

২৮#
‘সৎ লোক দেখে ভোট দেওয়া উচিত, কিন্তু সমস্যা হলো ভোটের ফলাফলের আগে বোঝা যায় না কে সৎ।’

২৯#
সহকারী : আপনি যখন বললেন যে, আপনি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চান না তখন শ্রোতারা কী বলল?
রাজনীতিবিদ : সবাই উঠে চলে গেল।

৩০#
দেশটা কেমন চলছে তা বোঝা যায় সে দেশের সরকারি কর্মকর্তার ভাবনা থেকে। যেমন—
এক সরকারী কর্মচারি : ‘সেদিন আমি আমার প্রিয় চেয়ারটিতে আরাম করে বসেছিলাম। খবরের কাগজ পড়ছিলাম আর মাঝে মাঝে টেলিভিশনে খেলা দেখছিলাম। রেডিওতে গান বাজছিল সুন্দর একটা। মাঝে মাঝে আয়েশ করে চায়ে চুমুক দিচ্ছিলাম। চারদিকে কত শান্তি। কিন্তু, হঠাৎ...!’
২য় জন : ‘হঠাৎ কী?’
সরকারি কর্মচারী : হঠাৎ অফিস ছুটির ঘণ্টা বাজল। বাসায় চলে যেতে হলো আমাকে।

৩১#
একজন ভালো বক্তা তার বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারে, আর একজন খারাপ বক্তা তার বক্তৃতা শেষ করলে সবাই জেগে ওঠে।

৩২#
১ম : শ্রোতারা সব ঘুমিয়েছিল, কিন্তু আমি যেই মাত্র ভাষণ দিতে শুরু করলাম সবাই নড়েচড়ে উঠলো।
২য় : বাহ্‌ এতো আগ্রহী ছিল তারা তোর ভাষণ শুনতে?
১ম : না মানে...নড়েচড়ে উঠে দাঁড়িয়ে চলে গেল।


এবং একটি বোনাস (যদি কারো অতিরিক্ত একটা দাঁত থাকে!)
বক্তার কথা ঠিকমত শুনতে না পেলে শ্রোতারা বিরক্ত হয়, আর ঠিকমত শুনতে পেলে সবাই চলে যায়।

৫৮০৫ পঠিত ... ১৯:৫১, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top