এই তো সেদিনও ২৪ বছর বয়স ছিল এ শতাব্দীর। কয়েকদিন হলো ২৫ এ পা দিয়েছে। বয়সটা যে আহামরি অনেক হয়েছে এমনও না। সামনে আরও দীর্ঘ ৭৫ বছরের যাত্রা বাকি। কিন্তু মাত্র ২৫ হওয়াতেই মন খারাপ করেছেন ডি ক্যাপ্রিও। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দাদি-নানিদের কুড়িতেই বুড়ি নীতিতে বিশ্বাসী। তবে একটু মডার্নিটির ছোঁয়া যে রাখেননি সেটা না। এজন্য প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি ২৫ বছরের কম বয়সী নারীদেরকে বেছে নেন।
জানুয়ারী মাসের ১ তারিখে ২৫ বছরে পা দিয়েছে একুশ শতক। এ শতাব্দিতে অনেক কিছু বদলে গেলেও শুধু বদলায়নি ডি ক্যাপ্রিওর ডেটিং প্রিন্সিপাল। ২৫ হওয়া মানেই যেন বাতিলের খাতায় নাম লেখানো তার জন্য বাধ্য। সময়ের সাথে সুসম্পর্ক রাখা ডি ক্যাপ্রিও পহেলা জানুয়ারী থেকে এক বিষণ্ণ জীবন-যাপন করছেন। কোনো কিছুই আর টানছে না তাকে।
ডি ক্যাপ্রিওর এক কাছের বন্ধু জানিয়েছেন, নতুন বছরে একুশ শতক ২৫ বছর বয়সে পা দেওয়ায় তিনি খুবই হতাশ। এমনকি এটা নিয়ে তিনি একজন থেরাপিস্টের সাথে সেশন নিচ্ছেন। থেরাপিস্ট তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও ডি ক্যাপ্রিও নাকি বলেছেন, ২৫ বছর মানেই তো বার্ধক্যের শুরু। এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
থেরাপিস্টও অবাক হয়ে বলেছেন, কিন্তু, মিস্টার ক্যাপ্রিও, এটি তো একটি শতাব্দী। এটি মানুষ নয়!
জবাবে ডি ক্যাপ্রিও বলেছেন, আমি তো প্রেমে পড়ি সময়ের, বয়সের, মুহূর্তের। ২৫ হলেই সব শেষ। কোনো আবেগই আর আগের মতো থাকে না।
হলিউড পাড়ায় গুঞ্জন আছে, ডি ক্যাপ্রিও একবার মদ খেতে খেতে ঘনিষ্ঠ মহলে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামীতে যেবার একুশ শতক ২৫ বছরে পা দেবে, সেদিন থেকে পৃথিবীর সাথে আমার সকল সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করব। এই মুহূর্তে বিষয়টা তিনি কীভাবে সামলান সেটাই দেখার বিষয়।
বিজ্ঞানীরা শুনে এখন আলোচনা করছেন, কীভাবে ডি ক্যাপ্রিওর জন্য একটি চীরযুব শতাব্দী তৈরি করা যায়। এক নাসার গবেষক জানিয়েছেন, শুধু ডি ক্যাপ্রিওর জন্য আমরা নতুন এক ক্যালেন্ডার বানাব যেখানে ২৪ সাল পর্যন্তই হিসাব থাকবে।
এদিকে শতাব্দীর শোক কাটানোর জন্য ডি ক্যাপ্রিওর কাছের মানুষরা তার ইনবক্সে কিছু কম বয়সী মেয়ের ছবি পাঠাচ্ছেন। হয়তো ছবি দেখে শোক কিছুটা লাঘব হবে। তবে সামনে কী হবে তা একমাত্র সময়ই বলে দেবে।