নয় বছর পর অবশেষে কিছুটা অবসর সময় পাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো। অন্য যেকোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে পদত্যাগ করার পরপরই হয়তো সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বের করে ফুর্তি করে জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করতেন। কিন্তু সদ্য বিদায়ী এই প্রধানমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন পথে হাঁটতে যাচ্ছেন। পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এক আন অফিসিয়াল বার্তায় তিনি জানা, আমি বাংলাদেশে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আইকিউ ডেভেলপমেন্ট এবং কমনসেন্স স্টাডি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে চাই।
ট্রুডো তার বার্তায় উল্লেখ করেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগে তিনি বাংলাদেশের ছাত্রদের আইকিউ এবং কমনসেন্স নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষত গত বছর বাংলাদেশের ছাত্ররা যেভাবে শেখ হাসিনাকে কাঁথা লোটা ধরিয়েছে, সে সময়ই তিনি বুঝেছিলেন বাংলাদেশের ছাত্রদের মেধা কতটা তীক্ষ্ণ। ট্রুডো আরও বলেন, তিতুমীর কলেজের ছাত্রদের গত আন্দোলনের সময় নিজেদের ডিপারমেন ও তাদের ফেকালেটি নিয়ে দাবির পেছনে সত্যতাও বুঝতে পেরেছিলেন তিনি।
যেহেতু তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে, এবং তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনার ইচ্ছা পোষণ করছেন, তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশে চলে আসার। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে তার কামব্যাক আর কেউ ঠেকাতেই পারবে না বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রকর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছেন।
ট্রুডোর পড়াশোনা শুরু করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক একাডেমিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, যদি ট্রুডো আবার পড়াশোনা শুরু করেন, তবে তার দেখাদেখি আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে আসবেন। কিছু মহল এটিকে ‘রিভার্স ব্রেন ড্রেন’ হিসেবেও দেখছেন, কারণ ট্রুডোর দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে অন্যদেরও আগ্রহ তৈরি হবে।
এদিকে, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল থেকে আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে। ট্রুডোর খবর প্রকাশ হওয়ার পর আনন্দের মাত্রা আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানিয়েছে, যদি কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে ক্লাস করেন, তবে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব। তারা আশা প্রকাশ করেছে, ট্রুডোর সাথে টিকটক করে বিভিন্ন ভাইরাল কন্টেন্টও বানাতে পারবে তারা।
তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের টিকটিক ভিডিও কাল থেকে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ইউনিভার্সিটি অফ তিতুমীর করা হোক। এই নামটা তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনেক বেশি সেক্সি। টিকটকের শেষের দিকে তিনি সবাইকে শেয়ার করে এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।