হ্যাঁ, আমরাই উচ্চবিত্ত

৭৮ পঠিত ... ১৭:০৭, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

27 (7)

লেখা: ফরিদ খান 

সদ্য কেনা রেঞ্জ রোভারের দরজার কাছে স্ক্র্যাচ পড়েছে। বাবার অফিসে অডিট চলে, পাহাড়সম দুশ্চিন্তা তার মাথায়। এই মুহূর্তে কীভাবে বলি নতুন একটা গাড়ি কিনে দিতে!

তোমরা যখন শীতের ছুটিতে সেইন্ট মার্টিন আর সাজেক ঘুরে বেড়াতে, বাবার সাথে ব্যবসার কাজে আমাকে ছুটে বেড়াতে হতো জাপান, ইউরোপ কিংবা আমেরিকা। হাওয়াইয়ের ফাইভস্টার হোটেলের সুইমিং পুলে শুয়ে সেসব ছবি দেখতে দেখতে যে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলতাম—তা কি তোমাদের কানে যেত?

তোমরা চাইলেই গ্রামে গিয়ে হালচাষ করে খেতে পার। আমাদের মিটিং ধরতে ঢাকার জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এসির ঠান্ডা বাতাসে বসেও ঘামতে থাকি টেনশনে, একটু এদিক সেদিক হলে যদি কোটি টাকার প্রজেক্ট হাতছাড়া হয়ে যায়!

গভীর রাতে ম্যাকালান সিঙ্গেল মল্ট হুইস্কির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে এদিক ওদিক তাকিয়ে কথা বলার মানুষ খুঁজি। সঙ্গী অনেক থাকে, কথা বলার মানুষ পাওয়া যায় না। এই আক্ষেপ তোমরা হয়তো বুঝবে না কোনোদিন।

তোমরা এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে হা-হুতাশ কর। আমাদের প্রতিদিন বিশটা গাড়ির জন্য চল্লিশ লিটার অক্টেন লাগে। কখনও ভেবে দেখেছো, সে খরচ সামলাতে আমাদের কত কষ্ট হয়?

কিন্তু তবু... বুক পকেটে হার্টের ওষুধ আর চোখে হাজারো স্বপ্ন।

হ্যাঁ, আমরাই উচ্চবিত্ত।

৭৮ পঠিত ... ১৭:০৭, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top