নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে, তার ট্রান্সলেশন নিয়ে একটু জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমি পুরো বিষয়টা হুমায়ূন আহমেদ স্টাইলে লিখে আপনাদের জানাচ্ছি।
ট্রাম্প কোলের কাছে দুই হাত জড়ো করে বসে আছেন। তাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি একটা নিষ্পাপ শিশু। সদ্য জন্ম নিয়েছেন। এখনই দুধ খাওয়ার জন্য ভ্যাঁ করে কান্না করবেন।
মোদি একটা প্রশ্ন করে চুপচাপ বসে আছেন। মোদির প্রশ্নকে ইংরেজিতে রুপান্তর করে পেছন থেকে আনিস বলল—ট্রাম্প ভ্যাইয়া, ট্রাম্প ভ্যাইয়া, আপনি জানেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময় বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, আগে ছিল তিতলী ভ্যাইয়ার সরকার, এখন হয়েছে কংকা ভ্যাইয়ার সরকার। আর এইখানে আমেরিকার ডিপ স্টেট এতে জড়িত ছিল, এমনকি আমাদের বড় চাচা ইউনূস জুনিয়র সরোসের সাথেও দেখা করেছেন, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
ট্রাম্প জবাব দেওয়ার আগে একটু থামলেন। তারপর ডানদিকের জানালায় তাকিয়ে দেখলেন বাইরে চাঁদের আলো থই থই করছে। এক মুহূর্তের জন্য তার মনটা উদাস হয়ে গেল। তার ইচ্ছে করল যুদ্ধ, রাজনীতি, রাজ্য ছেড়ে কোথাও চলে যেতে। যেখানে দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, বেদনা নেই, মোদি নেই। কিন্তু তা সম্ভব না। পৃথিবীতে চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না।
ট্রাম্প জোছনার আলোর দিকে আনমনে তাকিয়ে উত্তর দিলেন, না।
মোদি হতবাক হয়ে তাকালেন। বন্ধুর কাছ থেকে সরাসরি 'না' উত্তর আশা করেননি তিনি। তার মাথায় আসমান ভেঙে পড়ল। তিনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন।
ট্রাম্প বললেন, না, আমাদের ডিপ স্টেট বাংলাদেশের বিষয়ে জড়িত ছিল না। বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী দীর্ঘদিন কাজ করছেন। আমার মনে হয় শত বছর ধরে কাজ করছেন। পড়ে আমার এমনটাই মনে হয়েছে। বাংলাদেশ বিষয়ক জবাব আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
ট্রাম্প ফিক করে হেসে আবার জোছনায় মনোযোগ দিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তার আপাতত মাথাব্যথা নেই। তিনি ভাবছেন, নীলুর কথা। আজ নীলুর সাথে দেখা হওয়ার কথা তার। নীলু এমনিতে সেজেগুজে থাকে। কিন্তু দেখা করার দিন সে আসবে কোনোরকম সাজগোজ ছাড়া। কী যে অদ্ভুত একটা মেয়ে। নীলুর কথা ভেবে ট্রাম্প মিটিমিটি হাসছেন। পাশে বসে মোদি প্রসঙ্গ পাল্টাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে তার আর ভালো লাগছে না…
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন