যেসব কারণে আয়নাঘর আসলে ভুয়া

৪০৩ পঠিত ... ১৭:৩১, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

10

'আয়নাঘর' সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। কেউ কেউ, মানে আমাদের ভেতরই কেউ কেউ আয়নাঘরের প্রকাশিত ছবি সত্যি বলে কাঁদছেন। আবার কেউ প্রমাণ করতে চাইছেন 'আয়নাঘর' নিছক একটি সাজানো সেট যা তৈরির জন্য সময় লেগেছে প্রায় ৭ মাস।

(BAL) বালান্ধ কিছু বিশেষ ইনভেস্টিগেটর এবং ফরেনসিক টিমের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে 'আয়নাঘর' একটি ভুয়া এবং সাজানো কনসেপ্ট। শুধু মাত্র জনগণ যা শুনতে চায় তা শোনানোর জন্যই নির্মাণ হয়েছে এই ধ্বংসস্তূপ। সরকারের এই সোশিওট্রপিক আচরণ শুধুমাত্র মানুষকে খুশি করার জন্যই করা হয়েছে। চলুন দেখা যাক, মহামান্য সাঙবাদিকদের উপাত্তমতে যেসব কারণে 'আয়নাঘর'

কনসেপ্টটি আসলেই ভুয়া।

১) আয়নাঘর মূলত ছিল একটি অ্যাডভান্সড ফিটনেস ট্রেনিং সেন্টার। যাদের ডায়েট কিংবা এক্সারসাইজ করেও ওজন কমে না, তারা সেখানে গিয়ে কঠোর ফিটনেস ট্রেনিং এবং ডায়েট করে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিশ্বাস না হলে খেয়াল করে দেখুন, যারা গিয়েছে তাদের বেশিরভাগই ছিল পাহাড়সমান। শুধু তাই নয় ,এটি ছিল একটি সেল্ফ অ্যাসাইন্ড ইভেন্ট। নাম, বয়স রেজিষ্ট্রেশন করে বিশাল অংকের টাকা গুনে তারা সেখানে নিজেদের স্বার্থেই গিয়েছিল।

২) মাঝে মাঝে এটি ব্যবহার হতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে। দেশের বাইরে শান্তিরক্ষা মিশনে যাতে প্রতিকূল পরিবেশেও নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

৩) কেউ কেউ সেখানে যেতেন পার্টনারের অত্যাচার থেকে নিজেকে কিছুদিন শান্তি দিতে। সময়ের পরিক্রমায় সাংসারিক জীবনে অতিষ্ঠ কে না হয়? মোবাইল কিংবা যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করেও মেলে না দুদণ্ড শান্তি। তাই তো পারিবারিক বিশ্রামাগারে যেতে গুম হওয়ার অভিনয় করে সংসার টিকিয়েছন অসংখ্য মানুষ।

৪) ডিভোর্স চান অথচ কাবিননামা পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই, এমন মানুষও বছরের পর বছর লুকিয়ে ছিলেন সেখানে। কিছু বছর পর বের হয়ে দেখেন স্ত্রী বিয়ে করে নিয়েছেন অন্য কোথাও। আপনাতেই মিলে গেছে স্ত্রী এবং কাবিন পরিশোধ থেকে মুক্তি।

৫) অনেকেই আছেন যারা থিম পার্কের বিভিন্ন রাইড খুব ভালোবাসেন অথচ নিয়মিত পয়সা খরচের অভাবে  আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। তাদের জন্য নির্ধারিত ছিল ওই স্টিলের রিভলভিং চেয়ারটি। চেয়ারের পাশে সবসময় একজন শক্তিশালী পান্ডা নিযুক্ত থাকত আনন্দপ্রদানের উদ্দেশ্যে।

৬) আপনারা জেনে অবাক হবেন 'আয়নাঘর' খ্যাত এই জায়গা ছিল কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিকদের একটি প্রিয় আড্ডার জায়গা। মদ খেয়ে মাতাল হয়ে এখানে সৃষ্টি হয়েছে বাংলার অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এখানে বসেই লিখেছিলেন তার বিখ্যাত বই 'হলুদ হিমু কালো র‍্যাব'

৭) মাল্টিপারপাস এই জায়গাটি বিভিন্ন সময় ব্যবহার হয়েছে সিনেমার শ্যুটিং এও। বাংলাদেশের বিভিন্ন সিনেমা তো বটেই , দ্য প্লাটফর্ম, থার্টিন লাইভস ইত্যাদি সিনেমার শ্যুটিংও হয়েছে এই রহস্যময় জায়গায়।

এত বিশদভাবে জানানোর পরও যদি মনে হয় আয়নাঘর টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহার হতো, তাহলে দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন। এটাই বাস্তব। হা হা হা...

 

৪০৩ পঠিত ... ১৭:৩১, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

Top