ইলিয়াসের সাথে করা সাম্প্রতিক এক লাইভে মেজর ডালিম ইতিহাসের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে যেভাবে সময় ও বাস্তবতাকে মিশিয়ে দিয়েছেন, তাতে ‘ডার্ক’ সিরিজের পরিচালকরা রীতিমতো মুগ্ধ। ‘ডার্ক’, যে সিরিজটি টাইম ট্রাভেল, অল্টারনেট রিয়েলিটি এবং জটিল পারিবারিক রহস্য নিয়ে তৈরি, সেখানে এমন একজন ব্যক্তিত্বের অবদান নিঃসন্দেহে বিপ্লব ঘটাবে—যিনি এক লাইভেই ৩০ লাখকে তিন লাখে আর ২ লাখ বীরাঙ্গনাকে দুইয়ে নামিয়ে ফেলতে পারেন।
ধারণা করা হচ্ছে যদি ডালিমের স্ক্রিপ্টে ডার্ক’-এর সিজন বানানো হয়, তবে সেটি নিঃসন্দেহে নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হবে। এ ব্যাপারে ডার্কের পরিচালক আমাদের বলেন, ডালিমের এই অসাধারণ কল্পনাশক্তি এবং ইতিহাসের সংখ্যাগুলোকে মনের মতো করে পাল্টানোর ক্ষমতার বদৌলতে টাইম ট্রাভেলের এই গল্প প্লেনের জানলার গন্ডি পেরিয়ে ফাঙ্খা দিয়ে পৌঁছে যাবে মহাবিশ্বেও।
তবে শুধু স্ক্রিপ্টিংয়ে নয় সিরিজটিতে অভিনয়ের জন্যেও ভাবা হচ্ছে ডালিমকে। যেমন এক দৃশ্যে দেখানো হতে পারে যে ১৯৭১ সালের ঘটনা আসলে টাইমলুপে আটকে পড়া এক ভুল গণনা। সিরিজের অন্যতম নাটকীয় মুহূর্তে দেখা যাবে ডালিম টাইম ট্রাভেল করে ১৯৭১ সালে পৌঁছে যাচ্ছেন এবং শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সবার সঙ্গে তর্ক করছেন। অন্যদিকে বীরাঙ্গনাদের প্রসঙ্গে তাঁর ‘২ জন’ তত্ত্ব নিয়ে গবেষকদের দল গবেষণায় লিপ্ত হবে।
ডার্ক সিরিজের মতো জটিলভাবে দর্শকদের ধোঁয়াশায় ফেলার জন্য ডালিমের বক্তব্য থেকে স্ক্রিপ্টের সংলাপ নেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে।
উদাহরণস্বরূপ:
চরিত্র ১: তুমি বলছ ৩০ লাখ নয়, তিন লাখ?
চরিত্র ২ (ডালিম-ইনস্পায়ারড): না, আমি বলছি সংখ্যাগুলো সব ভ্রম। তুমি জানো না, তোমাদের পৃথিবীটাই ভুল!
যদিও অনেকেই মনে করছেন, ডালিমের এই ইতিহাসচর্চা নতুন রাজনৈতিক নাটকের পথ খুলে দেবে, তবে নেটফ্লিক্সের পরিচালকরা মনে করছেন, সময়ের জটিলতা নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে নতুন এক সাই-ফাই মুভমেন্টের জন্ম দেবে।তাহলে, কে জানে, হয়তো ভবিষ্যতে নেটফ্লিক্সের টাইটেলে দেখা যাবে:
Dark: The Dalim Paradox।
আপাতত ডালিম সাহেবকে কিছুদিনের জন্য জাবিতে কাটানোর জন্য অনুরোধ করেছে ডার্ক টিম। তাদের ধারণা স্ক্রিপ্ট লেখাকালীন সময়ে জাবিতে থাকলে সেখানকার উন্নত সবজির প্রভাবে ডালিম আমাদের উপহার দেবেন কালজয়ী একটি গল্প।