যে কারণে মেয়েদের বেশি লেখাপড়া করা অনুচিত

২৭১ পঠিত ... ১৭:৩৪, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫

19

মানিক বন্দোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, মেয়েমানুষ এরকম হয়, ওরকম হয়, সবরকম হয়, শুধু মনের মতো হয় না। সত্যিই তো! একসময় নারী মানে ছিল ঘরের শোভা, ঘরের সুগন্ধী। নারী ছিল কোমলতার প্রতীক। এসব রজনীগন্ধা নারীরা বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়, তাদের শরীর থেকে এখন বের হয় বই আর জ্ঞানের দুর্গন্ধ।

নারী কী কারণে তার পাব্রিত্য এবং কোমলতা হারাচ্ছে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি। এবং নারীদের আসলে কতটুকু পড়ালেখা করা উচিত এটিরও একটি বেঞ্চ মার্ক সেট করা সরকারের কর্তব্য।

ব্যক্তিগত ভাবে, আমার মনে হয়, নারীদের জন্য মেট্রিকুলেশন বা এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করা সময়োপযোগী। সময়টা যেহেতু বিজ্ঞান-প্রযুক্তির, অক্ষরজ্ঞান থাকা ইজ আ মাস্ট। বেসিক হিসেবে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করা অত্যাবশ্যক।

এই যুগে বেঁচে থাকতে হলে টাকা-পয়সা গুনতে জানতে হয়, মোবাইল চালাতে জানতে হয়, ফেসবুকে ছবি আপলোড, কমেন্ট করা জানতে হয়, ভ্লগিং করলে কিছু ইংরেজি শব্দ জানতে হয়। এসবের জন্য এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষাই যথেষ্ট। এসএসসির পর সিলেবাসে কী পড়ায় খেয়াল করে দেখুন। বাসা-বাড়ির কোন কাজে ক্যালকুলাস, জৈব রসায়ন, কেপলারের সূত্র, বিন্যাস সমাবেশ ইত্যাদির উপযোগিতা আছে? এগুলোকে কি কোনোভাবে কর্মমুখী শিক্ষা বলা যায়?

বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কিংবা শব্দ দূষণের মতো মেয়েদের উচ্চশিক্ষাও সমাজ ও সভ্যতার জন্য বিশাল এক হুমকি। রান্নাঘরের বাটি বাসনের জায়গায় পৌঁছে গেছে বই, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের জায়গায় নারীর হাতে ওভেন নামের অস্ত্র-নারী ইতিহাসে এক কলঙ্কই বটে।

বিদ্যে বোঝাই হতে হবে 'বাবু' মশাইদের। বাবুনীদের নয়।

এরকম রেফারেন্স শয়ে শয়ে আছে।

মেয়েরা বেশি পড়ালেখা করলে যুক্তি, তর্ক করাসহ অধিকার আদায়ের মতো নোংরা কাজে লিপ্ত হন। একজন শিক্ষিত স্ত্রীর কাজ হলো প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং মতামত দিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা। পুরুষ স্বভাবতই স্বাধীনচেতা। তাদের প্রশ্নবিদ্ধ না করে অবাধে বিচরন করতে দিতে হবে। এটাই প্রথা। আর প্রথাবিরোধীদের সমূলে উৎপাঠন করা প্রকৃতির অমোঘ নিয়্ম।

তাহমিমা আনাম নামের এক মেয়ে 'আ গোল্ডেন এজ'

নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন। যদিও উপন্যাস লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা তার ঠিক হয়নি, তবে বইটিতে তিনি এক স্বর্ণযুগের কথা বলেছেন। তিনি সেই যুগের কথা বলেছেন যখন পুরুষ বুকভরা গর্ব নিয়ে নারী বলতে পারত, ওসব তুমি বুঝবে না, আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।

কিন্তু এখন মেয়েরা পড়াশোনা করে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে তারা নিজেরাই সব বুঝে ফেলে। এতে ছেলেদের সম্ভ্রমে আঘাত লাগে। স্বামীদের সেই গৌরবময় বোঝানোর অধিকার রক্ষা নারীদের জন্য কতটা জরুরি এটিই তিনি উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।

আমরা অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বিপথগামী হয়েছি। যত দ্রুত আমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবো ততই তা পরিবার ও সমাজের জন্য কল্যানকর হবে। হিউম্যান মেমরিতে রিসেট দেবার ব্যবস্থা থাকলে আমরা নিজেদের ভুল শুধরে নিতাম। কিন্তু এই ভুল এমন এক ভুল, যা থেকে মুক্তির আর উপায় নেই। যা হবার তা হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ভুলে গিয়ে আসুন নারীরা, আমরা চা বানাই স্বামীর জন্য।

২৭১ পঠিত ... ১৭:৩৪, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top