সুনাক, ট্রুডোর পতনে আতঙ্কে হাসিনার সঙ্গে ছবি থাকা বিশ্বনেতারা

১১৮ পঠিত ... ১৭:১২, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫

20

শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তোলা যেন বিশ্বনেতাদের জন্য এক অদ্ভুত ‘পদত্যাগের অভিশাপ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বসেন গতকাল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই দুই নেতারই শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলা ছবি রয়েছে।

এখন আন্তর্জাতিক মহলে কানাঘুষা শুরু হয়েছে—শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি থাকলে বুঝি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিদায় অবধারিত! বিশ্বনেতারা আতঙ্কিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিটিংগুলোতে চুপিচুপি আলোচনা হচ্ছে, যদি কোনো আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলতে বলা হয়, কী করা উচিত? কেউ কেউ নাকি নতুন করে তাদের ফটোগ্রাফি স্টাফদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন—শেখ হাসিনার কাছাকাছি যেন আর কোনো ছবি না তোলা হয়!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে শোনা গেল, আমারও হাসিনার সঙ্গে একটা ছবি আছে, এখন রাতের ঘুম চলে গেছে। কবে যে পদত্যাগ করতে হবে কে জানে। অন্যদিকে আরেক রাষ্ট্রপ্রধান ‘জার জার ওবস্তান থেকে হাসিনার সাথের ছবি ডিলিট করো’ লিখে একটি টুইটও করেছেন।

রাজনৈতিক বিশেষ-অজ্ঞরা বিষয়টিকে ‘হাসিনা ইফেক্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ একে রাজনীতির ডমিনো ইফেক্ট বলেও মতামত দিয়েছেন। তাদের মতো এই ইফেক্টের ফলে যেকোনো রাজনীতিকের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বলে উঠবে। যার নামে এত আলাপ আলোচনা সেই হাসিনার কাছে এই বিষয়ে মতামত চাইতে লুটিয়েন্স বাংলোতে গেলে তিনি বলেন, দেখেন কেউ যদি বোকার মতো নিজে থেকে পদত্যাগ করে সেটি কী আমার দোষ। মানুষ তো প্রতিবাদ করবেই তা বলে কী রাষ্ট্রপ্রধানরা পদত্যাগ করে বসে নাকি? আমাকে দেখেন পদ আকড়ে থাকতে একটা শেষ চেষ্টা তো অন্তত করেছিলাম। আমার সাথে ছবি তুললেই পদত্যাগ করতে হয় এসবের কোনো ভিত্তি নেই। এসব কথা ছড়াচ্ছে সব রাজাকারের বাচ্চারা।

১১৮ পঠিত ... ১৭:১২, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫

Top