মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্পের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিশোর-তরুণদের চরিত্রে হাসি-আড্ডা আর মজার কোনো কমতি থাকে না। স্পষ্টতই তিনি নিজেও কাটিয়েছেন মজার একটি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। তার লেখা স্মৃতিচারণমূলক বই 'রঙিন চশমা' অবলম্বনে চলুন জেনে নিই তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ১১টি মজার ঘটনা!
১. ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালরা যখন কুমিল্লায় থাকতেন, তখন তাঁদেরকে বাসায় সাহায্য করবার জন্যে আফজাল নামের একটি ছেলে ছিলো। স্বাধীনতার সময়ে আফজাল মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। এই আফজাল, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালদের সাথে রক্তের সম্পর্কের আত্নীয় না হলেও পরিবারের থেকেও বেশি। এই আফজালের মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়া নিয়ে একটি মজার ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এরকম-
যুদ্ধ তখন মাত্র শুরু হয়েছে, আফজালকে একজনকে বললেন যে দেশে খুব যুদ্ধ হচ্ছে, খুব বড় ঝামেলা, রাজাকার বাহিনীতে লোক নিচ্ছে—জয়েন করে ফেল, মাসে মাসে বেতন! তাই শুনে আফজাল গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে। হঠাৎ পথে দেখে যে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল যাচ্ছে। আফজালকে জিজ্ঞেস করলো যে সে কোথায় যাচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তরে কীভাবে আফজাল রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে এই কথা বলবে, তা বুঝে উঠতে পারলো না। সে বলে ফেললো, মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে। শোনামাত্রই যোদ্ধারা তাঁকে দলে টেনে নিলো! সেই থেকে আফজাল মুক্তিবাহিনীতে!
২. আবারও সেই আফজালকে নিয়েই ঘটনা। স্বাধীনতার পর একদিন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাসায় ফিরে দেখলেন যে আফজাল আবার ফিরে এসেছে। তো যাই হোক, আফজাল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তাঁর পরিবারের জন্যে অন্তঃপ্রাণ! কিন্ত একরাতে হঠাৎ দেখা গেলো আফজাল বারান্দায় চিৎ-পটাং হয়ে পড়ে আছে, অচেতন হয়ে। কী সমাচার? শোনা গেলো, সে বলছে তাঁর বাবা এসেছিলেন। তাই তিনি বাবার কোলে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্ত বাবার কোলে উঠবার পর তাঁর মনে পড়লো যে তাঁর আসলে বাবা নেই। তখন আফজাল দড়াম করে পড়ে জ্ঞান হারায় ফেললো!
৩. দেশ স্বাধীন হবার পর তখন দেশে একটিমাত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল, নাম 'বিচিত্রা।' সেখানে একদিন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর লেখা একটি গল্প পাঠিয়ে দিলেন। পরের সপ্তাহে তিনি অবাক হয়ে খেয়াল করলেন যে, গল্পটি ছাপা হয়েছে! ব্যস, তাঁর মাথায় লেখক হবার ভুত চেপে বসলো! তিনি দুমদাম একটি গল্প লিখে ফেললেন, রীতিমতো সায়েন্স ফিকশন। নাম দিলেন 'কপোট্রনিক ভালোবাসা।' সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে সে লেখাও বিচিত্রায় ছাপা হয়ে গেলো। কিন্ত এবারে ঝামেলা হলো যে, একজন পাঠক রীতিমতো চিঠি লিখে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে তিনি নাকি এই গল্পটি 'আইভা' নামের একটি রাশিয়ান সায়েন্স ফিকশন থেকে 'টুকলিফাই' করেছেন। ব্যাপার দেখে-শুনে তাঁর খুব মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। তিনি প্রতিবাদ হিসেবে, আরো গোটা দশের কপোট্রনিক গল্প লিখে ফেললেন। কারণ একটা গল্প থেকে টুকলি করে বড়োজোর একটা গল্প লেখা যায়, কিন্ত গোটা দশেক নিশ্চয়ই লেখা যাবে না। যেই ভাবা সেই কাজ। প্রতি সপ্তাহে বিচিত্রায় কুটির শিল্পের মতো ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প বের হতে লাগলো। তাদের নামও সব একই ধরণের—কপোট্রনিক ভায়োলেন্স, কপোট্রনিক বিভ্রান্তি, কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ, কপোট্রনিক প্রেরণা ইত্যাদি, ইত্যাদি।
অনেকদিন পর, সেই পাঠকের সঙ্গে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাক্ষাৎ হওয়ার পর অবশ্য সেই পাঠক মাথা চুলকে তাঁর সেই অভিযোগের জন্যে মাফ চেয়ে নিয়েছিলেন!
৪. প্র্যাকটিকাল কাজ এবং পরীক্ষায় বরাবরই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিদ্ধহস্ত। একদিন ভার্সিটিতে 'ধারকত্ব' সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা করছিলেন, কাচের বীকারে সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ। হঠাৎ একফোঁটা তাঁর হাতে এসে পড়ে হাতে বেগুনি একটা দাগ হয়ে গেলো। তিনি সেটা নিয়ে চিন্তিত তো হলেনই না, বরং তাঁর মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে গেলো- এই সিলভার নাইট্রেট দ্রবণের দাগ দিয়ে একটা উল্কিমতোন করলেই তো হয়! তিনি তাই করলেন। সুন্দর মতোন হাতে একটি মাছের প্রতিকৃতি এঁকে ফেললেন। এহেন শিল্পকর্ম দেখে তাঁর তাবৎ বন্ধুবান্ধব মুগ্ধ হয়ে গেলেও তিনি একটু পরই এর মজা টের পেতে শুরু করলেন। খানিকক্ষণ পর তিনি সূক্ষ্ণ অস্বস্তি নিয়ে খেয়াল করলেন যে সেখানে কিছুটা জ্বালা অনুভব করছেন। আস্তে-ধীরে সেই জ্বালা টনটনে জ্বালা, এবং টনটনে জ্বালা থেকে পরিবর্তিত হয়ে ভয়াবহ জ্বালায় পরিণত হলো। তিনি একদিন অপেক্ষা করলেন ব্যথা কমবার, কিন্ত ব্যথা কোনোভাবেই কমলো না। পরে আর উপায় না দেখে, মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে চলে গেলেন। শার্টের হাতা গুঁটিয়ে ক্ষত বের করে দেখলেন যে, সেই কালচে-বেগুনি মাছ ততক্ষণে লালবর্ণ ধারণ করে, জীবিত মাছের মতো ড্যাবড্যাবে চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কোনমতে ডাক্তারকে সমস্যা বুঝিয়ে বলবার পড়ে, ডাক্তার তাঁকে ওষুধপত্র দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলেন, আর পেথিড্রিন ইঞ্জেকশন দিলেন। পেথিড্রিন ইঞ্জেকশন কী সেটা তখনো ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল জানতেন না, তাই সে অবস্থাতেই ড্যাংড্যাং করে ক্লাস করতে গিয়ে, অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেন!
৫. আবারও মাছের গল্প! হলের ডাইনিংয়ে খেতে বসেছেন। বরাবরের মতোই খাবারের আয়োজন খুবই খারাপ। ছোট পিরিচে সবজির ঘ্যাঁট, পাতলা জিলজিলে ডান এবং আরেকটা বাঁটিতে শিং মাছ। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের পাশের জন হঠাৎ বলে উঠলেন যে শিংমাছটিকে যে বড়শি দিয়ে ধরা হয়েছিলো সেই গলা থেকে বড়শিটা পর্যন্ত খোলা হয়নি। একটু পরীক্ষা করে দেখা গেলো, ব্যাপারটা সত্যি। বন্ধু বিরক্ত হয়ে মাথাটা ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে দেখতে চাইলেন যে টোপের সাথে যে গাঁথা কেঁচোটা এখনও আছে কি না। পরীক্ষা করে দেখা গেল, কথা ভুল না, তখনও শিংমাছের মাথায় কেঁচোর টোপসমেত পুরো বড়শিটাই বহাল তবিয়তে আছে!
৬. ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর কিছু বন্ধুবান্ধব মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আড্ডার টপিক মোটামুটি গুরুগম্ভীর- এই যে তাঁরা ফিজিক্সের ছাত্র, তাঁদের ফিজিক্স সোসাইটির ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট প্রায়োরিটি ফিজিক্সই হওয়া উচিত... কিন্ত তাঁদের সোসাইটি করে শুধু কালচারাল ফাংশন আর নাটক! এইসব ভংচং আর চলা উচিত না! এখনই বন্ধ করা উচিত। কিন্ত বন্ধ করবার উপায় কী, প্যানেল ইলেকশন করা। ইলেকশনে জিতে, দ্বায়িত্ব নিয়ে ছেলেপেলেদের ফিজিক্সের প্রতি আগ্রহী করে তোলা, পড়াশোনার পরিবেশ গড়ে তোলা।
গুরুগম্ভীর সেই আড্ডায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা আসলেই প্যানেল ইলেকশনে দাঁড়ালেন। এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে, ইলেকশন জিতেও গেলেন। ইলেকশন জিতবার উত্তেজনায় তাঁদের চোখ চকচক করতে থাকলো, এবং তাঁরা প্যানেলের সবার সম্মতি নিয়ে, সাংঘাতিক হইচই করে উদযাপন করবার জন্যে প্রথমেই একটি নাটক নামিয়ে ফেললেন...
৭. এরই মধ্যে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বড়বোন শেফুর বাচ্চা হয়েছে। ছোট্ট বাচ্চা যে এতো মজার একটা ব্যাপার তিনি তখন মাত্র বুঝতে পেরেছেন। বাচ্চাটি সব দিক দিয়েই নিখুঁত, শুধু নাকটা একটু বাঁকা। দেখে মনে হয় যেনো কেউ হাত দিয়ে বাঁকা করে দিয়েছে। সবাই এ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকলেও ডাক্তার আশ্বস্ত করলেন যে এ তেমন কিছু নয়, বাচ্চা বড় হতে হতে নাকটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত কে শোনে কার কথা! পরিবারের সবাই মিলে একটুপর-পর বাচ্চার নাকে হাত দিতে নাকটি সোজা করে দিতে লাগলেন।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো, মাসখানেকের মধ্যে সত্যি-সত্যিই বাচ্চার নাক সোজা হয়ে গিয়েছিলো!
৮. ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তখন ফজলুল হক হলে থাকতেন। ফজলুল হক হল এবং শহীদুল্লাহ হল পাশাপাশি, তা তো অনেকেরই জানা। একদিন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর বন্ধুরা বাইরে বের হচ্ছিলেন। হঠাৎ ফাজলামি করে এক বন্ধুর কী মনে হলো, জানালায় মুখ বের করে চিৎকার করে বললেন, 'ঐ ঐ ঐ ঐ ঐ...'
সঙ্গে সঙ্গে ওপাশের শহীদুল্লাহ হলের কোন জানালা থেকে প্রত্যুত্তর আসলো 'ঐ ঐ ঐ ঐ ঐ...'
ব্যস! শুরু হয়ে গেল দুই হলের ছাত্রদের মধ্যে গালিগালাজ করবার প্রতিযোগিতা। জাফর ইকবাল এবং তাঁর বন্ধুরা তো অতসব জানেন না, তাঁরা ওই একবার 'ঐ ঐ' করেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। বাইরে থেকে ঘুরেফিরে এসে দেখেন, তাঁদের বোনা চারা গাছ বড় হয়ে ততক্ষণে মহীরূহ আকার ধারণ করেছে। দুই হলের মাঝে তখনও গালাগাল চলছে। দুই পক্ষই মাইক ভাড়া করে অপর হলকে ক্রমাগত টানা গালিগালাজ করে যাচ্ছে...
৯. ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ইলেক্ট্রনিক্সের ক্লাস নিয়মিত ফাঁকি দিতেন! এ ব্যাপারে তাঁর শক্ত যুক্তি ছিল- ক্লাসে ভাল্বের ইলেক্ট্রনিক্স পড়ানো হয়। কিন্ত সারাবিশ্বে ততদিনে ভাল্বের বদলে ট্রানজিস্টর চলে এসেছে। সুতরাং এই ক্লাস না করে একটু আরাম করলেই হয়। কিন্ত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিমাণে ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে আবার ছাত্রদের ফাইনাল পরীক্ষাও দিতে দেয়া হয় না! তাই বাধ্য হয়ে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর এক বন্ধুকে প্রক্সি হিসেবে ঠিক করে রেখেছিলেন।
হুট করে একদিন সেই বন্ধু এসে জানালেন, ক্লাসে নাকি তাঁর নাম আর ডাকা হয় না। শিক্ষক ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আর ক্লাসে আসবেন না, তাই খাতা থেকে নামই কেটে দিয়েছিলেন। অগত্যা ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে একদিন ক্লাস করে পুনরায় খাতায় নাম তুলতে হয়েছিলো!
১০. তখন মাঘমাসের কনকনে শীত। সামনে পরীক্ষা বলে সবাই ধুমিয়ে পড়াশোনা করে বইপত্র ভাজাভাজা করে ফেলছে। একরাতে সব ছাত্ররা যখন বই নিয়ে বসে পরীক্ষা সংক্রান্ত আহাউহু করছিলেন, হঠাৎ এক বন্ধু পুকুরে সাঁতার কাটবার প্রস্তাব দিলেন। পড়াশোনায় ভালো কিন্তু বাস্তব বুদ্ধি খুব বেশি নেই, এই প্রস্তাবে খুব উৎসাহও দেখিয়ে ফেললো। পুরো ব্যাপারটা যে একটা প্রবল ষড়যন্ত্র হতে পারে সে ব্যাপারে বেচারা ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ করেনি। যে সাঁতার কাটার প্রস্তাব দিয়েছে সে যে নিজেই সাঁতার কাটতে পারে না, তাও সেই বন্ধুটি জানতো না। সুতরাং সবাই মিলে পুকুরে গোসল করতে নামার উদ্যোগ নেয়া হলো। বন্ধুরা সবাই মিলে পাড়ে দাঁড়ালো, ওয়ান-টু-থ্রি বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই লাফ দেবে, এমন পরিকল্পনাও করা হলো। ওয়ান টু থ্রি বলা হলো, কিন্তু একজন বাদে আর কেউ লাফ দিলো না। লাফ দেয়া একজন হলো সেই বাস্তবজ্ঞানহীন বন্ধুটি! অন্য সবাই ঘাটে দাঁড়িয়ে এই নির্মম রসিকতাটুকু প্রাণভরে উপভোগ করে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে।
বন্ধুটিকে টেনে পানি থেকে তুলে আনা হলো। বলাই বাহুল্য, সে প্রচন্ড রেগে ছিল। রাগ বাড়িয়ে দেবার জন্যেই কি না কে জানে, পরেরদিন সবাই ভার্সিটিতে রটিয়ে দিলো যে, তাঁদের এই বন্ধুটি আত্নহত্যা করার জন্যে গভীর রাত্রে পুকুরে লাফিয়ে পড়েছিলো, কিন্ত সবাই মিলে অনেক কষ্ট করে তাঁকে টেনে পাড়ে তুলে এনেছে! ক্লাসের এক মেয়ের জন্যে সেই বন্ধুটির দুর্বলতার কথা অনেকেই জানতো দেখে ব্যাপারটা প্রায় বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে প্রচারিত হতে থাকলো...!
১১. অনেক জল্পনা-কল্পনার পর তখন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর বন্ধুদের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মনে একধরণের বুনো উল্লাস পুষে তাঁরা সবাই একত্র হয়েছেন... অনার্স শেষ হওয়া উদযাপন করতে সবাই মিলে সাংঘাতিক রকমের একটা আনন্দ করতেই হবে! সবাই মিলে বসে আছেন, আছেন তো আছেনই, কিন্ত আনন্দ আর শুরু হয় না! সবাই এর-ওর মুখের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করছে। এরই মাঝে হঠাৎ, তাঁরা একটা সূক্ষ্ণ নাক ডাকার শব্দ শুনতে পান! তাঁদের আনন্দ শুরু হবার আগের মূর্হুতের সেই তীব্র উত্তেজনা সহ্য করতে না পেরে একজন অবশেষে ঘুমিয়েই পড়েছেন...!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন