নির্বাচনের মৌসুমে হাসুন : নির্বাচন নিয়ে ২০টি মজার কৌতুক

১৪৩৪৩ পঠিত ... ০৫:২০, নভেম্বর ১১, ২০১৮

ধুমসে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। চারিদিকে 'মনোনয়ন উৎসব' ও নির্বাচনী প্রচারণার তাল। যারা নির্বাচনে দাড়াচ্ছেন না, তারাই বা চুপচাপ বসে থাকবেন কেন? অন্তত নির্বাচনের মৌসুমে তো হাসবেনই, নাকি? নির্বাচন নিয়ে তাই আপনাদের জন্য দেয়া হলো নির্বাচিত কিছু কৌতুক! তবে নির্বাচন নিয়ে কৌতুকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, সেগুলোও নির্বাচন করে দেয়া হয়...

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

৮#
শরিফ মিয়া আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আর জলিলের মার্কা ছাতা। একদিন রাস্তায় কথা হচ্ছিল তাদের-
শরিফ: বুঝলা জলিল, ভোটে কিন্তু আমিই পাস করব। কেন জানো? আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় ওঠে রিকশাঅলার খোঁজখবর নেয়। রিকশা থেকে নামার সময় তাকে ১০ টাকা বকশিশ দেয়। আর বলে, ‘ভাই, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায়ই দিয়েন।’
জলিল: না রে শরিফ, ভোটে আমিই জিতব। কারণ, আমার লোকেরা রিকশায় উঠেই রিকশাওয়ালাকে গালিগালাজ করে। রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয়। আর বলে, ‘ওই ব্যাটা, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায় দিবি।’

৯#
ভোটার নেই, নির্বাচনী আমেজ নেই, মিটিং-মিছিল নেই, স্লোগানের হট্টগোল নেই। কিন্তু তার পরও এক নেতা হাজার হাজার পোস্টার ছাপিয়েছেন।
প্রেসের লোক এসে বলল, ‘স্যার, এত পোস্টার ছাপাইলেন, বিলটা কিন্তু এখনো পাইলাম না।’
নেতা বললেন, ‘খাড়াও মিয়া। সংসদে তো যাইতেছিই। তখন তো খালি বিলই পাস করমু।’

১০#
নির্বাচনের প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করছেন সাংবাদিক: আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?
প্রার্থী: আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।
সাংবাদিক: আপনি কি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
প্রার্থী: পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?

অলংকরণ: ইশমাম

১১#
দুই ভোটার কথা বলছে-
প্রথম জন: গেছিলাম ভোট দিতে, দিতে পারলাম না। কে জানি আগেই আমার ভোটটা দিয়া গেছে।
দ্বিতীয় জন: তাতে কী! আমারটাও কে জানি দিয়া গেছিল, আমি আরেকজনেরটা দিয়া আসছি।
প্রথমজন: আমারে কি বেকুব ভাবছস? আমিও একই কাজ করছি!

১২#
চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি, তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব।
জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?
চেয়ারম্যান: ইয়ে… প্রথমে খাল করব, তারপর ব্রিজ করব!

১৩#
প্রশ্ন: নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট দেখা সবার জন্য জরুরি কেন?
উত্তর: ফেসবুক-টুইটারে সে সংক্রান্ত রসিকতাগুলো বুঝতে পারার জন্য।

১৪#
এক নির্বাচনী সমাবেশে এক নেতা দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা করলেন। একদিকে নেতা তুমুল উৎসাহে দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা করে যাচ্ছেন আর অন্যদিকে শ্রোতারা তার একঘেয়ে বক্তৃতা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। সমাবেশে উপস্থিত প্রতিটি মানুষের কাছে বিষয়টি যখন বিরক্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তখন বিষয়টি নেতার খেয়ালে এল। তিনি তড়িঘড়ি করে বক্তৃতাটা শেষ করে বললেন ‘দুঃখিত, আসলে আমার হাতে ঘড়ি নেই তো। তাই সময়টা লক্ষ্য করতে পারিনি।’

পেছন থেকে এক বিরক্ত শ্রোতা জবাব দিলেন, ঘড়ি নেই তো কি হয়েছে? দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারটা তো ছিল।’

১৫#
দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়ে কথা বলছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক কর্মী। ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্মী বললেন, ‘গত বছর আমি দলের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে আমাদের এক কর্মীসভায় বক্তৃতা দেই। আমি বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও মূল্য দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম মাসে আমি কোনো উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় মাসেও আমি তেমন কোন উন্নতি দেখলাম না, তবে আমি আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখলাম। তৃতীয় মাসে দেখা গেল, পার্টির বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের কথাও কিছু কিছু শোনা হচ্ছে। এবার বাংলাদেশি কর্মীর পালা। তিনি বললেন, 'গত বছর আমিও আমাদের পার্টির এক কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখি। কর্মীসভায় সিনিয়র নেতাদের সামনে আমিও আপনার মতোই জোর গলায় বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম দিন আমি কিছু দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও আমি কিছু দেখলাম না, তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। ডান চোখটা তখনও মেলতে পারছিলাম না...'

অলংকরণ: ঐশিক

১৬#
নির্বাচনের দিন। দুই দলের সমর্থক দুই বন্ধু দাঁড়িয়েছে ভোটের লাইনে। কিন্তু সকাল হতে না হতেই ভোটকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। এভাবে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর প্রথম বন্ধু অনেকটা আফসোসের সুরেই দ্বিতীয় বন্ধুকে বলল, 'দ্যাখ, আমিও জানি আমি আনারস মার্কায় ভোট দেব। আর এটাও নিশ্চিত যে তুই ভোট দিবি টেলিভিশন মার্কায়। তাই বলছি কী আমাদের দু'জনেরই যখন একটি করে ভোট তখন তোর আর আমার ভোট কাটাকাটি হয়ে তো ফলাফল একই থাকবে। তাই চল লাইনে না দাঁড়িয়ে থেকে বাসায় চলে যাই।'

প্রথম বন্ধুর এই প্রস্তাব পছন্দ হলো দ্বিতীয় বন্ধুটির। তাই তারা দু'জনই পা বাড়ালো বাড়ির পথে। একটু পরে কাছেই এক চায়ের দোকানে প্রথম বন্ধুটির সাথে দেখা হলো ওই সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ভদ্রলোকের। তিনি সকালের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে প্রথম বন্ধুটিকে বললেন, 'তোমার এই ভোট কাটাকাটির খেলাটা কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে।' উত্তরে বন্ধুটি বললো, 'পছন্দ হতেই হবে। তা ছাড়া এটা খুব কার্যকরও বটে। আজ সারাদিনে আমি কমপক্ষে চারজনের সাথে এভাবে কাটাকাটি খেলেছি!'

১৭#
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এক নেতা জ্বালাময় ভাষন দিয়ে সবাইকে আহবান জানালেন তাকে তার মোরগ মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে। বক্তৃতা শেষে তিনি বললেন-
– কারও কিছু প্রশ্ন আছে?
– আছে স্যার। একজন হাত তুলল।
– কি প্রশ্ন?
– আপনার বিপক্ষে যিনি দাড়িয়েছেন তার মার্কাটা কি?

১৮#
রেস্টুরেন্টে এক সাংসদের খাওয়া শেষ হলে তার কাছে এগিয়ে গেলো রেস্টুরেন্টের শেফ। জিজ্ঞেস করলো, আলু-মাংসের ডিশটা কেমন লেগেছে আপনার?
-কীভাবে বলি! ওই ডিশে ছিল আলুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। আর মাংস ছিল দুর্বল বিরোধী দলের মতো...

১৯#
শ্রমিক: ভোট দেয় কেমনে?
মালিক: ভোট কেন্দ্রে যাবি, যেখানে নৌকা, ধানের শীষ, লাঙল ইত্যাদি মার্কা দেখবি, যেই দলরে পছন্দ সেই দলের মার্কায় ভোট দিয়া আসবি।
শ্রমিক: ছবি দেইখা কেমনে চিনমু, গরীব মানুষ, লেখাপড়া তো জানি না...

২০#
১ম বন্ধু: একটি নতুন দলের নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় কায়দা করে বলেছেন যে, তিনি ক্ষমতায় গেলে সব মন্ত্রী-পুত্র, এমপি-পুত্রদেরকে মাটির নিচে পুঁতে ফেলবেন!
২য় বন্ধু: কায়দা করে কীভাবে বলেছেন?
১ম বন্ধু: বলেছেন ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাসকে মাটির নিচে পুঁতে ফেলবেন...

১৪৩৪৩ পঠিত ... ০৫:২০, নভেম্বর ১১, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top