গল্পটা বোম্মান, বেল্লিই এবং রঘু নামক এক বাচ্চা হাতির। তামিলনাড়ুর মনোমুগ্ধকর ভিজ্যুয়ালের সাথে, The Elephant Whisperers মানুষের সাথে হাতিদের প্রেমময় সম্পর্কের এক গল্প বলে। অস্কারে সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কার জেতা এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কার্তিকী গনসালভেস। ২০০৭ সালে দক্ষিণ ভারতীয় শহর কোয়েম্বাটুরের জিআরডি কলেজ অব সায়েন্স থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর, গনসালভেস ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তারপর কিছুদিন তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং অন্যান্য চাকরি করার পর সিদ্ধান্ত নেন উটিতে অর্থাৎ নিজের জন্মস্থানে ফেরত যাবেন। উটিতে যাওয়াকালীন সময়েই গনসালভেস থেপাকাদু এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে খোঁজ পান বোম্মান, বেল্লিই এবং রঘুর। যা পরবর্তীকালে তাঁকে এই তথ্যচিত্র নির্মানের ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছে।
৪০ মিনিট দীর্ঘ এই তথ্যচিত্রটিতে মা হারানো এবং পাল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর রঘুকে কীভাবে বোম্মান এবং বেল্লিই আগলে রেখেছেন এবং যত্ন করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত দেখানো হয়। পাশাপাশি থেপাকাদু এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পানি শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারটিও নিয়ে আসা হয়েছে। বোম্মান এবং বেল্লিই স্থানীয় কাত্তুনায়কন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। যারা যুগ যুগ ধরে ফরেস্ট রেঞ্জারদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই ফরেস্ট ক্যাম্পে হাতিদের দেখভাল করে আসছে। রঘুকেও অনাথ অবস্থায় পাওয়ার পর তাঁকে খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একসাথে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যকার মায়ার বাঁধনকে নিজের নির্মাণশৈলী দিয়ে খুবই সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নির্মাতা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে শ্যুট করা 450 ঘণ্টার ‘র’ ফুটেজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে ৪০ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিটি। এটিতে প্রযোজক হিসেবে ছিলেন গুনীত মোঙ্গা।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন